যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি প্রতিষ্ঠান এক্সেলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিক উপদেষ্টা পিটার হাসের নেতৃত্বে দেশটির বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধিদলে মেটা, ভিসা, শেভরন, উবার, মেট লাইফ, মাস্টার কার্ড, বোয়িং এবং ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মার্কিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এই প্রতিনিধিদলে দেশটির সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালও উপস্থিত ছিলেন।

মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সদস্যরা অর্থনৈতিক সংস্কার এবং বাণিজ্যে অশুল্ক বাধা দূর করার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে এগিয়ে যাওয়ার কর্মপদ্ধতিকে স্বাগত জানান। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের সঙ্গে একটি শক্তিশালী বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় রাখতে সহায়তার আশ্বাস দেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের উন্নয়নে আমেরিকান কোম্পানিগুলো যে অবদান রেখেছে, সে জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাহীদের ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনায় বাধা দূর করে ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

রৌমারীতে নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে প্রকৌশলীরা

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার নদী ভাঙন কবলিত এলাকা ফলুয়ার চর, সেনাপুর ও নামাজের চর পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঢাকা বিডব্লিউডিবি ডিজাইন সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী
ফাইয়াজ জালাল উদ্দিন, ডিজাইন সার্কেলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান। 

শুক্রবার দুপুরে এসব ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন তারা।

প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, রৌমারীর বিভিন্ন নদী ভাঙন কবলিত এলাকার জন্য কিছু বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল। ঢাকা থেকে ডিজাইন দল এই চাহিদাগুলো সঠিক আছে কি-না, তা ভেরিফাইড করতে এসেছে। তারা গিয়ে প্রতিবেদন দেবেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা হয়তো বাজেটের অনুমোদন পাব। তারপর দরপত্র আহ্বান করে খুব দ্রত কাজ শুরু করব।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দরপত্র প্রক্রিয়া করে সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে কাজ শুরু করতে পারি। এছাড়াও স্থানীয়দের বাঁশের বান্ডিল ও বস্তা ফেলার দাবি রয়েছে। এ বিষয়ে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব। 

পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন- রৌমারী নদী রক্ষা সংগঠক মহিউদ্দিন মহির ও ট্রোসা-২ প্রকল্পের প্রজেক্ট অফিসার খায়রন্নেসা সরকারসহ স্থানীয়রা।

মহিউদ্দিন মহির বলেন, সোনাপুর, ঘুঘুমারী ও সুখেরবাতি অঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে, বিশেষ করে সোনাপুর এলাকায় ভাঙনের যে তীব্রতা, এক সপ্তাহের মধ্যে এক কিলোমিটার ভেঙে ভেতরে ঢুকেছে। বাড়িঘর সব বিলীন হয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চারতলা ভবন ও বাজার আছে, এগুলো যদি দ্রুত রক্ষা করতে না পারি, তাহলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

প্রতিবছর ব্রহ্মপুত্রে পানি বাড়া-কমার সঙ্গে সঙ্গে রৌমারী উপজেলায় দেখা দেয় তীব্র ভাঙন। এতে খেদাইমারী, সুখেরবাতি, ঘুঘুমারী, সোনাপুর ও নামাজের চর, উত্তর খাউরিয়া, ঘুঘুমারী, চর ইটালুকান্দা, চর খেদাইমারীর প্রায় ৫০০ মানুষের ভিটেমাটি, হাজার হাজার একর আবাদি জমি, পাঁচটির বেশি শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় বাজার, মসজিদসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নিচে কিংবা অন্যের ভিটায় ঠাঁই নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হয় ভাঙন কবলিত মানুষদের। নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় নদী তীরবর্তী বাড়ির বাসিন্দাদের। কখন যে ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যায় তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় তাদের। ভিটেমাটি হারানো তাদের প্রতিবছরের দুঃখ গাঁথা। শুষ্ক মৌসুম ছাড়া সারা বছর কম-বেশি ভাঙতে থাকে নদী। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ