নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের বিষয়টি এ বছর বেশ জোরেশোরে আলোচিত হচ্ছে। মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন হবে কিনা– আগামী বৃহস্পতিবার সে সিদ্ধান্ত জানাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে সভা শেষে এ কথা জানান সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.

) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, আগামী ১০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সভা হবে, সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সভা শেষে সিদ্ধান্তের কথা জানাবে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। তবে নাম পরিবর্তন নিয়ে সভায় কোনো আলোচনা হয়নি। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এটা আয়োজন করে, তারাই এ বিষয় সিদ্ধান্ত জানাবে।

এর আগে গত ২৩ মার্চ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে পরদিন তিনি বলেছিলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ ফারুকী বলেন, এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠক শেষে আমি যে বক্তব্য দিয়েছিলাম, তা ‘মিস কোট’ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, চৈত্রসংক্রান্তি ও নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা এবং দেশজুড়ে বাঙালি ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর কী কী অনুষ্ঠান হচ্ছে, এ নিয়ে আগামীকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলন করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হবে, এটি কখন কোথায় হবে। এবারের শোভাযাত্রায় বাঙালিসহ অন্যান্য ২৬টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নেবে।

এদিকে পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নিরাপত্তাজনিত হুমকি নেই বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এ বছর ব্যাপকভাবে বাংলা নববর্ষ পালন হবে। ফলে সেই বিষয়টি সামনে রেখে এবার নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তার জন্য যা করা প্রয়োজন, সেসব করা হচ্ছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স স ক ত ব ষয়ক উপদ ষ ট উপদ ষ ট নববর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

বৈসাবি উপলক্ষে রাঙামাটিতে ঐতিহ্যবাহী বলী খেলা অনুষ্ঠিত

পাহাড়ের প্রধান সামজিক উৎসব বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, সাংক্রাই ও চাংক্রান পাতা উদযাপন উপলক্ষে রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী বলী খেলা। 

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে রাঙামাটির চিং হ্লা মং মারী স্টেডিয়ামে আয়োজিত বলী খেলায় ছোট, মাঝারি ও বড় এই তিন বিভাগে প্রায় ৩০ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। বলী খেলা দেখতে রাঙামাটির বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ভিড় করেন স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে।

প্রতিযোগিতায় খাগড়াছড়ি জেলার বাবু মারমাকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় একই জেলার সৃজন চাকমা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা। এতে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির প্রাক্তন সাংসদ ঊষাতন তালুকদার, উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত উপ-সচিব প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ব গণমানুষের সেবা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান উ অংচিংনু মারমা।

আগামীকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পাহাড়ের প্রধান সামাজিক এই উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।

ঢাকা/শংকর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চন্দনাইশের ‘হাতপাখা’ গ্রামে ১০ কোটি টাকার ব্যবসা
  • তাড়াশে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ভাদাই মেলা
  • বাংলা নববর্ষে আসছে পারিবারিক গল্পের সিরিজ ‘ননসেন্স’ 
  • বৈশাখে স্মৃতির ঝাঁপি খুলবেন বিজরী-দিনার
  • শহুরে পরিবারের দ্বন্দ্ব নিয়ে ‘ননসেন্স’
  • বৈসাবি উপলক্ষে রাঙামাটিতে ঐতিহ্যবাহী বলী খেলা অনুষ্ঠিত
  • নববর্ষ উপলক্ষে গুলশানে থাকছে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান
  • আমিরাতের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
  • নববর্ষ উপলক্ষে ব্যস্ততা বেড়েছে মৃৎশিল্পীদের
  • সব মাদ্রাসায় নববর্ষ উদযাপনের নির্দেশ