আলু শুধু রান্নার দরকারি উপকরণ নয়, এটি একটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক বিউটি উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের গোপন রহস্যও বলা যায়। আলুর রসে রয়েছে ভিটামিন সি, বি৬, পটাশিয়াম, আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে দারুণ কার্যকর। এটি ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়, দাগ কমায় এবং ত্বককে রাখে কোমল ও সতেজ।
ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করে
আলুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে, যা ত্বকের কালচে দাগ, রোদে পোড়া দাগ ও ক্লান্তিভাব দূর করে ত্বককে ফর্সা ও উজ্জ্বল করে তোলে। এটি ত্বকের গভীরে গিয়ে মেলানিন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে; ফলে ত্বকে আসে স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য।
ব্রণের দাগ ও দাগছোপ দূর করে
আলুর রসে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ব্রণ বা পিম্পলের পর দাগ পড়ে গেলে আলুর রস নিয়মিত ব্যবহার করলে তা ধীরে ধীরে হালকা হয়ে যায়।
চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করে
আলুর রস চোখের নিচের কালো দাগ ও ফোলাভাব দূর করতে দারুণ কার্যকর। তুলায় করে ঠান্ডা আলুর রস নিয়ে ১৫ মিনিট ধরে চোখের নিচে রেখে দিলে চোখের ক্লান্তি কমে ও দৃষ্টিতে সতেজতা ফিরে আসে।
ত্বকের বয়সের ছাপ কমায়
ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে আলুর রস ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা বলিরেখা ও ফাইন লাইনস কমিয়ে দিতে সক্ষম। এতে ত্বক দীর্ঘ সময় পর্যন্ত টানটান ও যৌবনদীপ্ত থাকে।
ত্বকের তেলতেলে ভাব নিয়ন্ত্রণ করে
আলুর রস ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে ও রোমছিদ্র সংকুচিত করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যাদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত, তাদের জন্য এটি একটি প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
১টি কাঁচা আলু গ্রেট করে রস ছেঁকে নিন। তুলা দিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করলে ভালো ফল মিলবে।
প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নিতে চাইলে আলুর রস হতে পারে আপনার রোজকার বিউটি রুটিনের একটি কার্যকর অংশ।
চাইলে আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী এর সঙ্গে লেবুর রস, মধু বা দুধ মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন ।
তবে সংবেদনশীল ত্বকে ব্যবহারের আগে টেস্ট করে নিতে হবে। আপনার ত্বকে অ্যালার্জি হলে ব্যবহার বন্ধ করুন।
আলুর রস একটি সহজলভ্য, সাশ্রয়ী এবং কার্যকরী প্রাকৃতিক সমাধান; যা আপনার ত্বকের যত্নে নিয়মিত ব্যবহার করা যায়। v
ছবি: আর্কাইভ
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত বক ব যবহ র কর ক র যকর ত বক র দ র কর র ত বক আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ শর্তে সেই বিটি মাঠে একদিনের জন্য বৈশাখী মেলার অনুমতি
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ তেঘরিয়া বিটি মাঠের মূল অংশের বাহিরে একদিনের জন্য বৈশাখী মেলার অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ রোববার সকালে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার শামসুন নাহার শিলা স্বাক্ষরিত এক পত্রে ১৭টি শর্ত জুড়ে দিয়ে একদিনের জন্য মাঠটিতে মেলার অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর আগে ১০ এপ্রিল বিটি মাঠে বৈশাখী মেলা করা হলে মাঠটি নষ্ট হইতে পারে সেই আশঙ্কায় কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়া বন্ধ করে দেয়। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপি আয়োজিত বৈশাখী মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে এ নিয়ে বিবাদ তৈরি হয় প্রশাসনের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর।
গতকাল শনিবার দুপুরে তড়িৎগতিতে বিটি মাঠ পরিদর্শনে আসেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নিপুণ রায় চৌধুরী। এ সময় উপস্থিতি ছিলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে কাফনের কাপড় পরার প্রয়োজন হলেও বিটি মাঠে বৈশাখী মেলা হবেই বলে ঘোষণা দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গয়েশ্বর বৈশাখী মেলা করার চ্যালঞ্জ হিসেবে নিলে উপজেলা প্রশাসন ও বিএনপির মধ্যে মুখোমুখি হয়। পরে বৈশাখী মেলা করতে আবেদন করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক ১৭টি শর্ত দিয়ে মেলার অনুমোদন দেওয়া দিয়েছে। শর্তে বিটি মাঠের মূল অংশের বাহিরে মেলা করতে হবে। এক দিনের বেশি মেলা করা যাবে না। এই মেলায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কোনোভাবে সহযোগিতা না করার আশঙ্কা রয়েছে। এতে করে বৈশাখী মেলাটি বিএনপি নিজেরাই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বৈশাখী মেলায় কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা হলে এর দায়ভার বিএনপিকে নিতে হবে।
এ ব্যপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, ১৭টি শর্ত জুড়ে বৈশাখী মেলার অনুমোদন দিয়েছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে থেকে। এক দিনের জন্য মেলাটি হবে। যেহেতু মেলা আয়োজন নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ থাকবে। এছাড়াও বিএনপির আয়োজক কমিটির সদস্যরা নিরাপত্তা দিবেন।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়া বলেন, শর্ত সাপেক্ষে এক দিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিটি মাঠ নামে কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। এর কারনেই উপজেলা প্রশাসন অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিটি মাঠ নিয়ে মেলা হওয়াকে কেন্দ্র করে সোস্যাল মিডিয়ায় নানা সমালোচনা দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১০ এপ্রিল মাঠটিতে মেলার অনুমতি বাতিল করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া।