জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ লোকজন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারধর করেছে। পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করেছে। আজ বুধবার উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আটক আবদুল কুদ্দুসের (৬২) বাড়ি পাশের কালাই উপজেলার আতাহার গ্রামে। তিনি দিনমজুরির পাশাপাশি ক্ষেতলালের ওই গ্রামের এক প্রবাসীর নির্মাণাধীন বাড়ি দেখভাল করেন।

থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নির্মাণাধীন ওই বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় বাড়িটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা আবদুল কুদ্দুস শিশুটিকে বাড়ির ভেতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। প্রতিবেশী এক নারী ঘটনাটি দেখতে পেয়ে লোকজনকে জানান। লোকজন এসে বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে কুদ্দুসকে বাড়ির দরজা খুলতে বলেন। কিন্তু তিনি দরজা খুলে দেননি। একপর্যায়ে কুদ্দুস শিশুটিকে বাড়ির ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেন। এতে লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে নির্মাণাধীন বাড়ির একটি জানালা ভেঙে বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়ে। এরপর কুদ্দুসকে বাড়ির বাইরে বের করে এনে মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বীরেন্দ্র সিং বলেন, আবদুল কুদ্দুস একটি শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। গ্রামবাসী তাঁকে মারধর করে আটকে রেখেছে—৯৯৯–এ এমন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তিনি বলেন, আবদুল কুদ্দুসকে আটক করা হয়েছে। শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় মামলা করেননি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ ল ক দ দ স

এছাড়াও পড়ুন:

রূপনগরে শিশুদের জন্য ভ্রাম্যমাণ খেলার জায়গা উদ্বোধন

এলাকাভিত্তিক খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে শিশুদের জন্য রাজধানীর মিরপুরে রূপনগর আবাসিক এলাকায় ভ্রাম্যমাণ খেলার জায়গা (মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড) উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে স্কুল অব লাইফ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট ও হেলথ ব্রিজ ফাউন্ডেশন অব কানাডার সম্মিলিত উদ্যোগে এটির উদ্বোধন করা হয়। এই আয়োজনে সহযোগিতা করেন রূপনগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা।

আয়োজকেরা জানান, প্রতি শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর সড়কে নিয়মিত মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ডে খেলাধুলার আয়োজন করা হবে। খেলাধুলার মধ্য থাকবে দাবা, লুডু, ক্যারম, দড়ি লাফ ও ব্যাডমিন্টন। এ ছাড়াও থাকবে ছবি আঁকা, হস্তশিল্প ও সামাজিকীকরণের মতো বিভিন্ন কার্যক্রম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মাঠ ও পার্কের অপ্রতুলতা ঢাকা শহরের একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডের ৩৭টিতে কোনো খেলার মাঠ বা পার্ক নেই। শিশুদের খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এলাকাভিত্তিক মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড তৈরি একটি কার্যকর সমাধান। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে উঠবে, শহর হবে প্রাণবন্ত ও বাসযোগ্য।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্কুল অব লাইফের চেয়ারম্যান চিকিৎসক অনুপম হোসেন বলেন, ঘরবন্দী জীবনে শিশুরা হাঁপিয়ে উঠেছে। করোনাকালে দীর্ঘদিন ঘরে থাকার ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এলাকাভিত্তিক স্বল্প ব্যবহৃত বা অব্যবহৃত রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড তৈরি করে খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ তৈরি করা যায়। এতে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি নেতৃত্বগুণ ও সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ-পার্ক নেই। অর্থ ও স্থান সংকুলান বিবেচনায় সিটি করপোরেশনের পক্ষে দ্রুত বড় আকারের মাঠ-পার্ক তৈরি সম্ভব নয়। তবে খুব কম খরচে ও স্বল্প জায়গায় শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে এলাকাভিত্তিক খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের স্থান গড়ে তোলা সম্ভব। নগরবাসীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব লাইফের সদস্যসচিব সাবরিনা নওরিন লিমু, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মকর্তা, মিরপুর সেকশন- ৭ এর রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর সড়কের এলাকাবাসী ও শিশু-কিশোরেরা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা মো. মিঠুন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ