ভারতীয় বাংলা সিনেমার নায়ক জিৎ। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। যশ-খ্যাতি দুটোই কুড়িয়েছেন। একবার প্রত্যন্ত গ্রামে শো করতে গিয়ে ভীষণ বিপদে পড়েছিলেন তিনি। সেদিন অভিনয়ের খ্যাতিটুকুই বিপদ থেকে তাকে বাঁচিয়েছিল।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জিৎ জানান, গ্রামে শো করতে গিয়েছিলেন জিৎ। প্রত্যন্ত গ্রাম। শো শেষ হয় অনেক রাতে। ফেরার পথে সফরসঙ্গীদের সঙ্গে রাস্তার একটি ফাঁকা জায়গায় গাড়ি থামিয়েছিলেন। মূলত, পোশাক পরিবর্তনের জন্য তারা দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎ দেখেন ধেয়ে আসছে একদল লোক। ১৫-১৬ জন মতো হবে। সবার হাতে ধারালো অস্ত্র, ইট। জিতের গাড়ি ঘিরে ধরে তারা। ভয়ে যেন আত্মারাম খাঁচা ছাড়া অবস্থা সবার।

পরের ঘটনা বর্ণনা করে জিৎ বলেন, “গাড়ির ভেতরে বসে শুনতে পাচ্ছিলাম, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল লোকগুলো। আমাদের খুবই ভয় করছিল। তারপরই আমার মাথায় বুদ্ধি খেলে যায়। গাড়ির গ্লাস নামিয়ে নিজের মুখটা দেখাই। ভেবেছিলাম, আমাকে যদি ওরা চিন্তে পারে, তবে হয়তো ছেড়ে দেবে।”

আরো পড়ুন:

চুমু তো একা খাওয়া যায় না, কৌশানীর সঙ্গে চুম্বন দৃশ্য নিয়ে পরমব্রত

সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত, মদ্যপ পরিচালক গ্রেপ্তার

হামলাকারীদের লিডার প্রথমে বিশ্বাস করতে চাইছিল না গাড়িতে জিৎ আছেন। কিন্তু জিৎ যখন মাথা বের করেন তারপরই সে ছুটে আসে। জিৎ বলেন, “আমাকে চিনতে পেরে মানুষটাকে মুহূর্তের মধ্যে পাল্টে যেতে দেখি। যে মানুষ কিছুক্ষণ আগেও গুন্ডামি করছিল, খারাপ কথা বলছিল, আমার মুখটা দেখেই বিগলিত হয়ে গেল। স্ত্রীকে ‘পুষ্পার মা’ বলে ডাকতে শুরু করল।”

এ ঘটনা অভিনয় পেশার প্রতি জিতের শ্রদ্ধা বেড়ে যায়। জিৎ বলেন, “আমি বুঝতে পারি, এই পেশার মাহাত্ম্য ঠিক কতখানি। একশো কোটি টাকার মালিক হলেও, যদি পরিচিতি না থাকে, লুটে যেতে সময় লাগবে না। ওই ঘটনার পর অভিনয় পেশার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র করছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

রূপনগরে শিশুদের জন্য ভ্রাম্যমাণ খেলার জায়গা উদ্বোধন

এলাকাভিত্তিক খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে শিশুদের জন্য রাজধানীর মিরপুরে রূপনগর আবাসিক এলাকায় ভ্রাম্যমাণ খেলার জায়গা (মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড) উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে স্কুল অব লাইফ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট ও হেলথ ব্রিজ ফাউন্ডেশন অব কানাডার সম্মিলিত উদ্যোগে এটির উদ্বোধন করা হয়। এই আয়োজনে সহযোগিতা করেন রূপনগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা।

আয়োজকেরা জানান, প্রতি শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর সড়কে নিয়মিত মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ডে খেলাধুলার আয়োজন করা হবে। খেলাধুলার মধ্য থাকবে দাবা, লুডু, ক্যারম, দড়ি লাফ ও ব্যাডমিন্টন। এ ছাড়াও থাকবে ছবি আঁকা, হস্তশিল্প ও সামাজিকীকরণের মতো বিভিন্ন কার্যক্রম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মাঠ ও পার্কের অপ্রতুলতা ঢাকা শহরের একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডের ৩৭টিতে কোনো খেলার মাঠ বা পার্ক নেই। শিশুদের খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এলাকাভিত্তিক মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড তৈরি একটি কার্যকর সমাধান। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে উঠবে, শহর হবে প্রাণবন্ত ও বাসযোগ্য।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্কুল অব লাইফের চেয়ারম্যান চিকিৎসক অনুপম হোসেন বলেন, ঘরবন্দী জীবনে শিশুরা হাঁপিয়ে উঠেছে। করোনাকালে দীর্ঘদিন ঘরে থাকার ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এলাকাভিত্তিক স্বল্প ব্যবহৃত বা অব্যবহৃত রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড তৈরি করে খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ তৈরি করা যায়। এতে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি নেতৃত্বগুণ ও সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ-পার্ক নেই। অর্থ ও স্থান সংকুলান বিবেচনায় সিটি করপোরেশনের পক্ষে দ্রুত বড় আকারের মাঠ-পার্ক তৈরি সম্ভব নয়। তবে খুব কম খরচে ও স্বল্প জায়গায় শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে এলাকাভিত্তিক খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের স্থান গড়ে তোলা সম্ভব। নগরবাসীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব লাইফের সদস্যসচিব সাবরিনা নওরিন লিমু, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মকর্তা, মিরপুর সেকশন- ৭ এর রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর সড়কের এলাকাবাসী ও শিশু-কিশোরেরা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা মো. মিঠুন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ