বিপিএলের পর এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও পারিশ্রমিক নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। টাকা না পাওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করেছেন পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের খেলোয়াড়েরা। বুধবার দুপুরে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন ক্লাবটির ক্রিকেটাররা।

যদিও বিসিবিতে গিয়ে তাঁকে না পাওয়ায় বিসিবি পরিচালক নাজমূল আবেদীনের কাছে চিঠিটি জমা দিতে যান তাঁরা। পরে সেটি সিইওর অফিসে জমা দিয়ে আসেন ক্রিকেটাররা। আজ সকালেই পারটেক্সের খেলোয়াড়দের অনুশীলন বর্জনের খবর ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন৬ বলে ৬ ছক্কা থেকে ৯ ছক্কায় রেকর্ড সেঞ্চুরি৫ ঘণ্টা আগে

যদিও ৩-৪ জন ক্রিকেটারকে একাডেমি মাঠে পারটেক্সের জার্সি গায়ে অনুশীলন করতে দেখা যায়; তবে বেশির ভাগ ক্রিকেটারই দুপুর পর্যন্ত পারিশ্রমিকের আশ্বাসের আশায় জিমে বসে ছিলেন। দুপুর পর্যন্ত কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় বিসিবিতে যান খেলোয়াড়েরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সাব্বির রহমান ও মুক্তার আলীর মতো পরিচিত মুখও।

পারটেক্সের কয়েকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের এবার কম পারিশ্রমিকে দলে নেওয়া হয়েছে। সেগুলোও এখনো পরিশোধ করা হয়নি। একরকম বাধ্য হয়ে তাঁরা এখন আনুষ্ঠানিক চিঠি দিচ্ছেন। সমস্যার সমাধান না হলে ম্যাচ বর্জনের হুমকিও দিয়ে রেখেছেন পারটেক্সের খেলোয়াড়েরা।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পারটেক্সের কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘খেলোয়াড়েরা ৬০ শতাংশ পারিশ্রমিক পেয়েছে। বাকিটাও দিয়ে দেওয়া হবে। তারা ভয় পাচ্ছে দল ভালো না করায় হয়তো টাকা পাবে না।’

আরও পড়ুন২৮৮ রান, ২৪৪–ই চার–ছক্কায়২৮ মিনিট আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য–ঘাটতি কমানো নিয়ে কথা হয়েছে: পররাষ্ট্রসচিব

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কীভাবে বাণিজ্য–ঘাটতি কমানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ। ঢাকা সফররত দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক এবং পূর্ব এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক উপসহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হেরাপের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান।

পররাষ্ট্রসচিব জানান, দুই মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে সফর করছেন। বৃহস্পতিবার তাঁরা প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই সরকারের চলমান সংস্কার, নির্বাচন, ইউএসএইডের তহবিল কাটছাঁট পুনর্বিবেচনা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনার সময় সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরোপিত উচ্চ শুল্ক নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা বলেছি। আমরা এ পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি, তা তাঁদের জানিয়েছি। আমরা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য–ঘাটতি কীভাবে কমিয়ে আনা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। সামনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো কী কী ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে, সেটা তাঁদের আমরা জানিয়েছি।’

মার্কিন পক্ষ থেকে বৈঠকে জানানো হয়েছে, ৯০ দিনের সময় খুবই কম এবং সমস্যা সমাধানের জন্য ৯ জুলাইয়ের আগে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বাংলাদেশ ৯০ দিনের শুল্ক স্থগিত রাখার বিষয়টিকে বিরতি হিসেবে বিবেচনা করে না এবং উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থে নতুন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শের উপায় খুঁজে বের করার জন্য সক্রিয়ভাবে এই সময়কে কাজে লাগাচ্ছে।

জসীম উদ্দিন বলেন, ‘আলোচনায় বিশেষ স্থান পেয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। রোহিঙ্গা প্রসঙ্গটি আমরা বড়ভাবে আলোচনা করেছি। আমরা এ সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের ওপর জোর দিয়েছি। তাঁরা বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের অভিমত জানতে চেয়েছেন।’

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে উচ্চপর্যায়ের একটি সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। আমরা তাঁদের রাজনৈতিক ও মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়েছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ