নারায়নগঞ্জের আতঙ্ক শামীম ওসমানের দোসর এম সাইফুল্লাহ বাদলের দুর্ধর্ষ ক্যাডার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার এজহার ভূক্ত আসামী স্বপনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ কাশিপুরের মানুষ।

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শামীম ওসমান এবং সাইফুল্লাহ বাদলের নাম ভাঙ্গিয়ে কাশিপুর ও এর আশেপাশে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছেন কাশীপুরের আলোচিত মুসকান মটরস্ বিস্ফোরনের অভিযুক্ত মো.

আলী মিয়ার ছেলে স্বপন।

৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর স্থানীয় প্রশাসন ও বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে আগের মতো সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। 

আওয়ামী লীগের ক্যাডার ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা মামলার এজারভুক্ত আসামি হয়েও এখনও নিজ বাড়ীতে বসবাস করছেন দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী স্বপন। নিজ বাড়ীর নীচে মুসকান মটরস্ এর শো রুমে নিয়মিত বসছেন। অভিযোগ রয়েছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এখনো বহাল তবিয়তে আছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তার মুসকান মটর্সে বিস্ফোরনে ৩ জন মানুষ নিহত হয়েছে। বহু বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলো। তখন সে পালিয়ে আত্মগোপন করে ছিল। পড়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি বাদল চেয়ারম্যান কে মোটা অংকের টাকা দিয়ে সে ঘটনা ধামা চাপা দিয়ে আবারও শো রুম খুলে ব্যবসা করছে।

এছাড়া ঐ সময় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস মুসকান মটরস্ এর ক্ষতিগ্রস্ত বহুতল বিল্ডিং ঝুঁকি পূর্ন ঘোষনা দিয়ে সাইন বোর্ড টানিয়ে দেয়। কিন্ত সে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে সখ্যতা করে সেই সাইনবোর্ড সরিয়ে ঐ পরিত্যাক্ত বিল্ডিংটি  বর্তমানে গোপনে গোডাউন হিসেবে ব্যাবহার করছে।

এখনো সে আওয়ামীলীগ এর লোক জনের সাথে আতাত করে তাদের সাথে অর্থ লেনদেন করছে বলে জানা গেছে। সে এক প্রভাবশালী পলাতক আওয়মীলীগ নেতা কে এখনো টাকা সরবরাহ করছে।

এছাড়া স্থানীয়  বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মুসকান মটরসের ব্যাবসা ভূমি দস্যুতার ব্যাবসা করে সে প্রচুর অর্থের মালিক হয়েছে। সেই অর্থ আওয়ামী দোসর স্বপন বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকারের বিপক্ষে নানা দেশ রিরোধী কর্মসূচীতে ডোনেশন দিচ্ছে।

চিন্থিত ডেভিল  স্বপন বৈষম্য বিরোধী  ছাত্র আন্দোলনের মিনারুল ইসলাম হত্যা মামলার এজহার নামীয় ২৪ নং আসামি। এলাকাবাসী অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় চিন্থিত অপরাধ এই দূর্ধর্ষ ডেভিল স্বপনকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।

আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে আলী মিয়ার পুত্র স্বপন বাশমুলির জায়গা জোর জবরদস্তি করে দখল করে এবং পঞ্চায়েত কমিটি তাকে বাঁধা দিলে সে তাদের অমান্য করে শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান তার লোকজন দিয়ে সে জমিনে দেয়াল দেয়।

শামীম ওসমানের প্রভাব খাটিয়ে ফতুল্লা থানার এম সাইফুল্লাহ বাদলের হুকুমে স্বপন দেয়াল দেয় জমির মালিক হিরু মিয়া মামলা চলতি কালে হিরু মিয়া বাধা দিল তাকে মারধোর করে এবং তাকে ঐখান থেকে  তাড়িয়ে দেয় ও উল্টা স্বপন এই জমির মালিকের নামে আরো কিছু লোকের নামে সে মিথ্যা মামলা করে। 

আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের সাহসে শামীম ওসমানের বিয়াই লাভলুর নেতৃত্বে স্বপন জোরজবস্তি দেওয়াল দেয়। দেয়াল দেয়ার সময় স্পটে উপস্থিত ছিলো সাংবাদিক রাজু এবং ছাত্রলীগ নেতা শান্ত সহকারে অয়ন ওসমানের ক্যাডার বাহিনী।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ শ ম ম ওসম ন র স বপন আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

সাত বছর ধরে হেলিকপ্টার বানাচ্ছেন রাজমিস্ত্রী আরিফুল, তিন সপ্তাহের মধ্যে ওড়ানোর স্বপ্ন

শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের মাটিয়ান গ্রামের রাজমিস্ত্রী আরিফুল ইসলাম হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। সাত বছর ধরে একটি হেলিকপ্টার তৈরি করায় এ নিয়ে এলাকায় তাঁকে নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে হেলিকপ্টার তৈরির কাজ শেষ করে তা আকাশে ওড়াতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন। 
  
আরিফুল মাটিয়ান গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেনের ছেলে। বাড়িতে ছোট্ট একটি ঘরের মধ্যে তৈরি হচ্ছে হেলিকপ্টার। আশেপাশে পড়ে রয়েছে নানা সরঞ্জাম। হেলিকপ্টার তৈরির স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে ২০১৮ সাল থেকে সাত বছর ধরে দৈনিক আয়ের কিছু অংশ থেকে সরঞ্জাম কিনে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন তিনি। এ পর্যন্ত তাঁর প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাঁকি কাজ সম্পূর্ণ করতে আরও ৫০ হাজার টাকার দরকার বলে জানান তিনি। টাকার ব্যবস্থা হলে আগামী ২০ দিনের মধ্যে অবশিষ্ট কাজ শেষ করে হেলিকপ্টারটি আকাশে উড়াতে সক্ষম হবেন বলে জানান তিনি। 

মাটিয়ান গ্রামের জাকারিয়া জুয়েল বলেন, ছোটবেলা থেকে আরিফুল অনেক কিছু তৈরি করতেন। দরিদ্র আরিফুল তাঁর উপার্জনের টাকা দিয়ে সরঞ্জাম কিনে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। সরকারিভাবে কোনো সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু তৈরি করতে পারবেন। 

আরিফুলের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, এক মেয়েকে নিয়ে অতি কষ্টে আমরা জীবনযাপন করি। আমার স্বামী তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে উপার্জনের টাকা ব্যয় করে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। এতে আমাদের কষ্ট হলেও আমরা খুশি।

কিচক ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বলেন, হেলিকপ্টার তৈরির বিষয়টি আমি জেনেছি। আমরা তাঁর উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। 

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, হেলিকপ্টার তৈরি করায় আমরা তাঁকে সাধুবাদ জানাই। এ কাজে উৎসাহ যোগাতে প্রয়োজনে তাঁকে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে। হেলিকপ্টার দেখার জন্য প্রতিদিন তাঁর বাড়িতে শতশত মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ