কুমিল্লা নগরীর রাণীর বাজার এলাকায় কেএফসি রেস্টুরেন্টে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার দিনভর অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার তাদেরকে এ মামলায় আদালতে পাঠানো হবে। 

মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম। এদিকে মঙ্গলবার কেএফসি রেস্টুরেন্ট, নগরীর একাধিক স্থানের বাটার শোরুম বন্ধ দেখা গেছে। এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় জেলার আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকায় কোকাকোলা কোম্পানি কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটকে কর্মবিরতির ব্যান্যার টানিয়ে দেয়।

গ্রেপ্তাররা হচ্ছে- জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার মাটিয়ারা গ্রামের সাফায়েত মজুমদার (২৭), নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকার মো.

জিহাদ হোসেন (২১), শাসনগাছা এলাকার আবু বকর সিদ্দিক আসলাম (২১) ও আবিদ হাসান (২৩)। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে সোমবার দিনভর কুমিল্লার শহরে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন। এরই মধ্যে সোমবার রাতে নগরীর রাণীর বাজার সড়কে ইসরায়েলি পণ্য উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে কেএফসি রেস্টুরেন্টে হামলা চালায় একদল লোক। এ সময় রেস্টুরেন্টের চেয়ার টেবিল ও কাচের দেয়ালে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। 

মঙ্গলবার রাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম সমকালকে জানান, এ ঘটনায় থানার এসআই বীরঙ্গচন্দ্র মণ্ডল বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন। পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০-৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান পরিচালনা করে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। 

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে কেএফসি রেস্টুরেন্ট, নগরীর বাটা স্যুজের শোরুম আউটলেটসমূহে এবং কোকাকোলা কোম্পানির ফ্যাক্টরির সামনে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক এফস নগর র ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

রূপনগরে শিশুদের জন্য ভ্রাম্যমাণ খেলার জায়গা উদ্বোধন

এলাকাভিত্তিক খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে শিশুদের জন্য রাজধানীর মিরপুরে রূপনগর আবাসিক এলাকায় ভ্রাম্যমাণ খেলার জায়গা (মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড) উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে স্কুল অব লাইফ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট ও হেলথ ব্রিজ ফাউন্ডেশন অব কানাডার সম্মিলিত উদ্যোগে এটির উদ্বোধন করা হয়। এই আয়োজনে সহযোগিতা করেন রূপনগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা।

আয়োজকেরা জানান, প্রতি শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর সড়কে নিয়মিত মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ডে খেলাধুলার আয়োজন করা হবে। খেলাধুলার মধ্য থাকবে দাবা, লুডু, ক্যারম, দড়ি লাফ ও ব্যাডমিন্টন। এ ছাড়াও থাকবে ছবি আঁকা, হস্তশিল্প ও সামাজিকীকরণের মতো বিভিন্ন কার্যক্রম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মাঠ ও পার্কের অপ্রতুলতা ঢাকা শহরের একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডের ৩৭টিতে কোনো খেলার মাঠ বা পার্ক নেই। শিশুদের খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এলাকাভিত্তিক মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড তৈরি একটি কার্যকর সমাধান। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে উঠবে, শহর হবে প্রাণবন্ত ও বাসযোগ্য।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্কুল অব লাইফের চেয়ারম্যান চিকিৎসক অনুপম হোসেন বলেন, ঘরবন্দী জীবনে শিশুরা হাঁপিয়ে উঠেছে। করোনাকালে দীর্ঘদিন ঘরে থাকার ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এলাকাভিত্তিক স্বল্প ব্যবহৃত বা অব্যবহৃত রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড তৈরি করে খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ তৈরি করা যায়। এতে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি নেতৃত্বগুণ ও সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ-পার্ক নেই। অর্থ ও স্থান সংকুলান বিবেচনায় সিটি করপোরেশনের পক্ষে দ্রুত বড় আকারের মাঠ-পার্ক তৈরি সম্ভব নয়। তবে খুব কম খরচে ও স্বল্প জায়গায় শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে এলাকাভিত্তিক খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের স্থান গড়ে তোলা সম্ভব। নগরবাসীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব লাইফের সদস্যসচিব সাবরিনা নওরিন লিমু, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মকর্তা, মিরপুর সেকশন- ৭ এর রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর সড়কের এলাকাবাসী ও শিশু-কিশোরেরা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা মো. মিঠুন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ