চট্টগ্রাম নগরের ইস্পাহানি মোড়ে বাসের চাপায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে একটি বাস চাপা দিলে রিয়া মজুমদার (২৪) নামের এই নারী ঘটনাস্থলে মারা যান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই নারীর রক্তমাখা একটি পরিচয়পত্র ছড়িয়ে পড়েছে। তবে তাঁর বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ জানান, লালখান বাজারে এক বাস থেকে নামার সময় পড়ে যান তিনি। এ সময় পেছন থেকে আসা আরেকটা বাস চাপা দেয়। অ্যাভিনিউ হোটেলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি পুলিশ জব্দ করলেও চালক পালিয়েছে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, শহীদ সাইফুদ্দীন খালেদ সড়কের মুখে দ্য অ্যাভিনিউ হোটেলের সামনে বাসচাপায় ওই নারী মারা যান। বাসটি জব্দ করা হয়। তবে চালক পালিয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর পর নারীর ব্যাগ তল্লাশি করে একটি পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। তাতে গোল্ডস্যান্ডস নামে প্রতিষ্ঠানটির এক্সিকিউটিভ পদে চাকরি করেন লেখা আছে। তাঁর পরিচয়পত্রটিতে রক্তের দাগ লেগে ছিল।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ড. ইউনূসের নেতৃত্ব বাংলাদেশের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনবে: আমিরাতের রাষ্ট্রপতি

সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ দেশটির রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। এ সময় উভয় দেশের জনগণের জন্য শান্তি কামনাসহ আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব বাংলাদেশের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। 

বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারের উদ্যোগে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের পরিচয়পত্র পেশ উপলক্ষে আবুধাবির কাসর আল ওয়াতানে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে অন্যান্য দেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতগণও তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন। 

বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আমিরাতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়ের সুযোগে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি তাঁর সদয় অনুভূতির জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা তুলে ধরার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ, দৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তিতে চলমান সহযোগিতা আরো জোরদার করার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ পুনর্ব্যক্ত করেন।

একইসঙ্গে আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের স্বার্থের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধির প্রতি তার আগ্রহও জ্ঞাপন করেন। সবশেষে তিনি তাঁর শুভকামনা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৌঁছানোর জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন।

একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ ছাড়াও গুয়াতেমালা, দক্ষিণ সুদান, কিরগিজস্তান, পূর্ব তিমুর, তুরস্ক, টুভালু, ইসরায়েল, পানামা, কিংডম অব স্পেন, চাদ, জর্জিয়ার রাষ্ট্রদূতগণ তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ড. ইউনূসের নেতৃত্ব বাংলাদেশের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনবে: আমিরাতের রাষ্ট্রপতি