পানি উন্নয়ন বোর্ডে ২৭৭ পদে বড় নিয়োগ, আবেদন করেছেন কি
Published: 9th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ৬ পদে ২৭৭ কর্মী নিয়োগ দেবে। নবম থেকে ১৬তম গ্রেডের এসব পদে আবেদন চলছে। এসব পদে নারীদের আবেদন করার জন্য উৎসাহিত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পদের নাম ও বর্ণনা
১. পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী (পুর)পদসংখ্যা: ৫০
গ্রেড: নবম
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।
২. পদের নাম: সহকারী পরিচালক (প্রশাসন)পদসংখ্যা: ৬
গ্রেড: নবম
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।
আরও পড়ুনচার বিসিএসের জট কাটিয়ে এক বছরে পরীক্ষা শেষ করার চিন্তা পিএসসির১৭ ঘণ্টা আগে৩.পদের নাম: উপসহকারী প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তা (পুর)/প্রাক্কলনিক
পদসংখ্যা: ১০২
গ্রেড-দশম
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা।
৪. পদের নাম: উপসহকারী প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তা (যান্ত্রিক/বিদ্যুৎ)পদসংখ্যা: ২২
গ্রেড: ১০
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা।
৫. পদের নাম: হিসাবরক্ষকপদসংখ্যা: ১৯
গ্রেড-১২
বেতন স্কেল: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা।
এআই জেনারেটেড ছবিউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গুলিবিদ্ধ ঈগল পাখিটিকে বাঁচাল দুই কিশোর
পড়ন্ত বিকেলে বদলগাছীর শালুককুড়ি মাঠে ধানক্ষেত দেখতে যায় সাব্বির হোসেন ও গোলাম রব্বানী নামে দুই কিশোর। ক্ষেতের মধ্যে বড় একটি ঈগল পাখিকে পড়ে থাকতে দেখে তারা। মানুষ দেখে আতঙ্কিত হয়ে চোখ রাঙাতে থাকে পাখিটি। প্রথমে ভয় পেলেও সাহস করে কাছে যায় তারা। ব্যথা আর যন্ত্রণায় পাখিটি কাতরাচ্ছি। ধান ক্ষেত থেকে তুলে জমির আইলে আনলে দেখা যায় দুই ডানা রক্তাক্ত। গভীর ক্ষত দেখে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ছোটেন তারা। চার কিলোমিটার পথ দূরে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে নিয়ে যায় অসুস্থ ঈগলটিকে। সেখানে ঈগলটির চিকিৎসা দেন প্রাণিসম্পদ কর্মকতা।
ঈগলটির দুই ডানায় গুলি করা হয়েছিল বলে জানান উপজেলা উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হাসান। একটি পাখির প্রতি ওই দুই কিশোরের এমন ভালোবাসা দেখে স্থানীয় লোকজনের প্রশংসায় ভাসছেন ওই দুই কিশোর। তারা হলো, মো. সাব্বির হোসেন ও গোলাম রব্বানী। তাদের বাড়ি পাশের বদলগাছি উপজেলার খাদাইল বাহ্মণপুকুর গ্রামে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যার পর ওই দুই কিশোর গুলিবিদ্ধ অসুস্থ ঈগল পাখিটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রাণিসম্পদ দপ্তরে নিয়ে যায়। পাখিটিকে দেখতে উৎসুক লোকজন ভিড় করছিলেন। চিকৎসার পর অসুস্থ ঈগলের দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন পৌর শহরের পুরাতন বাজার এলাকার মোশারফ হোসেন। এরপর ঈগল পাখিটিকে তাঁর জিম্মায় দেওয়া হয়।
সাব্বির হোসেন ও গোলাম রব্বানী জানান, শালুককুড়ি মাঠে নিজেদের ধানক্ষেত দেখতে গিয়েছিলাম। জমির আইল দিয়ে যেতেই বড় একটি ঈগল পাখিকে ধান খেতে পড়ে থাকতে দেখি। পাখিটি আমাদের দেখে চোখ রাঙাচ্ছিল। প্রথমে ভয় পেলেও আমরা সাহস করে ঈগল পাখিটির কাছে যাই। দুটি ডানায় ক্ষত চিহ্ন ও রক্ত দেখে তাৎক্ষণিক পাখিটিকে সুস্থ করতে আক্কেলপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে নিয়ে যাই। উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ঈগলের দুটি ডানা ড্রেসিং করে ইনজেকশন দিয়েছেন।
পাখিটির জিম্মা নেওয়া মোশারফ হোসেন বলেন, আমি ঈগল পাখিটিকে নিজের বাড়িতে রাখব। যত দিন লাগে সুস্থ করবো। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত নিজ উদ্যোগে নিয়মিত প্রাণিসম্পদ দপ্তরে আনা-নেওয়া করব।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপসহকারী কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হাসান সুমন বলেন, ঈগলটি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। ঈগলের দুই ডানায় গুলির দাগ রয়েছে। প্রায় চার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে দুই কিশোর ঈগল পাখির চিকিৎসা করাতে এনেছে। তাদের এমন কর্মকাণ্ড সত্যিই প্রশংসনীয়। যারা ঈগলটি গুলি করেছে তারা নিষ্ঠুর মনের মানুষ।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, ঈগল পাখিটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ভালো আছে। পাখি প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই পাখি শিকার থেকে সকলকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।