নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আমু-সালমান-মেনন-দীপু মনিসহ ১০ জন
Published: 9th, April 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকালে বিভিন্ন জনকে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক শুনানি শেষে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
অন্যরা হলেন—ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, সাদেক খান, আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ই-কর্মার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সার।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা ওই ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। এদিন সকাল ৯টার দিকে তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানিকালে সকাল সোয়া ১০ টার তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, যাত্রাবাড়ী থানার সাজেদুর রহমান ওমর হত্যা মামলায় আমির হোসেন আমু, সালমান এফ রহমান, ডা.
গত ২১ জুলাই দুপুর আড়াইটায় যাত্রাবাড়ী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন সাজেদুর রহমান ওমর। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ আগস্ট মারা যান সাজেদুর। এ ঘটনায় ৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়। সালমান এফ রহমানসহ ছয় জনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট টঙ্গী সরকারি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান ইউসুফ (২০) মিছিলে অংশ নেন। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে মিছিলটি উত্তরা পূর্ব থানাধীন আজমপুর এলাকায় পৌঁছালে একটি গুলি তার বাম কাঁধে লাগে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন ইউসুফ। ২২ আগস্ট ১১ জনকে এজাহারনামীয় ও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী জুবায়ের হাসান ইউসুফ। এ মামলায় শমী কায়সার সন্দিগ্ধ আসামি। তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ঢাকা/মামুন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ র কর ইউস ফ রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
কৃষ্ণাকে ছাড়াই ভুটান গেলেন ৫ নারী ফুটবলার
সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা ও মাতসুশিমা সুমাইয়ার পর ভুটানের ফুটবল লিগে খেলতে গেলেন আরও পাঁচ নারী ফুটবলার। আজ সকালে তাঁরা থিম্পুর উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন।
এই পাঁচজন হলেন সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, মাসুরা পারভীন ও রুপনা চাকমা। তাঁদের সঙ্গে ভুটান যাওয়ার কথা থাকলেও ওয়ার্ক পারমিট হাতে না পাওয়ায় অপেক্ষা বাড়ল কৃষ্ণা রানীর। বাফুফে সূত্রে আজ এমনটাই জানা গেছে।
আরও পড়ুনভুটানের লিগে খেলতে যাচ্ছেন কৃষ্ণা–সানজিদাসহ আরও চার ফুটবলার০৮ এপ্রিল ২০২৫৬ এপ্রিল ভুটান যাওয়া সাবিনা, ঋতুপর্ণা, সুমাইয়া ও মনিকা খেলবেন ভুটানের ক্লাব পারো এফসির হয়ে। ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের জার্সিতে মাঠে দেখা যাবে ডিফেন্ডার মাসুরা ও গোলকিপার রুপনাকে। ফরোয়ার্ড কৃষ্ণার একই দলের হয়ে খেলার কথা রয়েছে। আর থিম্পু সিটির হয়ে খেলবেন সানজিদা, মারিয়া ও শামসুন্নাহার।
বিদেশি ক্লাবের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের নতুন নয়। এর আগে মালদ্বীপ ও ভারতের ঘরোয়া নারী লিগে খেলেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। কলকাতা ইস্ট বেঙ্গলের জার্সিতে মাঠে নামার সুযোগ হয়েছে সানজিদা আক্তারের।
আরও পড়ুনঅনুশীলনে ফিরেও দুশ্চিন্তায় বিদ্রোহীরা০৮ এপ্রিল ২০২৫এরপর গত বছরের আগস্টে ভুটানের ক্লাব রয়্যাল থিম্পু কলেজ এফসির হয়ে খেলতে যান বাংলাদেশের চার ফুটবলার সাবিনা, ঋতুপর্ণা, মারিয়া মান্দা ও মনিকা। তখন এএফসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার জন্য তাঁদের নিয়েছিল ভুটানের ক্লাবটি।
১৫ এপ্রিল ভুটানের নারী লিগ শুরু হওয়ার কথা। এই লিগ প্রায় ছয় মাস চলে। ভুটানের লিগ চলাকালে এই খেলোয়াড়েরা জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেলে তাঁরা ঢাকায় ফিরে আসবেন।