গাজায় ইসরায়েলী নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিধ্বস্ত অসহায় নিরিহ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দল মত নির্বিশেষে গোগনগরের সর্বস্তরের জনগণ ও গোগনগর জাতীয়তাবাদী ইউনিয়ন মহিলা দল এর উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকালে গোগনগর বড় মসজিদ সংলগ্ন এলাকা হতে বিভিন্ন ওয়ার্ড প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিলটি এবং পরে ফিলিস্তিনি নিহত শিশুর আদলে তৈরী প্রতিকি মরদেহ নিয়ে মানববন্ধন করা হয়।

গোগনগর ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী মহিলা দল সভাপতি পপি হোসাইন বলেন, আমরা মুসলিম, তাই আমাদের নৈতিকতার জায়গা থেকে আজ গোগনগর ইউনিয়ন মহিলা দল ও সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে গাজায় ইসরায়েলীদের নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের মাধ্যমে অবৈধ দখলদার ইসরায়েলীদের নৃশংস গণহত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরোও বলেন, আজ বিশ্ব মানবতা কোথায়? আপনি ট্রাম্প নৃশংস গণহত্যা বন্ধ করুন। নতুবা সাড়া বিশ্বের মুসলিম আপনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে। অতি দ্রুত্বই গাজার যুদ্ধ বন্ধের আর্দেশ দিন। তানাহলে আপনাকে বিশ্ববাসী বয়কট করবে। আজ গাজায় নিরিহ মানুষ সহ নিষ্পাপ শিশুরা নিহত হচ্ছে।

আপনি বিশ্ব মোড়ল। ভারতেও মুসলিমদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে সেখানেও আপনাদের কোন হস্তক্ষেপ নাই। ফিলিস্তিনি শিশুদের আর্তনাদে আমাদের বুক কেঁপে ওঠে। আমরা "মা" তাই সেই শিশুসন্তানের ক্ষুধার যন্ত্রণা আমরা বুঝতে পারি। জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কোন কার্যকর ভূমিকা রাখছেনা।

অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে ফিলিস্তিনিদের ভূমি বুঝিয়ে দেওয়া হউক এবং ইজরায়েলের সাথে বিশ্বের সকল দেশকে ব্যাবসা-বানিজ্য ও সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, গোগনগর ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী মহিলা দল'র সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শিল্লী আক্তার, প্রচার সম্পাদক শাহিনুর, ইউনিয়ন যুবদল নেতা ইয়াসিন আরাফাত, যুবদল নেতা খাদেম মোঃ মুকবুল চিশতী, মনির হোসেন সহ গোগনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন শ স গণহত য ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

জমি নিজের দাবি করে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল

মির্জাপুরে বন্দ্য কাওয়ালজানি খাদেম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে মাটি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাত থেকে মাঠে মাটি ফেলতে শুরু করেছেন লোকমান হোসেন নামে এক ব্যক্তি। এর প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে ১৯০ শতাংশ জমির ওপর গড়ে ওঠে বিদ্যালয়টি। গ্রামের বোরহান উদ্দিন ও আজিজুল হক ১৬২ শতাংশ ও ওয়াজেদ আলী ২৮ শতাংশ জমি দেন। এর মধ্যে বোরহান উদ্দিন ও আজিজুল হক ১০৮ শতাংশ রেজিস্ট্রিমূলে এবং বাকি জমি মৌখিকভাবে দান করেন। এর মধ্যে গ্রামের আছর উদ্দিনের দুই ছেলে রকমান ও লোকমান হোসেনের ৪৩ শতাংশ আবাদি জমিও রয়েছে। রকমানের সাড়ে ২১ শতাংশ জমি বোরহান ও আজিজুল দলিলমূলে মালিক হয়ে বিদ্যালয়কে দান করেন। লোকমান হোসেন তাঁর জমি বিক্রি না করে তাঁর বাড়ির পাশে তখনকার মূল্যবান জমি বিনিময়ে বোরহান ও আজিজুল হকের পরিবারের কাছে দাবি করেন। সে দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামের লোকজন বিদ্যালয়ের স্বার্থে বোরহান ও আজিজুল হকের পরিবারকে বুঝিয়ে ওই জমি দেন। লোকমান হোসেন বিনিময়ে পাওয়া ওই জমি গ্রামের শহীদ মিয়া নামে এক কৃষকের কাছে ১০ হাজার টাকায় বন্ধক দেন। ৮ বছর পর ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করে জমিটি দখলে নেন লোকমান হোসেন। ইতালিপ্রবাসী লোকমান হোসেন গত রমজান মাসে দেশে ফিরে বিদ্যালয়ের মাঠের জমি পরিমাপ করে খুঁটি পুঁতে জমিটি নিজের দাবি করেন। গত বুধবার রাতে বিদ্যালয় মাঠে মাটি ভরাট শুরু করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের নজরে এলে ক্ষোভ তৈরি হয়। মাটি ভরাটের প্রতিবাদে দুপুরে বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, মাঠ দখল হলে তাদের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে যাবে। মাঠ দখলমুক্ত রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে তারা।
প্রাক্তন শিক্ষক আজিজ মিয়ার ভাষ্য, অনেক কষ্ট করে আবাদি জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দুই যুগ আগে জমির মালিকরা ঠিকমতো আবাদ করেননি। বিনিময়ে জমি নিয়ে বিদ্যালয় হওয়ার পর পাকা রাস্তা হয়েছে। এখন জমির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় জমির দাবিদার বের হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে কেউ জমি দাবি করেননি। সরকার চারতলা দুটি ভবন করে দিয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের সামনের বিশাল মাঠও মাটি ভরাট করে দেওয়া হয়েছে। এখন গ্রামের লোকমান হোসেন নামে এক ব্যক্তি মাঠের সামনে সাড়ে ২১ শতাংশ জমি নিজের দাবি করে মাটি ভরাট শুরু করেছেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে মাঠটি রক্ষার দাবি জানান জাহাঙ্গীর হোসেন।
জমির দাবিদার ইতালিপ্রবাসী লোকমান হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বিদ্যালয়ের মাঠে মাটি ভরাটের কথা জানতে চাইলে কল কেটে দেন। এর পর একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাষ্ট্রীয় খরচে কোনো অতিথিকে হজে পাঠানো হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা
  • গোগনগরে খাল ভরাট করে সড়ক নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • বাবা হত্যার বিচার দাবিতে রাস্তায় দুই শিশু
  • দুই ছাত্রীকে ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তারে আলটিমেটাম
  • ইসলামী আন্দোলনকে বাইপাস করে সংসদে যাওয়ার সুযোগ নেই: যশোরে চরমোনাই পীর
  • নেত্রকোনায় হেফাজত নেতার বাড়িঘরে হামলা ও মারধর, অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
  • জমি নিজের দাবি করে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল
  • আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন
  • গাজায় গণহত্যা বন্ধে ঢাবিতে সাদা দলের মানববন্ধন, প্রয়োজনে যুদ্ধে নাম লেখাতে রাজি
  • প্রধান আসামির জামিন বাতিল করে শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ