যশোরে ছাত্রদল নেতাকে চড়থাপ্পড়ের অভিযোগে দুই নেতার পদ স্থগিত
Published: 9th, April 2025 GMT
যশোরের চৌগাছা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব ইমন হাসানকে মারধরের অভিযোগে দুই ছাত্রদল নেতার পদ স্থগিত করা করা হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক রাজিবুল হকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অভিযুক্ত নেতারা হলেন চৌগাছা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জসীম উদ্দীন ও চৌগাছা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোবারক হোসেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জসীম উদ্দীন ও মোবারক হোসেনের সাংগঠনিক পদ স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান।
ছাত্রদলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় চৌগাছা সরকারি কলেজে গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি ছিল। উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব ইমন হাসানের নেতৃত্বে বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। এতে জসীম উদ্দীন ও মোবারক হোসেনকে ডাকা হয়নি। এ কারণে তাঁরা ক্ষুব্ধ হন। পরে দুপুরে ইমন হাসান স্থানীয় একটি পাম্পে গিয়ে মোটরসাইকেলে জ্বালানি নেওয়ার সময় তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইমনকে চড়থাপ্পড় মারা হয়। এ ঘটনায় বিকেলে স্থানীয় বিএনপির নেতারা উভয় পক্ষকে নিয়ে মীমাংসায় বসতে চাইলে সেখানে ইমন হাজির হননি।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জসীমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে মোবারক বলেন, ‘আমার কলেজ ইউনিটের কর্মসূচি। সব দায়দায়িত্ব আমার। অথচ আমাকে কিছু না জানিয়ে উপজেলা ইউনিটের সদস্যসচিব ইমন সেখানে গিয়ে নিজের মতো কর্মসূচি পালন করেন। বিষয়টি আমি জসীম ভাইকে জানাই। পরে ইমনের কাছে আমরা কৈফিয়ত চাইতে গেলে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জসীম ভাই ইমনকে চড়থাপ্পড় দেন। আমরা বিষয়টি ছাত্রদলের জেলা নেতাদের জানিয়েছি। তাঁরা তদন্ত করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র স উপজ ল ইমন হ
এছাড়াও পড়ুন:
আমার মেয়ে বিদায়ী সৌদি রাষ্ট্রদূতের দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চায়নি
‘সৌদি আরবের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের প্রতারণার শিকার আমার মেয়ে মেঘনা। ছয় মাস ধরে তার সঙ্গে মেয়ের ঘনিষ্ঠতা। তার দুই থেকে তিন মাস আগে থেকে তাদের মধ্যে পরিচয়।’ মডেল মেঘনা আলমেরব বাবা বদরুল আলম সমকালকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মেঘনা ‘মিস বাংলাদেশ’ নামে একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করেছিল। তার মাধ্যমে দেশে–বিদেশে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে অনেক বিশিষ্টজন, গুণী লোকজন আসতেন। ঢাকায় সেই ধরনের একটি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সব জানেন। তিনি দু’জনকে সহযোগিতা করেন। এরপর মেঘনার সঙ্গে বিদায়ী দূতের মধ্যে ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। একপর্যায়ের প্রেমের সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এরপর বিয়ে করতে চান। গত ৪ ডিসেম্বর মেঘনা ও দুহাইলানের আংটি বদল হয়েছিল বলে দাবি করেন বদরুল। তবে দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তিনি।
বদরুল বলেন, মেঘনার বসুন্ধরার বাসায় আসা–যাওয়া ছিল বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের। সম্পর্কের একপর্যায়ে মেঘনা জানতে পারে তার স্ত্রী ও ছেলে–মেয়ে রয়েছে। তখন সে আংটি ফেরত দেয়। সে কারো দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চায়নি। সৌদি দূতের স্ত্রীকে ঘটনাটি জানায়। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত। হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে মেঘনা ফেসবুক এ সম্পর্কে কিছু লেখা পোস্ট করেন। এরপরই মেঘনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন দুহাইলান।
মেঘনার বাবা আরও বলেন, প্রতারণার শিকার হয়েছে এটা জেনেও মেঘনা চেয়েছিল বিদায়ী রাষ্ট্রদূত তার কাছে এসে দুঃখ প্রকাশ করুক। কিন্তু সেটা করেননি তিনি। উল্টো বিনা অপরাধে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে। বিষয়টির সমঝোতার চেষ্টা করা হলে শেষ পর্যন্ত হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে বদরুল বলেন, কেন আমার মেয়ে তাকে ফাঁসাবে। যদি সে অন্যায় করত তাহলে তার বিরুদ্ধে তো সুনির্দিষ্ট মামলা হত। আইন সবার জন্য সমান। আমরা এখন ন্যায় বিচার চাই। সরকার আমার মেয়ের নিরাপত্তা দেবে এটা আমার দাবি।
মেঘনার বাবা বলেন, নর্থ–সাউথে পড়াশোনার সময় বসুন্ধরা একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে মেঘনা থাকত। সেখানে মাঝে মাঝে আমরা যেতাম। পরিবারের অন্যরা বেইলী রোডে থাকি।