প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে তামিম ইকবালের হার্ট অ্যাটাকের ধাক্কা এখনো কাটেনি। এর মধ্যেই বিকেএসপিতে আজ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আম্পায়ার গাজী সোহেল। অগ্রণী ব্যাংক ও মোহামেডানের মধ্যেকার ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল তাঁর।

তবে সকালে শারীরিকভাবে ভালো অনুভব না করায় আর মাঠেই নামেননি গাজী সোহেল। এ নিয়ে ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘মাঠে আসার পরই অসুস্থ অনুভব করছিলেন। পরে আর মাঠে নামেননি। তাঁর পরিবর্তে রিজার্ভ আম্পায়ার এখন দায়িত্ব পালন করছে।’

আম্পায়ার্স কমিটিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অসুস্থ বোধ করায় বিকেএসপির হাসপাতালে গিয়েছেন গাজী সোহেল। এরপর সেখানে তাঁর প্রেশার ও পালস চেক করা হয়। প্রেশার ঠিক থাকলেও পালস একটু বেড়ে যাওয়াতেই অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। এখন ভালো আছেন গাজী সোহেল। আন্তর্জাতিক ম্যাচেও নিয়মিত আম্পায়ারিং করতে দেখা যায় গাজী সোহেলকে। এখন পর্যন্ত ৮ ওয়ানডে ও ৩১ টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

কিছুদিন আগে বিকেএসপিতে খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবাল। পরে তাঁকে সাভারের কেপিজে হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পৌঁছে যাওয়া তামিম এখন অনেকটাই সুস্থ। বর্তমানে চেকআপের জন্য তিনি আছেন সিঙ্গাপুরে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম প য় র ব ক এসপ

এছাড়াও পড়ুন:

সালিশে না আসায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় চুরি ও মাদকসেবনের অভিযোগে ডাকা সালিশে না আসায় বাবা-ছেলেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। রোববার দুপুরে উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নের নাওগাঁও দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত দুজন হলেন- নাওগাঁও পশ্চিম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল গফুর (৪০) ও তার ছেলে মেহেদী হাসান (১৫)। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, নিহত বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি ও চুরি ঘটনায় সালিশ বসার কথা ছিল। এজন্য দুপুরে গফুরের বাড়িসংলগ্ন মাদ্রাসার সামনে গ্রামের শত শত মানুষ উপস্থিত হন। কিন্তু সালিশে না গিয়ে নিজ ঘরে রামদা হাতে বসে ছিলেন গফুর  ও মেহিদী। এ সময় তাদের ডাকতে সালিশের কয়েকজন লোক বাড়িতে গেলে দা নিয়ে তেড়ে যান গফুর। এতে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ লোকজন দা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গফুর এবং তার ছেলে মেহেদীকে হত্যা করে। এ সময় তারা বাবা-ছেলের মাদক বিক্রি সেবনের আস্তানা হিসাবে পরিচিত পাশের গ্রামের হারুন অর রশিদ নামের এক ব্যক্তির বাসা, দোকান ও একটি মাজার ভাঙচুর করে।

গফুরের স্ত্রী শিল্পী আক্তার বলেন, স্থানীয় হাবিবুর রহমানসহ শত শত মানুষ সালিশের নামে আমার স্বামী ও ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তারা যত অপরাধই করে থাকুন, দেশে আইন আছে, আইনের মাধ্যমে বিচার হতো। কেন তারা বাবা ও ছেলেকে কেন নির্মমভাবে হত্যা করল।

ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকনুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন। 

অন্যদিকে, জোড়া হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার কাজী আখতারুল আলম। এ সময় তিনি ভুক্তভোগী পরিবারসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ