প্রথমবার ওয়েব সিরিজের অভিনয় করছেন চিত্রনায়ক কায়েস আরজু। সিরিজের নাম ‘রিটার্ন’। এতে তাঁর বীপরীতে দেখা যাবে মৌমিতা মৌকে। এটি পরিচালনা করছেন তাজু কামরুল। সম্প্রতি গাজীপুরে হয়েছে এর দৃশ্যধারণ। এর ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
নতুন মাধ্যমে অভিনয় প্রসঙ্গে কায়েস আরজু বলেন, ‘ওয়েব সিরিজটির গল্প অসাধারণ। একটি খুন নিয়ে এর গল্প । ওয়েবের কাজ আমার জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা। ফিল্মের ঢঙে এর দৃশ্যধারণ হয়েছে। সিরিজটির আরও কিছু কাজ বাকী আছে। আশা করছি,শিগগিরই এর শুটিংয়ে অংশ নেবো।’
এর আগে কায়েস আরজু অভিনয় করেছেন ‘আজিরন’ সিনেমায়। ভিন্নধর্মী গল্পের এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন গীতালি হাসান। সিনেমাটিতে আরজুর সঙ্গে জুটি হয়েছেন সুমাইয়া অর্পা। সম্প্রতি রাজবাড়ীর বিভিন্ন জায়গায় এর দৃশ্যধারণ হয়েছে। রাশেদ রেহমানের গল্প অবলম্বনে ছবিটির চিত্রনাট্য করেছেন পরিচালক নিজে। কায়েস আরজু ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করছেন গোলাম কিবরিয়া তানভির, গোলাম ফরিদা ছন্দা, ফজলুর রহমান বাবু, মাহমুদুল ইসলাম (বড়দা মিঠু), আদিত্য, আনন্দ প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক য় স আরজ অভ ন ত ক য় স আরজ
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে বাবা-ছেলেকে হত্যার পর মাজার ও বাড়ি ভাঙচুর, নেপথ্যে কী
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় চুরির অপবাদে ডাকা সালিসে না যাওয়ায় বাবা-ছেলেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পুরো এলাকা এখনো থমথমে। পুরো ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য। বাবা-ছেলেকে হত্যার পর মানুষকে উসকে পাশের ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও তাঁর ভাইয়ের বাড়িসহ পাঁচটি বাড়ি এবং একটি মাজারে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় এখনো আতঙ্ক আছে।
গত রোববার দুপুরে ফুলবাড়িয়া উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নের নাওগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামে আবদুল গফুর ও তাঁর ১৫ বছর বয়সী কিশোর ছেলে মেহেদী হাসানকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে গফুরের চাচাতো ভাই নাওগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জড়িত বলে নিহত দুজনের পরিবারের অভিযোগ। বাবা-ছেলেকে হত্যার ঘটনায় শিল্পী আক্তার বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। শিল্পী আক্তার নিহত গফুরের দ্বিতীয় স্ত্রী।
গত রোববার রাতেই থানায় মামলা হয়। মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হলেও মূল অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কেউ গ্রেপ্তার হননি।
হামলায় হাবিবুর রহমান ছাড়াও চুরির অপবাদে ডাকা সালিসে নেতৃত্ব দেওয়া স্থানীয় ইউপি সদস্য শামছুল হক ওরফে সাম্পে মেম্বার ও রাঙ্গামাটিয়া ইউপির সদস্য সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরু মেম্বারও আসামি হয়েছেন। তাঁরা সালিসে উপস্থিত থেকে হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে তাঁরা সবাই এলাকাছাড়া।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়ার আবদুস সালামের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়