মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি বই বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান আটক করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার রাঢ়ীখাল গ্রামের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড কলেজ ফটকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আটক করা ওই বইগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফেরত নেওয়া হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।

স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেহানা নাসরিন জানান, দু’দিন পরই এসএসসি পরীক্ষা। তাই কক্ষ পরিষ্কার করার জন্য ভেতরে থাকা পুরাতন বই বাইরে আনা হয়। এরপর ওই বই কে বা কারা পিকআপ ভ্যানে বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছিল তা তিনি জানেন না। এ সময় শিক্ষার্থীরা বই বোঝাই পিকআপ ভ্যান আটক করে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসে। পরে বইগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতর রাখা হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে দু’জন শিক্ষক জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে শতভাগ নিশ্চিত না হওয়ায় ও তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার ভাইজার প্রদ্বীপ পাল জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তিনি জানতে পেরেছেন বইগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে পিকআপ ভ্যানে বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ ব্যাপারে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প কআপ ভ য ন

এছাড়াও পড়ুন:

আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফে অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত চায় ঢাবি ছাত্রদল 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রদল। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এ দাবি জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আগুন লাগার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

ঢাবি ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান—   এই প্রতিপাদ্যে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রার অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরির কাজে যুক্ত আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কিছুদিন ধরে আনন্দমুখর পরিবেশে এ কার্যক্রম চললেও শনিবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে কিছু দুর্বৃত্ত অনুষদ প্রাঙ্গণে নির্মিতব্য ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও শান্তির পায়রার প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগ করে তা ভস্ম করে দিয়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলা এবং ক্যাম্পাসে ফ্যাসিস্টদের মুক্ত পদচারণার বিষয়ে ঢাবি ছাত্রদল এর আগে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, এই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি তার সত্যতা প্রমাণ করে প্রতি একটি ভয়াবহ বার্তা দিয়ে গেল।’

ঢাবি ছাত্রদল বলেছে, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং ফ্যাসিবাদী শাসনামলের বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলাকারীরা এখনো আবাসিক হলগুলোতে বহাল তবিয়তে অবস্থান করছে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিনা বাধায় চলাফেরা করছে। ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করে দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে। তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চরম উদাসীনতা দেখিয়েছে। এই অগ্নিসংযোগের ঘটনার মাধ্যমে সেটিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করছে ঢাবি ছাত্রদল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ