খুলনায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, ২৯০০ জনের বিরুদ্ধে তিন মামলা
Published: 9th, April 2025 GMT
খুলনায় বাটা, ডমিনো’স ও কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে দায়ের হওয়া তিনটি মামলায় অজ্ঞাত প্রায় ২ হাজার ৯০০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার রাতে আটক ৩১ জনকে আজ বুধবার তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
সোনাডাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, বাটা শোরুমের ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় ১২০০-১৩০০ জন, কেএফসি ম্যানেজার সুজন মণ্ডলের মামলায় ৭০০-৮০০ এবং ডোমিনোজ পিৎজার ম্যানেজার শামসুল আলমের দায়ের করা মামলায় আরও ৭০০-৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পৃথক তিনটি মামলায় বাদী তাদের এজাহারে নিজ প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর, সম্পদ ও অর্থ লুটপাটের পাশাপাশি কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানের কাছে সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা, একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া তথ্য ও তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আশপাশে অন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু হয়েছে। এছাড়া সোমবার রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে যে ৩১ জনকে আটক করা হয়েছিলো পৃথক তিনটি মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ থেকে একদল সুযোগসন্ধানী মানুষ কেএফসি, বাটা ও ডমিনো’স পিৎজার শোরুমে ব্যাপক ভাঙচুর লুটপাট চালায়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।
মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।