বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম গ্রেপ্তার
Published: 8th, April 2025 GMT
বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলশান-২ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক। তিনি বলেন, বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
মোরশেদ আলম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলার একাংশ) আসনের এমপি ছিলেন। তিনি বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভিরও চেয়ারম্যান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কারাগারে পাঠানোয় অ্যামনেস্টির উদ্বেগ
মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইন ব্যবহার করে আটকের পর কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। শুক্রবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে।
পোস্টে বলা হয়েছে, এ কালো আইন ঐতিহাসিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে অভিযোগ ও বিচারিক তত্ত্বাবধান ছাড়াই নির্বিচার আটকের জন্য ব্যবহার করা হয়ে আসছে। এসব কাজের মধ্য দিয়ে প্রক্রিয়াগত সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মান ও প্রয়োগ গুরুতরভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটির পোস্টে আরও বলা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেঘনা আলমকে গোপনীয়তার সঙ্গে আটক করা হয়েছে। তাকে আটক করার পরোয়ানা ছিল না বলেও অভিযোগ রয়েছে। এটা পদ্ধতিগত সুরক্ষার উদ্বেগজনক লঙ্ঘন।
অ্যামনেস্টি বলছে, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আহ্বান, হয় মেঘনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অপরাধের অভিযোগ আনুন অথবা তাকে মুক্তি দিন।’ সেই সঙ্গে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ব্যবহার বন্ধ এবং আইনটি বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এর আগে বুধবার রাতে মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করে। মেঘনা তখন ফেসবুক লাইভ এসে দাবি করেন, তিনি নিরপরাধ।
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন অনুযায়ী, ক্ষতিকর কাজ থেকে নিবৃত্ত রাখার জন্য সরকার যেকোনো ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ দিতে পারে।
বিশেষ ক্ষমতা আইনের যেসব ক্ষতিকর কাজে যুক্ত ব্যক্তিকে আটক আদেশ দেওয়া যায়, সেগুলো হলো দেশের সার্বভৌমত্ব বা প্রতিরক্ষার ক্ষতি, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদেশি রাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সংরক্ষণের ক্ষতি, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বা জননিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার ক্ষতি, বিভিন্ন সম্প্রদায়, শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণাবোধ বা উত্তেজনা সৃষ্টি, আইনের শাসন বা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ বা উৎসাহ প্রদান বা উত্তেজিত করা।
ক্ষতিকর কাজের মধ্যে আরও রয়েছে জনসাধারণের জন্য অত্যাবশ্যক সেবা বা অত্যাবশ্যক দ্রব্যাদি সরবরাহে বাধা সৃষ্টি, জনসাধারণ বা কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি বা আতঙ্ক সৃষ্টি এবং রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বা আর্থিক ক্ষতি করা।