বগুড়ায় ছিনতাইকারীর হামলায় আহত দুই পুলিশ সদস্য হাসপাতালে
Published: 9th, April 2025 GMT
বগুড়ায় ছিনতাইকারীরা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের ধাওয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় নারুলি পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই ফিরোজ আহমেদ ও কনস্টেবল মাহবুব আলম গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তারা শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নারুলি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নাজমুল হক জানান, মঙ্গলবার দুপুরে সারিয়াকান্দি থেকে বালুভর্তি একটি ট্রাক বগুড়ার দিকে যাচ্ছিল। পথে ফুলবাড়ী ফাঁড়ি এলাকায় দ্বিতীয় বাইপাস সড়কে একদল দুর্বৃত্ত ট্রাকটি থামিয়ে চালককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে চালককে দিয়ে ট্রাকটি নারুলিতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আবার ধাওয়াপাড়ায় একটি মাঠে এনে ট্রাক থেকে বালু নামিয়ে একটি ছ মিলের পাশে রেখে দেয়। এরপর চালককে সুইট নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয় এবং তার মালিকের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চালক ও ট্রাকটি উদ্ধার করে। এ সময় সুইট পালিয়ে গেলেও প্রাচীরের পাশ থেকে দুর্বৃত্তরা ইটপাটকেল ছুড়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে আহত হন এটিএসআই ফিরোজ ও কনস্টেবল মাহবুব। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন জানান, হামলাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতা পরিচয়ে হামলা, লুটপাট ও নির্যাতনের অভিযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি পরিচয়ে নেতা জমির মালিকানা দাবি করে জোরপূর্বক জমি দখল, হামলা, লুটপাট ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকাল ১০টার সময়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন কদমতলী ক্যানেলপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী আকলিমা আক্তার ডলি। অভিযোগের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মাহবুব তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টার দিকে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি পাগলাবাড়ি এলাকার কথিত বিএনপি নেতা ইলিয়াস ও জয়নালের নেতৃত্বে ৭০-৮০ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, রামদা ও চাপাতি নিয়ে, জমির মালিকানা দাবি করে বিভিন্ন বাড়িঘরে হামলা করে, এক ভুক্তভোগীর জমির সীমানা প্রাচীন ভাঙচুর করে এবং দখল করার উদ্দেশ্যে কয়েকটি সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেয়।
এসময় বাড়িওয়ালারা তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা ভুক্তভোগীদের উপর হামলা, নারীদের শ্লীলতাহানি, স্বর্ণালংকার লুট ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় ঘটনাস্থলের সামনে স্থাপিত আল জাকির মাদ্রাসার সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙ্গচুর করা হয়। যেখানে ধরা পরেছিল অভিযুক্তদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কিছু চিত্র।
এদিকে এবিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হামলা, লুটপাট ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ তোলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগকারী খাদিজা ও আসমা আক্তার জানান, তাদের সম্পদের ক্ষতি সাধন কালে তারা বাঁধা দিতে গেলে, ১৫-২০ জন যুবক তাদের উপর হামলা করে এবং তাদের গলাচিপে ধরে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় তাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
অপর এক ভুক্তভোগী সাবেক পুলিশ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আক্ষেপ নিয়ে বলেন, আমি ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে আমাদের উপর হামলার বিষয়ে জানিয়ে সাহায্য চাইলেও আমাদের সাহায্যে এখন পর্যন্ত কোন পুলিশ সদস্য আসেনি। তাই বাধ্য হয়ে এখন থানায় এসে অভিযোগ দিলাম।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার আংশিক সত্যতা স্বীকার করে জানান, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে ভুক্তভোগী বাড়িওয়ালাদের বাকবিতন্ডা হয়েছে এবং অভিযোগকারীর একটি দোকানের তালা খুলেছিল বসার জন্য, পরে এসআই মাহবুবের নেতৃত্বেই সেই তালা পুনরায় ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
এছাড়া নারী নির্যাতন, স্বর্ণালংকার লুট, ও সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙ্গচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।