বাগেরহাটের কাটাখালি এলাকায় একজন বাসচালককে মারধর করার প্রতিবাদে খুলনার পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে আন্দোলন করেছেন শ্রমিকরা।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলার ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্দোলনকারীরা সড়ক থেকে সরে যান। ফলে পাঁচ ঘণ্টা পর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

বাস শ্রমিকরা জানান, আজ ভোরে রূপসা থেকে মোংলা রুটে যাত্রী নিয়ে রওনা হন বাসচালক বাচ্চু। কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী তোলার সময় মাহিন্দ্রা শ্রমিকদের বাঁধার মুখে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে মাহিন্দ্রা শ্রমিকরা বাসচালক বাচ্চুকে মারধর করে। পরে বাচ্চু পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান, তার কাছ থেকে ঘটনা জানতে পেরে বাস শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন।

আরো পড়ুন:

মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতি, প্রাণ গেল যুবকের

কর্মস্থলে ফিরছেন উত্তরাঞ্চলের মানুষ 

একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা মোংলা, বাগেরহাট, রামপাল, ভান্ডারকোট রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। পরে শ্রমিকরা হাইওয়ে রোডের কুদির বটতলা মোড়ে সড়ক অবরোধ করে সব প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে ঢাকাসহ দক্ষিণ অঞ্চলের ২১ জেলার সব রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে এসব রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। 

রূপসা থানার ওসি মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, “সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে মাহেন্দ্র চলাচল বন্ধ এবং চালকের ওপর হামলার ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। বর্তমানে পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ড ও হাইওয়েতে সব প্রকার যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

আমার মেয়ে বিদায়ী সৌদি রাষ্ট্রদূতের দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চায়নি

‘সৌদি আরবের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের প্রতারণার শিকার আমার মেয়ে মেঘনা। ছয় মাস ধরে তার সঙ্গে মেয়ের ঘনিষ্ঠতা। তার দুই থেকে তিন মাস আগে থেকে তাদের মধ্যে পরিচয়।’ মডেল মেঘনা আলমেরব বাবা বদরুল আলম সমকালকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মেঘনা ‘মিস বাংলাদেশ’ নামে একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করেছিল। তার মাধ্যমে দেশে–বিদেশে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে অনেক বিশিষ্টজন, গুণী লোকজন আসতেন। ঢাকায় সেই ধরনের একটি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সব জানেন। তিনি দু’জনকে সহযোগিতা করেন। এরপর মেঘনার সঙ্গে বিদায়ী দূতের মধ্যে ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। একপর্যায়ের প্রেমের সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এরপর বিয়ে করতে চান। গত ৪ ডিসেম্বর মেঘনা ও দুহাইলানের আংটি বদল হয়েছিল বলে দাবি করেন বদরুল। তবে দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তিনি।  

বদরুল বলেন, মেঘনার বসুন্ধরার বাসায় আসা–যাওয়া ছিল বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের। সম্পর্কের একপর্যায়ে মেঘনা জানতে পারে তার স্ত্রী ও ছেলে–মেয়ে রয়েছে। তখন সে আংটি ফেরত দেয়। সে কারো দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চায়নি। সৌদি দূতের স্ত্রীকে ঘটনাটি জানায়। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত। হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে মেঘনা ফেসবুক এ সম্পর্কে কিছু লেখা পোস্ট করেন। এরপরই মেঘনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন দুহাইলান। 

মেঘনার বাবা আরও বলেন, প্রতারণার শিকার হয়েছে এটা জেনেও মেঘনা চেয়েছিল বিদায়ী রাষ্ট্রদূত তার কাছে এসে দুঃখ প্রকাশ করুক। কিন্তু সেটা করেননি তিনি। উল্টো বিনা অপরাধে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে। বিষয়টির সমঝোতার চেষ্টা করা হলে শেষ পর্যন্ত হয়নি। 

এক প্রশ্নের জবাবে বদরুল বলেন, কেন আমার মেয়ে তাকে ফাঁসাবে। যদি সে অন্যায় করত তাহলে তার বিরুদ্ধে তো সুনির্দিষ্ট মামলা হত। আইন সবার জন্য সমান। আমরা এখন ন্যায় বিচার চাই। সরকার আমার মেয়ের নিরাপত্তা দেবে এটা আমার দাবি। 

মেঘনার বাবা বলেন, নর্থ–সাউথে পড়াশোনার সময় বসুন্ধরা একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে মেঘনা থাকত। সেখানে মাঝে মাঝে আমরা যেতাম। পরিবারের অন্যরা বেইলী রোডে থাকি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমার মেয়ে বিদায়ী সৌদি রাষ্ট্রদূতের দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চায়নি
  • এক ম্যাচ নিষিদ্ধ তাওহিদ হৃদয় মুখ খোলার হুমকি দিলেন কেন
  • সিলেটে কথা-কাটাকাটির জেরে এলাকাবাসীর সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক ও যুবদল নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ
  • নদীতে ডুবে দুই কিশোরীর মৃত্যু, জাল ফেলে লাশ উদ্ধার