বান্দরবানের লামায় ৯ জন তামাক চাষিকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অপহরণের খবর পাওয়ার পরপরই যৌথবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি লেমুপালং এলাকার তামাক চাষি আল আমিন ও ভুট্টোর খামার বাড়ি থেকে তাদেরকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের স্থান দুর্গম ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিহীন হওয়ায় তাৎক্ষণিক ভাবে অপহৃত তামাক শ্রমিকদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, অপহরণের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম উদ্ধার অভিযানে নেমেছেন। মুক্তিপণের দাবিতে এই অপহরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে লামা উপজেলার সরই ইউপিতে ১৪ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ১৪ জন এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি ফাসিয়াখালি ইউপি এলাকার ২৬ রাবার বাগান শ্রমিককে অপহরণ করা হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়। একের পর এক অপহরণের কারণে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে অপহরণ আতংক বিরাজ করছে বলে জানান স্থানীয়রা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনে অপহৃত ছয় নারীসহ ৩৩ জেলে উদ্ধার
সুন্দরবনে অপহৃত ছয় নারীসহ ৩৩ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
এর আগে, বুধবার বিকেলে তাদের উদ্ধার করা হয়। একই দিন সকালে ছয় নারীসহ ৩৩ জেলেকে অপহরণ করে বনদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর সদস্যরা। উদ্ধারকৃত জেলেদের বাড়ি খুলনার কয়রা থানার বিভিন্ন এলাকায়। তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
সিয়াম-উল-হক বলেন, ‘‘সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার কয়রা এলাকায় মাছ ও কাঁকড়া ধরার সময় ৩৩ জেলেকে অপহরণ করে বনদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর সদস্যরা। পরে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘খবর পেয়ে সুন্দরবনের করকরি নদীর মাল্লাখালী এলাকায় অভিযান চালায় কোস্টগার্ড সদস্যরা। এ সময় বনদস্যুরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে গহীন বনে পালিয়ে যায়। পরে দস্যুদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে ছয় নারীসহ অপহৃত ৩৩ জেলেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় তাদের ব্যবহৃত ১৬টি নৌকাও।’’
ঢাকা/শহিদুল/রাজীব