মোহামেডান-আবাহনীর বড় জয়, গুলশানে হারল শাইনপুকুর
Published: 9th, April 2025 GMT
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ৭৪ রানের বড় জয় পেয়েছে মোহামেডান। আবাহনীর জয় আরও বড়। প্রাইম ব্যাংককে ১৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে লিগ টেবিলে শীর্ষে থাকা দলটি। দিনের অন্য ম্যাচে মাত্র ১৭৮ রান করেও শাইনপুকুরকে ৫ রানে হারিয়েছে ডিপিএলের নবাগত গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।
বুধবার বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রান তোলে আবাহনী। ওপেনার পারভেজ ইমন ৭১ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন। ছয়টি চারের সঙ্গে পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। তিনে নামা অধিনায়ক নাজমুল শান্তর ব্যাট থেকে ৭০ বলে আসে ৫৮ রানের ইনিংস। লোয়ার মিডলে ৪২ বলে ৩৭ রান করেন মোসাদ্দেক হোসেন।
জবাব দিতে নেমে প্রাইম ব্যাংক ৩২ ওভারে ১৫৭ রানে অলআউট হয়েছে। ছন্দে থাকা দলটির ওপেনার নাঈম শেখ ৭৪ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি নয়টি চার ও একটি ছক্কা মারেন। সাতে ব্যাট করতে নেমে শামীম পাটোয়ারি ২৬ বলে ৪০ রান যোগ করেন। তিনটি চার ও চারটি ছক্কা মারেন তরুণ এই বাঁ-হাতি। প্রাইম ব্যাংককে ধসিয়ে দেওয়ার কাজটা করেছেন ডানহাতি স্পিনার মোসাদ্দেক ও বাঁ-হাতি রাকিবুল হাসান। মোসাদ্দেক ৭ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। রাকিব ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করে মোহামেডান ৭ উইকেটে ২৮৭ রান করে। ওপেনার রনি তালুকদার ৪৬ ও তিনে নামা মাহিদুল অঙ্কন ৬৪ রান করেন। অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয় ৪২ ও মুশফিকুর রহিম দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন।
জবাবে অগ্রণী ব্যাংকের অমিত হাসান দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নেন। তিনি তিনে ব্যাট করতে নেমে ১২৩ বলে ১০৫ রান করেন। সাতটি চার ও একটি ছক্কা মারেন। দলের বাকিরা মিলে ১০০ রানও করতে পারেননি। তাদের ব্যর্থতায় ৪৭.
মিরপুর স্টেডিয়ামে এদিন অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জয়ী আজিজুল হাকিম তামিম ও জাওয়াদ আবরারদের গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ৪১ ওভারে ১৭৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। জাওয়াদ ৩৭ রান করেন। সাকিব শাহরিয়ার ৩৮ রান যোগ করেন। ফরহাদ রেজা ২২ রান করেন। জবাবে নামা শাইনপুকুর ৪৩ ওভারে ১৭৩ রানে অলআউট হয়। নাহিদ উজ্জামান ও আজিজুল তিনটি করে উইকেট নেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড প এল ব য ট কর র ন র ইন র ন কর ন উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের জন্য লজ্জায় পড়েছেন ফ্রান্স সফররত মার্কিন পর্যটকেরা
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের তুইলেরিস উদ্যানের পরিচ্ছন্ন নুড়িপাথরের ওপর দিয়ে ঝলমলে রোদে হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন বারবারা ও রিক উইলসন দম্পতি। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহর থেকে প্রথমবারের মতো ফ্রান্স ভ্রমণে এসেছেন। মার্কিন পর্যটক হিসেবে ভ্রমণে এলেও তাঁরা ঠিক ছদ্মবেশ ধারণ করেননি। তবে ৭৪ বছর বয়সী রিক সাতসকালেই বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করেছিলেন।
বারবারা ও রিক উইলসন প্যারিসের একটি হোটেলে উঠেছেন। হোটেল থেকে বের হওয়ার আগে ছোট্ট একটি কালো টেপ দিয়ে মাথার সাদা–কালো বেসবল ক্যাপে থাকা তারকাখচিত ও ডোরাকাটা মার্কিন পতাকা ঢেকে দিয়েছেন।
বারবারা ও রিক উইলসন প্যারিসের একটি হোটেলে উঠেছেন। হোটেল থেকে বের হওয়ার আগে ছোট্ট একটি কালো টেপ দিয়ে মাথার সাদা-কালো বেসবল ক্যাপে থাকা তারকাখচিত ও ডোরাকাটা মার্কিন পতাকা ঢেকে দিয়েছেন।বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আকস্মিক পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণায় মার্কিন নাগরিক হিসেবে যে লজ্জা ও বিব্রতকর অনুভূতি অনুভব করছেন, তা নিয়ে ভাবছিলেন এই দম্পতি। রিক বলেন, ‘বিষয়টি (শুল্ক) নিয়ে আমাদের খারাপ লাগছে। এটা ভয়ানক। শুধুই আতঙ্কের।’
শুধু রিক নন, ৭০ বছর বয়সী বারবারাও তাঁর পকেটে একটি কানাডীয় ল্যাপেল পিন রেখে দিয়েছেন। আরেকজন পর্যটক তাঁকে এটি উপহার দিয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, ফ্রান্স ভ্রমণে কিছু আড়াল করার দরকার হলে এটি কাজে লাগাতে পারবেন।
বিষয়টি (ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপ) নিয়ে আমাদের খারাপ লাগছে। এটা ভয়ানক। শুধুই আতঙ্কের।রিক উইলসন, ফ্রান্স ভ্রমণে যাওয়া মার্কিন পর্যটকবারবারা বলেন, ‘আমাদের দেশ নিয়ে আমি হতাশ। শুল্ক নিয়ে আমরা বিরক্ত।’
কয়েক গজ দূরে বিখ্যাত ল্যুভর জাদুঘরের সামনে মানুষের জটলা দেখা গেল। সেখানে আরেক মার্কিন দম্পতি নিজেদের পরিচয় কিছুটা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছিলেন; যেমনটা সাধারণত দেখা যায় না। কথা হয় ক্রিস এপসের (৫৬) সঙ্গে। তিনি নিউইয়র্কে অ্যাটর্নি হিসেবে কাজ করেন। এবারের ফ্রান্স সফরে তিনি একটু ভিন্ন পোশাক পরবেন বলে ঠিক করেছিলেন।
ক্রিস এপস বলেন, ‘(আমার সঙ্গে) নিউইয়র্কের কোনো ইয়াঙ্কি হ্যাট নেই। সেটি হোটেলে রেখে এসেছি। (হ্যাট দেখে) মানুষ আমাদের আলাদা মনে করতে পারে।’
খোলাখুলি বলে রাখা ভালো, ফ্রান্সে মার্কিনদের আগের চেয়ে কম অভ্যর্থনা জানানো হচ্ছে, এমন কোনো লক্ষণ নেই। ট্রাম্প তাঁর নতুন শুল্ক ঘোষণা স্থগিত করার আগে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে কিছু পর্যটকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল।
কথা হয় ফিলিপ গ্লোয়াগুয়েন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। ফ্রান্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রাভেল গাইড লে গাইড দু রুতার্দের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। গ্লোয়াগুয়েন প্যারিসে একটি ডেস্কে বসে ছিলেন। তিনি জানান, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে তাঁর লেখা বইয়ের ফরমাশ ২৫ শতাংশ কমে গেছে। ‘এটা একটা বড় পতন,’ বলেন তিনি।মার্কিনরা তাঁদের সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া থেকে বহু দূরে রয়েছেন। তাঁদের মনোভাবে যে পরিবর্তন ঘটছে, সেটির সপক্ষে বেশির ভাগ প্রমাণই কল্পনাপ্রসূত। তবে ইতিমধ্যে ভ্রমণ, পর্যটন, শিক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার বিষয়টি বোধগম্য হয়ে উঠেছে।
কথা হয় ফিলিপ গ্লোয়াগুয়েন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। ফ্রান্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রাভেল গাইড লে গাইড দু রুতার্দের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। গ্লোয়াগুয়েন প্যারিসে একটি ডেস্কে বসে ছিলেন। তিনি জানান, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে তাঁর লেখা বইয়ের ফরমাশ ২৫ শতাংশ কমে গেছে। ‘এটা একটা বড় পতন,’ বলেন তিনি।
ল্যুভর জাদুঘরের সামনে পর্যটকদের ভিড়