Prothomalo:
2025-04-12@18:32:32 GMT

ইউনূস-মোদি বৈঠকের ফলাফল কী

Published: 9th, April 2025 GMT

নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক বা দেখাসাক্ষাৎ আয়োজনের চেষ্টা বাংলাদেশ বেশ কিছুদিন ধরেই করে যাচ্ছিল। ভারতের তরফে সাড়া পাওয়া যায়নি। গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় বাংলাদেশের তরফে এমন চেষ্টার উদ্যোগ ছিল। মার্চে মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরের আগে মোদির সঙ্গে বৈঠক হোক, সেই চেষ্টাও বাংলাদেশ করেছে, ভারত রা করেনি।

এরপর ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে এমন একটি বৈঠক অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ ভারতকে অনুরোধ করে। শুরুতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বৈঠকটি হয়েছে। ভারত বৈঠকে বসতে বাধ্য হয়েছে, বিষয়টি নিশ্চয়ই তা নয়, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মোদি অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন।

গত ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পর ভারত যে অবস্থান নিয়েছে, তাতে এটা মনে হওয়া স্বাভাবিক যে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ওপর চেপে বসা দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে যেন বিশাল এক অপরাধ করে ফেলেছে। অথচ ব্যাপারটি হওয়ার কথা ছিল উল্টো। কারণ, ভারত বাংলাদেশে এই স্বৈরশাসন টিকিয়ে রাখতে সরাসরি প্রভাব খাটিয়েছে।

৯ মাস ধরে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুরাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে না। কারণ, শেখ হাসিনার পতনকে ভারত তাদের পররাষ্ট্রনীতি ও কৌশলের সমস্যা বা ভুল হিসেবে বিবেচনা না করে সম্ভবত পরাজয় হিসেবে দেখছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতের এই বোধোদয় হচ্ছে না যে বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা একটি দল ও সেই দলের একজন নেতার ওপর ভরসা করা তাদের ঠিক হয়নি। কোনো বড় রাষ্ট্রের এ ধরনের পররাষ্ট্রনীতি বা কৌশল নেওয়ার নজির দেখা যায় না। বাংলাদেশে স্বৈরশাসন টিকিয়ে রাখার নীতি যে তাদের ভুল ছিল, তা ভারত বুঝতে পেরেছে বলেও মনে হয় না।

শেখ হাসিনার পতনের পর তাই তারা উল্টো শক্ত অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশের নাগরিকদের তারা ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছে। চিকিৎসার জন্য যারা ভারতে যায়, তাদের জন্যও ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বাস ও ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভারতজুড়ে শুরু হয় বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা। দেশটির অধিকাংশ সংবাদমাধ্যমও এর অংশ হয়ে পড়ে।

মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের কাছে যে বিষয়গুলো তুলেছেন, তার মধ্যে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া ছাড়া বাকি সব কটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা পুরোনো ইস্যু। বিশেষ করে বিভিন্ন সময়ে আশ্বাস দেওয়ার পরও ভারত সীমান্তে হত্যা বন্ধ করেনি। তিস্তার পানি ভাগাভাগি চুক্তি তারা বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রেখেছে। গঙ্গার পানি ভাগাভাগি নিয়ে যে চুক্তি হয়েছিল, তার মেয়াদ আগামী বছর শেষ হবে, বাংলাদেশ খুব স্বাভাবিকভাবেই এর নবায়ন চায়।

ভারতের এই রাষ্ট্রীয় অবস্থান সেখানকার জনতুষ্টিবাদী, জাতীয়তাবাদী বা হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির পালে হাওয়া দিচ্ছি ঠিকই, কিন্তু একটি আঞ্চলিক পরাশক্তি হিসেবে এর মধ্য দিয়ে ভারত কূটনৈতিকভাবে কতটা লাভবান হবে, ভবিষ্যৎই তা বলে দেবে।

অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের এমন আচরণের পরও বাংলাদেশ কেন ইউনূস-মোদি বৈঠকে জন্য এতটা তৎপর ছিল, সেই প্রশ্ন কেউ তুলতে পারেন। ভারতে যেমন বাংলাদেশ বিরোধিতা বেড়েছে, বাংলাদেশেও ভারত বিরোধিতা বেড়েছে। এমন একটি পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার জন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ যে সদিচ্ছা দেখাচ্ছে ও উদ্যোগ নিয়েছে, কূটনৈতিক বিবেচনায় তাকে পরিপক্ব অবস্থান হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইউনূস-মোদি বৈঠকের ফলাফল কী? বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক যখন সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় চলে এসেছে, তখন এই দুজন একটি বৈঠকে বসেছেন, এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের দিক থেকে দেখলে বলতে হয়, এই বৈঠক হয়েছে বাংলাদেশের আগ্রহ ও চেষ্টার ফল হিসেবে এবং এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশের সদিচ্ছার প্রমাণ দেওয়া গেছে।

বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ভারত বিরোধিতা থাকলেও সরকারের এই উদ্যোগের প্রতি কোনো বিরোধিতা দেখা যায়নি। অথচ ভারতের কূটনৈতিক মহলের কেউ কেউ বলেছেন, মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মোদির বৈঠকে বসা ঠিক হয়নি। দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সাবেক ও অভিজ্ঞ কূটনীতিককে উদ্ধৃত করেছে। একজন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মোদির বৈঠকটি ছিল খারাপ সিদ্ধান্ত।

ইউনূস-মোদি বৈঠকের কিছু দিক আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জেনেছি। এখানেও দুই দেশের সংবাদমাধ্যমের খবরের মধ্যে পাল্টাপাল্টি দেখা গেছে। সবকিছু মিলিয়ে এটা পরিষ্কার হয়েছে যে বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস কিছু প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদিও ভারতের পক্ষ থেকে কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন। এখানে নতুন কোনো ইস্যু নেই, কিন্তু কোন বিষয়গুলো তাঁরা তুলবেন, তা নিয়ে কৌতূহল ছিল।

মুহাম্মদ ইউনূস ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন, গঙ্গার পানি ভাগাভাগি চুক্তির নবায়ন ও তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের প্রসঙ্গ তুলেছেন।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি ভবিষ্যতে একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছেন।

মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের কাছে যে বিষয়গুলো তুলেছেন, তার মধ্যে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া ছাড়া বাকি সব কটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা পুরোনো ইস্যু। বিশেষ করে বিভিন্ন সময়ে আশ্বাস দেওয়ার পরও ভারত সীমান্তে হত্যা বন্ধ করেনি। তিস্তার পানি ভাগাভাগি চুক্তি তারা বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রেখেছে। গঙ্গার পানি ভাগাভাগি নিয়ে যে চুক্তি হয়েছিল, তার মেয়াদ আগামী বছর শেষ হবে, বাংলাদেশ খুব স্বাভাবিকভাবেই এর নবায়ন চায়।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউন স ম দ ক টন ত ক অবস থ ন ইউন স র দ ইউন স র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

‘উপদেষ্টাদের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, তাঁদের পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার খায়েশ হয়েছে’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান (রিপন) বলেন, ‘কিছু কিছু উপদেষ্টার বক্তব্যে শুনে মনে হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে এখন পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার একটা খায়েশ জন্ম হয়েছে। জনগণ নাকি তাঁদের পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চায়, সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। সত্যিটা হলো, জনগণ একটি জবাবদিহিমূলক সরকার চায়। জনগণ ভোট দিতে চায়। জনগণ ভোটের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’

আজ শুক্রবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং কলেজ মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান খানের সঞ্চালনায় ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে সমাবেশে যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাসুদ খান, উপজেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মোশারফ হোসেন, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি রোকেয়া বেগম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে স্পষ্ট করে লেখা আছে, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যের সরকার গঠন করবে। নির্বাচিত সদস্যদের মেজরিটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। এর বাইরে সংবিধানে অন্য কোনো কথা লেখা নেই। গত ১৫ বছর এ দেশে সেটা চলেনি, সে জন্য ২০২৪ সালের আগস্টে গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। এই পরিবর্তনের জন্য সংগ্রাম হয়েছে। এটার জন্য মানুষ জীবন দিয়েছে। এটার জন্য বিপ্লব হয়েছিল। সুতরাং সেই অবস্থানের মর্মবাণী শহীদের রক্তের যে চেতনা, সেটা মনে রাখতে হবে। ধারণ করতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানাই। তাঁকে আমরা সালাম জানাই। ধন্যবাদ জানাই। প্রধান উপদেষ্টা নিরলস পরিশ্রম করছেন। তাঁর গৌরবদীপ্ত নামের কারণে, বাইরের দেশের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আকৃষ্ট হচ্ছেন। এটা খুব ভালো কথা। তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচন উপহার দেবেন, যেটি পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সেই নির্বাচন আমরা দেশের মানুষ দেখার জন্য অপেক্ষা করছি।’

বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে মনে করিয়ে দিতে চাই, আমরা সংস্কার চাই, আমরা নির্বাচন চাই। আপনাদের সরকারটি হচ্ছে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আপনাদের কাজ বিমানবন্দর বানানো নয়, আপনাদের কাজ দেশকে সিঙ্গাপুর বানানো না। আপনাদের কাজ মেডিকেল কলেজ বানানো না, আপনাদের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশ যাতে ভবিষ্যতে সিঙ্গাপুর থেকে বড় দেশ হতে পারে, আমাদের কাজ হচ্ছে এখানে যেন আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর হতে পারে, মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে, বাংলাদেশের বিনিয়োগ বাড়তে পারে, এ দেশের ছেলেমেয়েরা ভালো শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, সে জন্য ভালো বিশ্ববিদ্যালয় হয়, ভালো কলেজ হয়, আইনশৃঙ্খলা ঠিক থাকে, যেখানে মাদকের বাড়াবাড়ি থাকবে না, এমন একটি ব্যবস্থার সূচনা করা। সেই পথটা তৈরি করে দিয়ে যাওয়া।’

বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কাউকে কাউকে দেখছি, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের নিয়ে দল ভারী করার চেষ্টা করছেন। কেন এমনটা করছেন? বিএনপিতে কি লোকের অভাব? কোটি কোটি মানুষ বিএনপিকে সাপোর্ট করে। ওই পতিত সরকারের লোকদের তাহলে কেন পুনর্বাসন করা হচ্ছে? যাঁরা আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রশ্রয় দেবেন, দলে ভেড়াবেন, সে যত বড়ই নেতা হোন না কেন, তাঁকে বয়কট করবেন। যে বা যাঁরা অন্যায় করছেন, গণশত্রুতে পরিণত হচ্ছেন। তাঁদের দায়ভার কোনোভাবেই দল নেবে না। এটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সরাসরি নির্দেশনা। তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হচ্ছে এবং বহিষ্কার করে দেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে জাতীয় পার্টির ৩ নেতার পদত্যাগ
  • জাতীয় পার্টি ছাড়লেন খুলনার সাবেক এমপিসহ ৩ নেতা
  • অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও এ দাবি জনগণের: আলী রীয়াজ
  • দুই ছাত্রীকে ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তারে আলটিমেটাম
  • সামাজিক মাধ্যমকেন্দ্রিক গণতন্ত্রচর্চার ঝুঁকি
  • ‘উপদেষ্টাদের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, তাঁদের পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার খায়েশ হয়েছে’
  • ফ্যাসিস্টরা নানাভাবে অভ্যুত্থানকে ধ্বংসের চেষ্টা করছে: জোনায়েদ সাকি
  • কিছু উপদেষ্টার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার খায়েশ জন্মেছে: রিপন 
  • ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগ, তদন্তের আহ্বান সিনেটরদের
  • হাসিনার পতনে গ্রামেগঞ্জে প্রভাব ও আওয়ামী কর্মীদের ভাবনা কী