কুমিল্লা কারাগারে হাজতিকে অভিনব কৌশলে গাঁজা দিতে গিয়ে তরুণ আটক
Published: 8th, April 2025 GMT
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতিকে অভিনব কৌশলে গাঁজা দিতে গিয়ে আটক হয়েছেন এক তরুণ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
আটক তরুণ জুতার সোলের ভেতরে করে গাঁজা নিয়ে হাজতিকে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কারারক্ষীরা তাঁকে আটকের পর পুলিশের হাতে তুলে দেন। তাঁর নাম শান্ত। তিনি নগরের বাদশা মিয়ার বাজার এলাকার জোলমত মিয়ার ছেলে। মোতালেব হোসেন নামে কারাগারের এক হাজতির জন্য তিনি গাঁজা নিয়ে গিয়েছিলেন।
কুমিল্লা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেল চারটার দিকে শান্ত নামের ওই তরুণ কুমিল্লা কারাগারের হাজতি মোতালেব হোসেনকে দেওয়ার জন্য এক জোড়া চামড়ার জুতা ও পোশাক নিয়ে এসে কারা ক্যানটিনে দায়িত্বরত কারারক্ষী মো.
কোতোয়ালি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গাঁজাসহ আটক ওই তরুণ বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়াধীন। আগামীকাল বুধবার সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চীনের তৈরি জাহাজ যুক্তরাষ্ট্রে ভিড়লে বাড়তি মাশুল
চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের পাশাপাশি আরেক দিক দিয়ে দেশটির ওপর চড়াও হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনে নির্মাণ করা জাহাজ পণ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরে ভিড়লে বাড়তি মাশুল আদায়ের পরিকল্পনা করছে তারা। নিজেদের জাহাজনির্মাণ শিল্প আবার চাঙা করার জন্য এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে ওয়াশিংটন।
এ নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতেই পরিকল্পনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) দপ্তর। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, চীনে নির্মিত কোনো পণ্যবাহী জাহাজ প্রতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরে ভিড়লেই ৩৫ লাখ ডলার করে দিতে হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আপত্তির মুখে শেষ পর্যন্ত ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।
ইউএসটিআর জানিয়েছে, চীনা জাহাজের ওপর বাড়তি মাশুল আগামী ১৮০ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে। এমন জাহাজে আমদানি করা প্রতি টন পণ্যের মাশুল ১৮ ডলার থেকে শুরু হবে। আর প্রতিটি কনটেইনারের জন্য মাশুল ১২০ দিতে হবে ডলার। সে হিসাবে একটি জাহাজে ১৫ হাজার কনটেইনার থাকলে মোট মাশুল দিতে হবে ১৮ লাখ ডলার।
মাশুলের পরিমাণ প্রতি পাঁচ বছর পরপর পর্যালোচনা করা হবে। আর চীনা জাহাজের মালিকানা থাকা কোনো প্রতিষ্ঠান যদি যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত জাহাজ কেনে, তাহলে মাশুল কমানো হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রির বলেন, চীনের আধিপত্য কমাতে, যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ শৃঙ্খলে হুমকি মোকাবিলায় এবং যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত জাহাজের চাহিদাসংক্রান্ত তথ্য পেতে ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাহাজনির্মাণ শিল্পে আধিপত্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। তবে বর্তমানে বিশ্বে চলাচল করা পণ্যবাহী জাহাজের মাত্র ১ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি। এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় পণ্যবাহী ১০টি জাহাজের বেশির ভাগই চীনে নির্মাণ করা। এ ছাড়া এশিয়ার অন্য দুই দেশ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ারও জাহাজনির্মাণ শিল্পে বড় আধিপত্য রয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর উচ্চ হারে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। পরে ৯০ দিনের জন্য সেই শুল্ক স্থগিত করা হলেও ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না চীনের। দেশটির ওপর বরং ধাপে ধাপে শুল্ক বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করা হয়। পাল্টা জবাবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করে।