ওসমান পরিবারের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার দায় সরকার এড়াতে পারে না : রফিউর রাব্বি
Published: 8th, April 2025 GMT
সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বলেন, শেখ হাসিনা সাড়ে ১১ বছর ত্বকী হত্যার বিচারের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছিলেন। বর্তমান সরকারে পুনরায় কাজ শুরু করলেও তাতে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয় নাই।
অন্যদিকে ঘাতক ওসমান পরিবারের সকলে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার দায় সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, বাহিনী এড়াতে পারে না। আমরা আগামী ৩ মাসের মধ্যে ত্বকী হত্যার নির্দেশদাতা শামীম ওসমান সহ সকল ঘাতকদের অভিযোগপত্রের আওতায় এনে একটি নির্ভুল অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করার দাবি জানাচ্ছি।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়স্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১৪৫ মাস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
রফিউর রাব্বি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে বিচার-ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে রেখে গেছে। তার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এখনো হয় নাই। শেখ হাসিনার সহযোগিতায় ওসমান পরিবার নারায়ণগঞ্জে মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। সে মাফিয়াতন্ত্র এখনো বহাল রয়েছে। এখন তা বিএনপির দখলে।
বিএনপির লোকজন শামীম ওসমানের বহু লোকদের নিরাপত্তা দিয়ে চলেছে। ওসমান পরিবারের ছত্রছায়ায় নীট কনসার্ন বিগত সরকারের সময়ে নারায়ণগঞ্জে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এখন ওসমানদের ফেলে যাওয়া সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে ফকির গ্রুপ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দৈনিক খবরের পাতার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মাসুম, শিশু সংগঠক রথীন চক্রবর্তী, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক দীপু, ন্যাপ জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা ভবানী শংকর রায়, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক শীবনাথ চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলন জেলার সমন্বয়ক তরিকুর সুজন, বাসদ জেলা সংগঠক সেলিম মাহমুদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির জেলা সংগঠক শওকত আলী ও সামাজিক সংগঠন সমমনা’র সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খাঁ রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দু’দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে ২০১৪ সালের ৫ মার্চ তদন্তকারী সংস্থা র্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের নির্দেশে তাদেরই টর্চারসেলে ১১ জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করেছে। অচিরেই তারা অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করবে।
কিন্তু এর তিন মাস পর শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে ওসমান পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দিলে বিচার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সে অভিযোগপত্র আজও পেশ করা হয় নাই।
ত্বকী হত্যার পর থেকে বিচার শুরু ও চিহ্নিত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতি মাসের ৮ তারিখ আলোক প্রজ্বালনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সরক র ন র য়ণগঞ জ ওসম ন ন র য়ণগঞ জ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিস্তিনে ইসরায়েল এর হামলা ও জাতিসংঘের নীরব ভূমিকার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
মজলুম ফিলিস্তিনের উপর দখলদার ইসরায়েল এর বর্বরোচিত হামলার ও জাতিসংঘের নীরব ভূমিকা পালনের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ শহর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) শহরের ডিআইটি চত্বরে শহর উত্তর শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মাদ কবির হোসেন এর সভাপতিত্বে উত্তর শাখার সেক্রেটারি এইচ.এম. মিরাজুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সংগ্রামী সেক্রেটারি মুহাম্মাদ সুলতান মাহমুদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শামসুল আলম।
বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ শহর দক্ষিণ শাখার সংগ্রামী সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে জারজ ইসরায়েল যে ধ্বংস ও হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে তা ইতিহাসের জঘন্যতম মানবাধিকার লঙ্ঘন। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ, ওআইসি এবং আরববিশ্বসহ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর ভূমিকায় আমরা হতাশ।
তিনি বলেন, জারজ রাষ্ট্র ইসরায়েল এখনই এই হত্যাযজ্ঞ থেকে বিরত না হলে মুসলিম বিশ্ব মার্চ টু ফিলিস্তিনের মাধ্যমে ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে বাধ্য হবে। এছাড়াও তিনি ফিলিস্তিন রক্ষায় বৈশ্বিক চাপ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ সহ বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্রসমূহের প্রতি আহ্বান জানান।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, জারজ ইসরায়েল যে ভাবে আমাদের নিরাপরাধ শিশু ও মা বোনদেরকে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তা কোন মানুষ সহ্য করতে পারেনা। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই ;জাতিসংঘকে বলবো অতি সত্তর দুই দেশের যুদ্ধ বিরতির ব্যবস্থা গ্রহন করুন এবং ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিন।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশনারায়ণগঞ্জ শহর দক্ষিণ সহ-সভাপতি মুহাঃ আব্দুস সবুর শহর দক্ষিণের সেক্রেটারি মুহাম্মাদ আরিফ উল্লাহ জাদরানসহ প্রমুখ দায়িত্বশীলবৃন্দ।