লিভারপুলের সাবেক ইসরায়েলি মিডফিল্ডারের বাসায় গ্রেনেড হামলা
Published: 8th, April 2025 GMT
ইসরায়েলে নিজের বাসায় গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে গেছেন লিভারপুলের সাবেক মিডফিল্ডার ইয়োসি বেনায়ুন। ইসরায়েল ফুটবল দলের সাবেক এই অধিনায়ক মনে করেন, তেল আবিবের কাছাকাছি রামাত হাশারুনে অবস্থিত তাঁর বাসায় ভুল করে আক্রমণ করা হয়েছে। গত রোববার রাতে তাঁর বাসায় গ্রেনেড ছুঁড়ে মারা হয়।
ওয়েস্ট হামের হয়ে এফএ কাপে রানার্সআপ ও চেলসির হয়ে ইউরোপা লিগজয়ী ৪৪ বছর বয়সী বেনায়ুন আক্রমণের সময় বাসাতেই পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করছিলেন। মোটরবাইকে করে এক ব্যক্তি এসে বেনায়ুনের বাসার দরজা দিয়ে গ্রেনেডটি ছুড়ে মারেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন জানিয়েছে, রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দুস্কৃতকারী পালিয়ে যান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান জানিয়েছে, গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হওয়ার পর বেনায়ুন ভেবেছিলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি তবে বেনায়ুনের বাসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিভিয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, ‘গ্লিলোত স্টেশনের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। বিস্ফোরণের কারণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হননি।’
ইসরায়েলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০১ ম্যাচ খেলা বেনায়ুন মনে করেন, অপরাধীরা ভুল করে তাঁর বাসায় আক্রমণ করেছেন, ‘এটা অবশ্যই একটি ভুল। গ্রেনেডটি আমার বাসা তাক করে ছোড়া হয়নি, এ নিয়ে আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই। প্রথমে ভেবেছিলাম, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়েছে, তাই ফায়ার সার্ভিসে খবর দিই। পুলিশ বাসায় এসে গ্রেনেডের ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার পর আমরা বুঝতে পারি, আসলে কী ঘটেছে।’
ইংল্যান্ডে ৯ বছরের ক্যারিয়ারে প্রিমিয়ার লিগে দুই শ–এর বেশি ম্যাচ খেলেছেন বেনায়ুন। স্প্যানিশ ক্লাব রেসিং সান্তেন্দর থেকে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট হামে যোগ দেন। দুই মৌসুম সেখানে থেকে যোগ দেন লিভারপুলে। অ্যানফিল্ডের ক্লাবটিতে তিন মৌসুম খেলে চেলসিতে আরও তিন মৌসুম কাটিয়ে আর্সেনালও এক মৌসুম ধারে খেলেন বেনায়ুন। ইংলিশ ফুটবলে সর্বশেষ ২০১৩–১৪ মৌসুমে কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সে খেলেছেন ৪৪ বছর বয়সী এই সাবেক ফুটবলার। ইসরায়েলের হয়ে তাঁর গোলসংখ্যা ২৪।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।
মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।