মাগুরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ ৯ জন আটক
Published: 9th, April 2025 GMT
মাগুরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে জেলা চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়কসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের কাছে থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি মাদক পাওয়া গেছে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মাগুরা পৌরসভার পারলা এলাকায় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হচ্ছেন মাগুরা চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি ফরিদ হাসান খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রেজা, শহরের হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা নূহু দারুল হুদা, ভায়না এলাকার কাজী আরিফুল হক, আবালপুর গ্রামের আবদুল জলিল, শ্রীপুর উপজেলার বাখেরা গ্রামের আইনুল হোসাইন, শাহীন শেখ, পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইলিয়াছ খান ও ঢাকার আদাবর এলাকার সৈয়দ খায়রুল আলম।
মাগুরা সেনা ক্যাম্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, পৌরসভার পারলা এলাকায় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছেন। গতকাল রাতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১টি চায়নিজ পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ২টি একনলা বন্দুক, ৪টি গুলি, ১টি এয়ার গান, এয়ারগানের ২৬৪টি গুলি, ২টি চায়নিজ কুড়াল, ৬টি চাপাতি, ২ বোতল মদ, ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ও ১১টি মুঠোফোন ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয়।
তবে এ অভিযানকে ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করেছেন আটক হওয়া ফরিদ হাসান খানের ভাই জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুর রহমান খান। তিনি আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাইসহ যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে মাগুরার বেশ কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার রয়েছেন। তাঁরা আমাদের ব্যবসায়িক অংশীদার। অভিযানে যে টাকা উদ্ধার দেখানো হয়েছে, সেটা আমাদের ব্যবসায়িক টাকা। যেসব আগ্নেয়াস্ত্রের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো ওখানে ছিল না। ওখানে আমাদের ১৬ একর জমির ওপর ফার্ম, যে দেশি অস্ত্রের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো ওই ফার্মের পরিষ্কারের কাজে ব্যবহৃত হয়। এমন ষড়যন্ত্রমূলক কাজের জন্য সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।’
জানতে চাইলে মাগুরা সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর সাফিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফরিদ হাসান খানের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বেশ কিছু অভিযোগ ছিল। ওই সব অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অস্ত্র, মাদকসহ তাঁর সহযোগীদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের নাম ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ চায় ইসলামী আন্দোলন
বাংলাদেশের বর্তমান নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পরিবর্তে নাগরিকতন্ত্র ও জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ চালুর প্রস্তাব করেছিল সংবিধান সংস্কার কমিশন। তবে নতুন প্রস্তাবনায় ‘পিপল ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ’ তথা ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নামে প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে দেওয়া দলীয় মতামতে এমন প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন। জাতীয় সংসদ ভবনে অবস্থিত কমিশন কার্যালয়ে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে মতামত তুলে দেন দলটির প্রতিনিধিরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুস আহমাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, ইমতেয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব আহমদ আবদুল কাইয়ুম এবং মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক কে এম শরিয়াতুল্লাহ।
মতামত পেশ শেষে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রের নাম হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রস্তাব করেছে ‘ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ’। কারণ, এই নামের মধ্যেই জনকল্যাণ নিশ্চিত করার কথা বলা আছে। সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সব নির্বাচন সংখ্যানুপাতিক হারে চাই। স্থায়ীভাবে স্বৈরাচার প্রতিরোধিতা কার্যকর পদ্ধতি।
এ সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, স্বাধীনতার পর সবার অংশগ্রহণে রাষ্ট্রসংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে, যাতে রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা করছে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারব। আগামী শনিবার থেকে প্রতিদিনই কমিশন একাধিক দলের সঙ্গে সংলাপ করবে।
সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল শনিবার বাংলাদেশ জাসদ ও জাকের পার্টির সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।