কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য
Published: 9th, April 2025 GMT
আমাদের দাপ্তরিক ও দৈনন্দিন কাজে জেনারেটিভ এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েই চলেছে। বিশ্বের বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতা করছে কী করে আরও বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন এআই মডেল তৈরি করা যায়। শুরুতে এসব মডেল শুধু টেক্সট বা লেখা আকারে ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিল, কিন্তু ক্রমে এই পরিষেবায় ইমেজ জেনারেশন বা কৃত্রিম ছবি বানানোর সুবিধাও যুক্ত হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ ডালি, মিড জার্নি কিংবা স্টেবল ডিফিউশনের কথা বলা যায়। এ ধরনের টুলগুলো লিখিত আকারের নির্দেশনা, অর্থাৎ টেক্সটচুয়াল প্রম্পটকে বর্ণনানুযায়ী ছবিতে রূপান্তরিত করে। আগে ডিজিটাল মাধ্যমে একটি ছবি তৈরিতে যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগত, এখন একটি বর্ণনার মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে একটি প্রাথমিক বা পূর্ণাঙ্গ ছবি তৈরি করা যাচ্ছে, যা শিল্পীকে তাঁর নিজস্ব আইডিয়া নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ দিচ্ছে। প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো দাবি করছে, তাদের এই টেক্সট-টু-ইমেজ পরিষেবাগুলো ব্যবহারকারীদের সৃজনশীলতা ও উৎপাদনক্ষমতা বাড়িয়ে দিচ্ছে, যার প্রভাবে বিশেষ করে শিক্ষাগত, বিজ্ঞাপন বা গবেষণাকাজে চিত্রনির্ভর যোগাযোগ আরও সহজ ও ব্যাপক হয়ে উঠবে।
তবে এসব প্রযুক্তিকে ঘিরে বিতর্কও কম নয়। এই টুলগুলো নতুন ছবি তৈরি করে ইন্টারনেটে থেকে যাওয়া শিল্পকর্ম, ছবি ও শৈল্পিক ধারণাগুলোর ওপর নির্ভর, যা কি না মেধাস্বত্ব ও কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের শঙ্কা তৈরি করছে। শিল্পীদের অনুমতি ছাড়াই তাঁদের কাজ ব্যবহৃত হওয়ায় সৃজনশীল পরিশ্রমের স্বীকৃতি ও সুরক্ষা বিঘ্নিত হচ্ছে। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এসব মডেল প্রায় সময়ই একই ধরনের সাংস্কৃতিক ছাঁচ অনুসরণ করে ছবি তৈরি করে, যার ফলে বিশ্বজুড়ে শিল্পমাধ্যমে বৈচিত্র্য, সমতা ও নতুন চিন্তার পরিসর সংকুচিত হয়ে পড়ছে বলে জানাচ্ছেন শিল্পীরা। গবেষকেরা বলছেন, এই ধরনের একমুখী উপস্থাপনায় সমাজের প্রান্তিক গোষ্ঠী বা বিকল্প শিল্পধারার প্রতিনিধিত্ব প্রায়ই অনুপস্থিত বা উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।
এটি সত্য যে এসব টুল সময় ও খরচ বাঁচিয়ে উচ্চমানের ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরিতে সুবিধা এনে দেওয়ায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপগুলো উপকৃত হতে পারে। কিন্তু এদের অতি ব্যবহার শিল্পী, ডিজাইনার ও ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কর্মসংস্থানের সংকট তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে। আরেকটি উদ্বেগজনক দিক হলো, এই এআই টুলগুলোর সাহায্যে সহজেই ভুয়া ছবি বা কনটেন্ট তৈরি করা সম্ভব, যা সামাজিক বিভ্রান্তি, রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা ও তথ্য জালিয়াতির আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে। আইনি ও অন্যান্য কাঠামোগত প্রস্তুতির অভাব থাকায় বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এসব আশঙ্কা আরও বেশি।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, জেনারেটিভ এআই টুলের উন্নয়ন ও মূল্যায়ন নিয়ে যে গবেষণা ও বিতর্ক চলছে, তা এখনো প্রধানত পাশ্চাত্য প্রেক্ষাপটে সীমাবদ্ধ। প্রাপ্তিস্বল্পতার কারণে টুলগুলোকে অনেক সময়ই সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যহীন ডেটাসেটের ওপর প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। যদিও এসব টুল গ্লোবাল সাউথ, যেমন দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার মতো অঞ্চলে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, তবু এসব অঞ্চলের সামাজিক-প্রযুক্তিগত বাস্তবতা এবং সাংস্কৃতিক প্রসঙ্গগুলো প্রায়ই গবেষণায় উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। ফলে গ্লোবাল মেজরিটি, যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও প্রযুক্তির উন্নয়ন–কাঠামোতে প্রান্তিক, তাদের অভিজ্ঞতা, চাহিদা ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিগুলো যথাযথভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে না।
এ বিষয়ের গবেষক হিসেবে আমরা মনে করি, এই ন্যায্যতার প্রশ্ন আমাদের সামনে নিয়ে আসতে হবে, কেননা এআইকে বহু মানুষের না করে তোলা পর্যন্ত এর বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্ন থেকে যাবে।
বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং আশঙ্কাগুলোকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশ্বিক আলাপে তুলে ধরার গবেষণাগত শূন্যতা পূরণে আমরা কয়েক ধাপে উদ্যোগ নিই। প্রথম ধাপে, কয়েক মাস ধরে আমরা কথা বলি বাংলাদেশের বিভিন্ন ‘ইমেজ প্র্যাকটিশনার’দের সঙ্গে। ইমেজ প্র্যাকটিশনার বলতে আমরা এমন পেশাজীবীদের বোঝাচ্ছি, যাঁরা তাঁদের পেশাগত কাজে ডিজিটাল ইমেজ তৈরি বা উৎপাদন করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন স্থপতি, যাঁরা স্থাপত্য নকশা–ভাবনা তুলে ধরতে ড্রয়িং ব্যবহার করেন; ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট, যেমন গ্রাফিক ডিজাইনার, ইলাস্ট্রেটর ও কনটেন্ট আর্টিস্টরা, যাঁরা অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রে চরিত্র, পরিবেশ বা প্রাণীর নকশা করেন।
বাংলাদেশ তারুণ্যের শক্তিতে ভর করে এক নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলছে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা নীতিনির্ধারকদের বলতে চাই যে আমাদের স্থানিক প্রযুক্তিভাবনাকেও জাতীয়ভাবে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিচ্ছে।আমরা বাণিজ্যিক কাজে যুক্ত শিল্পীদের সঙ্গেও কথা বলেছি। যাঁরা ব্র্যান্ড, চলচ্চিত্র, সিরিজ বা বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমের জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করেন। এই বৈচিত্র্যময় শিল্পগোষ্ঠীর অভিজ্ঞতা জানতে চাওয়ার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে টেক্সট-টু-ইমেজ টুল ব্যবহারের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বাস্তবতাগুলো বুঝতে চেষ্টা করেছি।
আমাদের প্রকাশিত গবেষণায় উঠে এসেছে, কীভাবে জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তিগুলো চিত্রমাধ্যমে আমাদের সাংস্কৃতিক আবহকে সীমিত করে ফেলছে। এসব টুল প্রায় অপ্রতিনিধিত্বশীল ছবি তৈরি করতে পারে, যা বাংলাদেশের সমাজের সাংস্কৃতিক সূক্ষ্মতা ও জীবন অভিজ্ঞতাকে ‘অপর’ করে তোলে। আমরা শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি, যাঁরা টুলগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে তাঁদের পেশায় এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চান, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ভাষার দুর্বলতা এবং প্রযুক্তিগত অসামর্থ্য তাঁদের সৃজনশীলতা এবং অনুসন্ধানী মনোভাবকে বাধাগ্রস্ত করছে।
বিষয়টি নিয়ে আরও গভীরে যেতে আমরা বাংলাদেশের স্থানিক ও সাংস্কৃতিক বাস্তবতায় টুলগুলোর প্রম্পট অনুসরণক্ষমতা নিয়ে তাত্ত্বিক ও গুণগত মূল্যায়ননির্ভর গবেষণা করি। আমরা দেখতে পাই, উন্নত দেশের প্রেক্ষাপটে সফল হলেও দেশীয় শৈল্পিক রীতিনীতি পুনরুৎপাদনে মডেলগুলো ব্যর্থ হচ্ছে। গবেষণার পরবর্তী ধাপে আরও প্রান্তিক শিল্পীদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করি।
এবার আমরা কথা বলি রিকশা আর্টিস্ট, মেহেদি আর্টিস্ট, আলপনা আঁকিয়েদের সঙ্গে। আমাদের গবেষণায় আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করছি যে ছবি আঁকার বিষয়টি শিল্পীদের সামষ্টিক অভিজ্ঞতা ও মর্যাদার সঙ্গে জড়িত এবং বিষয়টিকে অবহেলা করে সামগ্রিকভাবে এআইনির্ভর আর্টকে বৈচিত্র্যপূর্ণ করা সম্ভব হবে না। এসব গবেষণা এখনো চলমান; কিন্তু আমাদের বিশ্বাস, এগুলো প্রকাশিত হলে সেগুলো দেশীয় প্রেক্ষাপটে এআই টুলগুলোর উন্নতি এবং একই সঙ্গে এদের ঘিরে নৈতিক ব্যবহারবিধি ও আইনি নীতিমালা প্রস্তুতিতে ভূমিকা রাখবে।
এ পর্যায়ে আমাদের গবেষণাপদ্ধতির অংশ হিসেবে আমরা একটি এআই আর্ট হ্যাকাথনের পরিকল্পনা করেছি। মাইক্রোসফট, ইউএনডিপি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশনের সহায়তায় এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সারা বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পেশাজীবী, শিক্ষার্থী, শিল্পী ও প্রযুক্তিতে আগ্রহী সবাই এক প্ল্যাটফর্মে আসবেন। অংশগ্রহণকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ছবি তৈরি করবেন।
এই ছবিগুলোতে তাঁরা তুলে ধরার চেষ্টা করবেন বাংলাদেশি কোনো একটি প্রেক্ষাপটকে, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে খুব একটা চর্চিত হয়নি। তাই অংশগ্রহণকারীদের পুরোপুরি জেনারেটিভ এআইয়ের ওপর ভরসা করার সুযোগ নেই। তখন সামনে প্রশ্ন চলে আসে, কী করে একটা ছবি তৈরি করা যায়, যেখানে অংশগ্রহণকারীর মূল ভাবনা ও স্বকীয়তা বিসর্জন না দিয়ে এআই ব্যবহার করতে পারে।
এখানে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে, আমাদের প্রয়াস এআইকে ঘিরে নয়, বরং আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশি শিল্পীদের চিত্রকর্মের উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে আগ্রহী।
এটি বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত এআইনির্ভর প্রতিযোগিতা, যা বৈশ্বিক উদাহরণ হিসেবেও কাজ করবে। এই প্রাণবন্ত প্রতিযোগিতাটির মধ্য দিয়ে আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি একজন শিল্পী যখন নিজের সামাজিক–সাংস্কৃতিক অবস্থান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর শিল্পভাবনাকে এআই মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চান, তখন ঠিক কী কী বাধার সম্মুখীন হন। আমরা আরও ভাবছি, কী করে সম্মিলিত সৃজনশীলতার শক্তিতে এআই টুলগুলোর সীমাবদ্ধতাগুলোকে আমরা উতরে যেতে পারি।
বাংলাদেশ তারুণ্যের শক্তিতে ভর করে এক নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলছে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা নীতিনির্ধারকদের বলতে চাই যে আমাদের স্থানিক প্রযুক্তিভাবনাকেও জাতীয়ভাবে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিচ্ছে।
বাংলাদেশেও এআই রেডিনেস বা প্রস্তুতিবিষয়ক সরকারি ও উন্নয়ন-সহযোগীদের প্রচেষ্টা চলমান। নতুন অর্থনৈতিক যাত্রায় আমাদের তরুণ প্রজন্মের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় দক্ষতা বাড়ানো যেমন অত্যন্ত জরুরি, তেমনি এই প্রযুক্তিগত পরিষেবাকে আমাদের সমাজ–সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে গড়ে তোলার জন্য নতুন কার্যকর পদ্ধতি আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। এ বিষয়ে গবেষণা জারি রাখার বিকল্প নেই।
আবদুল্লাহ হাসান সাফির কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্যে পিএইচডি গবেষক ([email protected])
নুসরাত জাহান সহকারী অধ্যাপক ([email protected])
ইশতিয়াক আহমেদ সহযোগী অধ্যাপক ([email protected]) হিসেবে টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডায় কর্মরত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ত র ম ব দ ধ মত ত জ ন র ট ভ এআই ব যবহ র কর আর ট স ট আম দ র স এআই ট ল স জনশ ল ন র ভর এই প র ব ষয়ট র বলত
এছাড়াও পড়ুন:
নিখোঁজের ১০ দিন পর পাহাড়ে মিলল বস্তাবন্দি মরদেহ
নিখোঁজের ১০ দিন পর কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার একটি পাহাড় থেকে মাহাবুর রহমান (২২) নামে ইজিবাইক চালাকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম উলুচামারি আখির বাপেরঘোনা পেডান আলীর পাহাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
ট্রেনের ধাক্কায় খালে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
সড়কের পাশে পড়ে ছিল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ
তিনি বলেন, “মরদেহটি অর্ধগলিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন রয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
নিহত মাহাবুর রহমান হ্নীলার উলুচামারি হামজারছড়ার বাসিন্দা মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে। গত ৪ এপ্রিল সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
পুলিশ জানায়, স্থানীয়রা সকালে পেডান আলীর পাহাড়ে বস্তাবন্দি একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরিবারের সদস্যরা পরনের কাপড় দেখে মরদেহটি মাহাবুরের বলে শনাক্ত করেন।
মাহাবুরের বড় ভাই সৈয়দ আলম অভিযোগ করে বলেন, “ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্যই আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে। এখনো তার ইজিবাইকটির সন্ধান মেলেনি।”
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ