খুলনায় কেএফসি ও বাটা শোরুমে ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের
Published: 9th, April 2025 GMT
খুলনায় কেএফসি রেস্টুরেন্ট এবং বাটা শোরুম ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার পর সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দুটি রেকর্ড করা হয়।
কেএফসি রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলার বাদী হয়েছেন শাখা ব্যবস্থাপক সুজন মণ্ডল। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে। আর বাটার শোরুমে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা করেছেন শাখা ব্যবস্থাপক তাহেদুর রহমান। মামলায় আসামি করা হয়েছে এক হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ জনকে।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম গতকাল রাত সোয়া ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ইতিমধ্যে দুটি মামলা হয়েছে। ডোমিনোজ পিৎজা রেস্টুরেন্ট ভাঙচুরের ঘটনায় আরেকটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। যে ৩০ জনকে আটক করে ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে, তাঁদের এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এ ছাড়া ভিডিও ফুটেজ দেখে দেখে আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে।
গত সোমবার খুলনা নগরের ময়লাপোতা এলাকায় অবস্থিত কেএফসি ও ডোমিনোজ পিৎজা এবং শিববাড়ী এলাকায় অবস্থিত বাটা শোরুমে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। কেএফসি ও ডোমিনোজ পিৎজা রেস্টুরেন্ট একই ভবনে অবস্থিত।
আরও পড়ুনইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর–লুটের ঘটনায় ৪৯ জন গ্রেপ্তার২২ ঘণ্টা আগেপ্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকেলে নগরের শিববাড়ী মোড়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করা হয়। ‘সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে আয়োজিত ওই কর্মসূচিতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শেষে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আয়োজিত মিছিলটি শিববাড়ী–ডাকবাংলো হয়ে হাদিসপার্কের দিকে চলে যায়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।
মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।