২০২৩ আইপিএলে আহমেদাবাদে গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সেই ম্যাচটার কথা মনে আছে? যে ম্যাচ দিয়ে বড় মঞ্চে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন রিংকু সিং, রাতারাতি পেয়েছিলেন উঠতি তারকা খ্যাতি।

সেদিন ম্যাচের শেষ ওভারে যশ দয়ালকে টানা পাঁচ ছক্কা মেরে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে অবিস্মরীয় জয় এনে দিয়েছিলেন রিংকু। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে আজও সেরকম প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল। জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে ৩৮ আর শেষ ওভারে ২৪ রান দরকার ছিল কলকাতার। শেষ ১২ বলের ৯টিই খেলেছেন রিংকু। এর ৬টিতেই মেরেছেন চার অথবা ছক্কা। কিন্তু আহমেদাবাদের স্মৃতি ফেরাতে পারলেন না।

রান উৎসবের ম্যাচে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের কাছে ৪ রানে হেরে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মিচেল মার্শ (৪৮ বলে ৮১) ও নিকোলাস পুরানের (৩৬ বলে ৮৭*) বিধ্বংসী ইনিংসের সুবাদে ৩ উইকেটে ২৩৮ রান করেছিল লক্ষ্ণৌ, যা তাদের ইতিহাসে দ্বিতীয় দলীয় সর্বোচ্চ। পাহাড় টপকাতে নেমে ৭ উইকেটে হারিয়ে ২৩৪ রান করতে পেরেছে কলকাতা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস: ২০ ওভারে ২৩৮/৩

(পুরান ৮৭, মার্শ ৮১, মার্করাম ৪৭; হর্ষিত ২/৫১, রাসেল ১/৩২)।

কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২০ ওভারে ২৩৪/৭

(রাহানে ৬১, ভেঙ্কটেশ ৪৫, রিংকু ৩৮*, নারাইন ৩০; শার্দূল ২/৫২, আকাশ ২/৫৫)।

ফল: লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস ৪ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নিকোলাস পুরান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

সাত বছর ধরে হেলিকপ্টার বানাচ্ছেন রাজমিস্ত্রী আরিফুল, তিন সপ্তাহের মধ্যে আকাশে ওড়ানোর স্বপ্ন

শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের মাটিয়ান গ্রামের রাজমিস্ত্রী আরিফুল ইসলাম হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। সাত বছর ধরে একটি হেলিকপ্টার তৈরি করায় এ নিয়ে এলাকায় তাঁকে নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে হেলিকপ্টার তৈরির কাজ শেষ করে তা আকাশে ওড়াতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন। 
  
আরিফুল মাটিয়ান গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেনের ছেলে। বাড়িতে ছোট্ট একটি ঘরের মধ্যে তৈরি হচ্ছে হেলিকপ্টার। আশেপাশে পড়ে রয়েছে নানা সরঞ্জাম। হেলিকপ্টার তৈরির স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে ২০১৮ সাল থেকে সাত বছর ধরে দৈনিক আয়ের কিছু অংশ থেকে সরঞ্জাম কিনে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন তিনি। এ পর্যন্ত তাঁর প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাঁকি কাজ সম্পূর্ণ করতে আরও ৫০ হাজার টাকার দরকার বলে জানান তিনি। টাকার ব্যবস্থা হলে আগামী ২০ দিনের মধ্যে অবশিষ্ট কাজ শেষ করে হেলিকপ্টারটি আকাশে উড়াতে সক্ষম হবেন বলে জানান তিনি। 

মাটিয়ান গ্রামের জাকারিয়া জুয়েল বলেন, ছোটবেলা থেকে আরিফুল অনেক কিছু তৈরি করতেন। দরিদ্র আরিফুল তাঁর উপার্জনের টাকা দিয়ে সরঞ্জাম কিনে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। সরকারিভাবে কোনো সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু তৈরি করতে পারবেন। 

আরিফুলের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, এক মেয়েকে নিয়ে অতি কষ্টে আমরা জীবনযাপন করি। আমার স্বামী তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে উপার্জনের টাকা ব্যয় করে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। এতে আমাদের কষ্ট হলেও আমরা খুশি।

কিচক ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বলেন, হেলিকপ্টার তৈরির বিষয়টি আমি জেনেছি। আমরা তাঁর উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। 

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, হেলিকপ্টার তৈরি করায় আমরা তাঁকে সাধুবাদ জানাই। এ কাজে উৎসাহ যোগাতে প্রয়োজনে তাঁকে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে। হেলিকপ্টার দেখার জন্য প্রতিদিন তাঁর বাড়িতে শতশত মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ