পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান, বেড়েছে লেনদেন
Published: 9th, April 2025 GMT
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (৯ এপ্রিল) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন বাড়েছে। তবে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১০.
ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১৪৪টি কোম্পানির, কমেছে ১৯৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৮টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৫২৭ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৮৩ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৫.১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৮৪৯ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩.০৫ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৫৩০ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ০.৬৩ পয়েন্ট কমে ৯৪৭ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৮.৫৭ পয়েন্ট কমেছে ১২ হাজার ৬২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ২১৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৮৫টি কোম্পানির, কমেছে ১০৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১টির।
সিএসইতে ৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল খ ট ক র শ য় র ও ইউন ট স এসইত ড এসই স এসই
এছাড়াও পড়ুন:
বিদায়ী সপ্তাহে কমেছে সূচক, লেনদেন-মূলধনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
দেশের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন বাড়লেও সিএসইতে কমেছে। এদিকে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩.৯৩ পয়েন্ট বা ০.২৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২০৫ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৩.২১ পয়েন্ট বা ০.৬৯ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯২৭ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪.৮৫ পয়েন্ট বা ০.৪২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১৭২ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ২৫.১৪ পয়েন্ট বা ২.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৬৫ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ২২২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪৩৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬২৭ কোটি ১১ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৮০৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪১টির, দর কমেছে ২৩৫টির ও দর অপরিবর্তিত ১৯ রয়েছে টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৮টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩২ পয়েন্ট বা ০.২১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫০৯ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.০০৮ শতাংশ কমে ১২ হাজার ২৭ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.০৯ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮৩৪ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৭৭ শতাংশ বেড়ে ৯৪৯ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ০ শতাংশ থাকায় ২ হাজার ৮০ পয়েন্ট অপরিবর্তীত রয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২ হাজার ৩ কোটি ৭ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৮৭৫ কোটি ৯ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩১৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩১টির, দর কমেছে ১৬৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা