গোপালগঞ্জে উৎপল মন্ডল ওরফে গৌতম মন্ডল (৪২) নামের এক ভুয়া পুলিশ সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
উৎপল মন্ডল ওরফে গৌতম মন্ডলের বাড়ি জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দিস্তাইল গ্রামে। গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মো.
তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন উৎপল। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
আরো পড়ুন:
সড়কের পাশে পড়ে ছিল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ
জামিন: জেল গেটে হামলার শিকার সাবেক এমপি আব্দুল আজিজ
ঢাকা/বাদল/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।
মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।