কুমিল্লায় কেএফসি রেস্টুরেন্টে হামলা, গ্রেপ্তার ৩
Published: 8th, April 2025 GMT
কুমিল্লা নগরীর কেএফসি রেস্টুরেন্টে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) পুলিশের বিশেষ অভিযানে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল থেকে কেএফসিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় বিক্ষোভকারীরা ভবনের দ্বিতীয় তলায় উঠে রেস্টুরেন্টের কাচ ভাঙচুর করে এবং নিচ থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ক্ষয়ক্ষতি করে।
জেলা পুলিশ জানায়, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে শুধুমাত্র কুমিল্লা নয়, দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের দোকানে একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- জেলা সদর দক্ষিণ উপজেলার মাটিয়ারা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে শাফায়াত (২৭)। নগরী কাপ্তান বাজার এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে মো.
কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহিনুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার পর কুমিল্লা নগরীরে পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা তিনজনকে আটক করেছি, বাকিদের আটক করতে আমাদের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
ঢাকা/রুবেল/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।
মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।