স্কুলছাত্রীর ছবি ও ভিডিও ধারণ, আদালতে মামলা
Published: 8th, April 2025 GMT
যশোরের সদর উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে হায়াতুন রহমান সুজন (৩০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ সুপার (পিবিআই) যশোরকে নির্দেশ দিয়েছেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর রোকসানা পারভীন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত সুজন সদর উপজেলার মৃত আতর আলী বিশ্বাসের ছেলে।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজারে রেস্টুরেন্টে হামলার ঘটনায় মামলা, আসামি ৩০০
পটুয়াখালীতে হত্যা মামলায় ২৩ জনের যাবজ্জীবন
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, তার মেয়েকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে সুজন প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। মেয়েকে বিভিন্ন আপত্তিকর কথা বলত সুজন। বিষয়টি সুজনের পরিবারকে জানানো হয়। তবে, তার পরিবার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
গত ১৫ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে তার মেয়ে বাড়ির বাথরুমে গোসল করছিল। সুজন বাথরুমের ছাদে উঠে মোবাইল ফোনে তার মেয়ের নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। একপর্যায়ে বিষয়টি টের পেলে সুজন দ্রুত পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পর সুজনের পরিবারকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, বরং অভিযুক্ত সুজন আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠে।
ভুক্তভোগীর বাবা গত ১৬ মার্চ যশোর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এতে সুজন বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বাধ্য হয়ে ন্যায়বিচারের আশায় তিনি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
ঢাকা/রিটন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।
মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।