ছোট সাজ্জাদের স্ত্রীর প্রশ্ন, আমার স্বামী কী কোরবানির গরু
Published: 8th, April 2025 GMT
চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসিসহ পুলিশের বিরুদ্ধে সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নার মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এ আদেশ দেন।
এদিকে আজ আবারও নিজের ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করেছেন ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না। সেখানে তিনি স্বামীকে নিয়ে পুলিশের মহড়ায় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো.
আজ তামান্না আবারও নিজের ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে রিমান্ডে থাকা স্বামী সাজ্জাদকে নিয়ে পুলিশের মহড়ায় প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার হাজবেন্ড কি কোরবানির গরু? তাঁকে নিয়ে এলাকায় এলাকায় মহড়া দিচ্ছেন?’
গত ১৫ মার্চ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পর ফেসবুক লাইভে ‘কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ছেড়ে নিয়ে আসার’ কথা বলে আলোচনায় এসেছিলেন তামান্না। তিনি হাটহাজারী থানার শিকারপুর গ্রামের শফি মিয়ার মেয়ে। তাঁর স্বামী একই গ্রামের মো. জামালের ছেলে। সাজ্জাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি হত্যাসহ ১৭ মামলা রয়েছে।
সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পর দুই দফা রিমান্ডে নেয় পুলিশ। গত রবি ও সোমবার তাঁকে নিয়ে রাউজান উপজেলা এবং নগরের অক্সিজেন এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ।
দুই মিনিটের ভিডিওতে তামান্না বলেন, কোনো নজির আছে কি একজন রিমান্ডের আসামিকে এভাবে গরুর মতো রশি বেঁধে এলাকায় এলাকায় নিয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করছেন ওসি আরিফ। আমার হাজবেন্ড কি কোরবানির গরু? তিনি যদি অপরাধী হন, তাঁর বিচার আদালত করবেন।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, চট্টগ্রামে জোড়া খুনের আসামি তামান্না। পালিয়ে থেকে তিনি অপতথ্য ছড়াচ্ছেন। তামান্নাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের এল সালভাদরের কুখ্যাত কারাগারে পাঠাতে চান ট্রাম্প
এবার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের হুমকি দিয়ে বসলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, সহিংস অপরাধে জড়িত মার্কিনদের মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদরের কুখ্যাত কারাগারে পাঠাতে পারলে তাঁর ‘ভালো’ লাগবে।
আগের দিন সোমবার এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলের সঙ্গে আলাপের সময়ই এই পরিকল্পনার কথা তুলেছিলেন ট্রাম্প। বুকেলে নিজেকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে ঠান্ডা মাথার স্বৈরশাসক’ হিসেবে তকমা দিয়েছেন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশের কারাগারে স্থান দিয়েছেন তিনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাঁদের দেশে বেড়ে ওঠা অপরাধী হিসেবে ডাকব। তাঁরা (দেশেই) বেড়ে ওঠেন। আর উল্টাপাল্টা কিছু হলে মানুষের মাথায় বেসবলের ব্যাট দিয়ে আঘাত করেন এবং মানুষকে রেলপথের ওপর ফেলে দেন।’
মার্কিন নাগরিকদের বিদেশি কারাগারে পাঠানোর বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এটি করতে চাচ্ছি। এটি করতে আমার ভালো লাগবে।’ আর সোমবার ট্রাম্প বলেছিলেন, হোয়াইট হাউসে নায়িব বুকেলের সঙ্গে আলাপের সময় মার্কিনদের এল সালভাদরে পাঠানোর সম্ভাব্যতা যাচাই করতে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের কারাবন্দীদের এল সালভাদরে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন নায়িব বুকেলে। এর বিনিময়ে ৬০ লাখ ডলার চেয়েছিলেন তিনি। তখন থেকে দেশটিতে আড়াই শর বেশি অবৈধ অভিবাসীকে পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।