চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেডের (কেইপিজেড) জন্য অধিগ্রহণ করা জমি হস্তান্তর-সংক্রান্ত দীর্ঘ দুই যুগের জটিলতা মাত্র দুই মাসে নিরসন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনা অনুযায়ী কেইপিজেড কর্তৃপক্ষকে ২ হাজার ৪৮৩ একর জমির দলিল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিট্রেট ফরিদা খানম। 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দলিল হস্তান্তর করা হয়। 

জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম জানিয়েছেন, কেইপিজেডের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির দলিল হস্তান্তর নিয়ে দীর্ঘ দুই যুগ ধরে জটিলতা ছিল। এ কারণে বিদেশি বিনিয়োগ বিঘ্নিত হচ্ছিল। এ পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় জমি-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। মাত্র দুই মাস সময়ের মধ্যেই দুই যুগ ধরে ঝুলে থাকা জটিলতা নিরসন করে কেইপিজেড কর্তৃপক্ষকে ২ হাজার ৪৮৩ একর জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়। কেইপিজেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কর্নেল (অব.

) মো. শাহজাহান দলিল গ্রহণ করেছেন।

এর ফলে কোরিয়ান ইপিজেডে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং চট্টগ্রাম জেলায় দুই লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কোরিয়ান ইপিজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ), ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রূপনগরে শিশুদের জন্য ভ্রাম্যমাণ খেলার জায়গা উদ্বোধন

এলাকাভিত্তিক খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে শিশুদের জন্য রাজধানীর মিরপুরে রূপনগর আবাসিক এলাকায় ভ্রাম্যমাণ খেলার জায়গা (মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড) উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে স্কুল অব লাইফ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট ও হেলথ ব্রিজ ফাউন্ডেশন অব কানাডার সম্মিলিত উদ্যোগে এটির উদ্বোধন করা হয়। এই আয়োজনে সহযোগিতা করেন রূপনগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা।

আয়োজকেরা জানান, প্রতি শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর সড়কে নিয়মিত মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ডে খেলাধুলার আয়োজন করা হবে। খেলাধুলার মধ্য থাকবে দাবা, লুডু, ক্যারম, দড়ি লাফ ও ব্যাডমিন্টন। এ ছাড়াও থাকবে ছবি আঁকা, হস্তশিল্প ও সামাজিকীকরণের মতো বিভিন্ন কার্যক্রম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মাঠ ও পার্কের অপ্রতুলতা ঢাকা শহরের একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডের ৩৭টিতে কোনো খেলার মাঠ বা পার্ক নেই। শিশুদের খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এলাকাভিত্তিক মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড তৈরি একটি কার্যকর সমাধান। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে উঠবে, শহর হবে প্রাণবন্ত ও বাসযোগ্য।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্কুল অব লাইফের চেয়ারম্যান চিকিৎসক অনুপম হোসেন বলেন, ঘরবন্দী জীবনে শিশুরা হাঁপিয়ে উঠেছে। করোনাকালে দীর্ঘদিন ঘরে থাকার ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এলাকাভিত্তিক স্বল্প ব্যবহৃত বা অব্যবহৃত রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড তৈরি করে খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ তৈরি করা যায়। এতে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি নেতৃত্বগুণ ও সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ-পার্ক নেই। অর্থ ও স্থান সংকুলান বিবেচনায় সিটি করপোরেশনের পক্ষে দ্রুত বড় আকারের মাঠ-পার্ক তৈরি সম্ভব নয়। তবে খুব কম খরচে ও স্বল্প জায়গায় শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে এলাকাভিত্তিক খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের স্থান গড়ে তোলা সম্ভব। নগরবাসীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব লাইফের সদস্যসচিব সাবরিনা নওরিন লিমু, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মকর্তা, মিরপুর সেকশন- ৭ এর রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর সড়কের এলাকাবাসী ও শিশু-কিশোরেরা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা মো. মিঠুন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ