ছাত্র–জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানাসহ তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আরও একটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো.

জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, একটি বেসরকারি ব্যাংকের ওই ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ ১৬ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

দুদকের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আদালতকে জানানো হয়েছে, শেখ হাসিনা ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ওই ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে। এ জন্য ব্যাংক হিসাবটি অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। শুনানি নিয়ে আদালত ওই ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৮ মার্চ শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানাসহ তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আরও ৩১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত। দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ৩১টি ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ ৩৯৪ কোটি ৬০ লাখ ৭২ হাজার ৮০৫ টাকা। এর আগে ১১ মার্চ তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১২৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নিখোঁজের ১০ দিন পর পাহাড়ে মিলল বস্তাবন্দি মরদেহ

নিখোঁজের ১০ দিন পর কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার একটি পাহাড় থেকে মাহাবুর রহমান (২২) নামে ইজিবাইক চালাকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম উলুচামারি আখির বাপেরঘোনা  পেডান আলীর পাহাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। 

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানান।

আরো পড়ুন:

ট্রেনের ধাক্কায় খালে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

সড়কের পাশে পড়ে ছিল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ

তিনি বলেন, “মরদেহটি অর্ধগলিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন রয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

নিহত মাহাবুর রহমান হ্নীলার উলুচামারি হামজারছড়ার বাসিন্দা মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে। গত ৪ এপ্রিল সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। 

পুলিশ জানায়, স্থানীয়রা সকালে পেডান আলীর পাহাড়ে বস্তাবন্দি একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরিবারের সদস্যরা পরনের কাপড় দেখে মরদেহটি মাহাবুরের বলে শনাক্ত করেন।

মাহাবুরের বড় ভাই সৈয়দ আলম অভিযোগ করে বলেন, “ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্যই আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে। এখনো তার ইজিবাইকটির সন্ধান মেলেনি।”

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ