সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার চরঘাটিনা গ্রামের এক সাংবাদিকের (ঢাকায় কর্মরত) পৈত্রিক জমির মাটি কেটে বিক্রির দায়ে জেলা ছাত্রদলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত পাভেল মিয়া সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও উল্লাপাড়ার চর ঘাটিনা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম সেরাজও বহিষ্কারের বিষয়টি বুধবার সমকালকে নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্মসাধারণ সম্পাদক পাভেল মিয়াকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

এর আগে পাভেল মিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকায় কর্মরত রাহিদ রনি নামে এক সাংবাদিকের সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার জমিতে জোর করে ৬ ফুট গর্ত করে তিন লাখ টাকার মাটি বিক্রিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠে। সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভুক্তভোগী সাংবাদিক রনি অভিযোগ করেন। কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রদলের কাছে এ ঘটনার বিচার ও শাস্তি দাবি করেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ন ত ছ ত রদল স র জগঞ জ স র জগঞ জ ছ ত রদল র

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন শিল্পে গ্যাসের মূল্য ৩৩% বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের

নতুন শিল্পে গ্যাসের মূল্য ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধির নিন্দা জানিয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, বিনিয়োগের পরিবেশ ও সাধারণ মানুষের জীবনমানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করে সংগঠনটি।

আজ সোমবার রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, করোনা মহামারি থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি ধারাবাহিক সংকটে জর্জরিত। এ সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সরকার ‘সার্বিক বিনিয়োগ বাড়ানোর’ অঙ্গীকার করলেও গ্যাসের দাম বাড়িয়ে শিল্প খাতকে চাপের মুখে ফেলেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) স্বীকার করেছে, তারা মূল্যবৃদ্ধির পক্ষে কোনো স্পষ্ট অর্থনৈতিক বা রাজস্বভিত্তিক যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেনি। কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘রাজস্ব চাহিদা’ বিবেচনা না করে মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সরকারের প্রতিশ্রুত স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থার পরিপন্থী।

এ অবস্থায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—শিল্প খাতসহ সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সহনীয় মূল্যকাঠামো নির্ধারণ করা, জ্বালানি খাতের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং দুর্নীতি ও অপচয় রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া, ‘নতুন’ ও ‘পুরোনো’ শিল্পের মধ্যে বৈষম্য দূর করে একই মূল্যনীতি চালু করা এবং ভবিষ্যতে কোনো নীতি প্রণয়নের আগে সব স্তরের অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা ও তাদের সম্মতি নিশ্চিত করা।

আরও পড়ুননতুন শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ল ৩৩ শতাংশ, পুরোনো শিল্পে বাড়তি ব্যবহারে নতুন দাম১৩ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ