বান্দরবানে লামা উপজেলার দুর্গম এলাকার একটি তামাকখেত থেকে আটজন শ্রমিককে একদল দুর্বৃত্ত অপহরণ করেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তামাকখেত থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গহিন জঙ্গলের দিকে তাঁদের ধরে নিয়ে যায় বলে পুলিশ ও জনপ্রতিনিধি আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন।

লামার স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, লামা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে সরই ইউনিয়নের লুলাইন খাল এলাকায় কিছু খামারি তামাক চাষ করেন। সেখানে কক্সবাজারের চকরিয়া, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থেকে গিয়ে শ্রমিকেরা কাজ করেন। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গভীর রাতে ওই তামাকের খামারে হানা দেয়। সেখানে ঘুমন্ত আটজন শ্রমিককে ঘুম থেকে তুলে ধরে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় অপহৃত শ্রমিকদের নাম ও ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

সরই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিস জানিয়েছেন, সরইয়ের লুলাইং ও লেমুপালং এলাকাগুলো অত্যন্ত দুর্গম। কোনো সড়ক যোগাযোগ নেই। বনাঞ্চল ও দুর্গমতার সুযোগ নিয়ে কিছু স্থানীয় সন্ত্রাসী অপহরণ–বাণিজ্য করে। এর আগেও সাতজন শ্রমিককে ধরে নিয়ে গিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। টাকার জন্য মূলত এই অপহরণ ঘটনা ঘটছে। আটজন শ্রমিকের জন্য মুক্তিপণ হিসেবে অপহরণকারীরা পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেছে বলে জানা গেছে। তবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন তামাকখেতের আট শ্রমিক অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, শ্রমিকদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযান চলছে। তবে এলাকাটি বেশি দুর্গম হওয়ায় সারা দিনের অভিযানে শ্রমিকদের হদিস পাওয়া যায়নি। অপহরণকারীদের মুক্তিপণ দাবি করার ব্যাপারে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই বলে ওসি জানিয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র গম

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনে অপহৃত ছয় নারীসহ ৩৩ জেলে উদ্ধার

সুন্দরবনে অপহৃত ছয় নারীসহ ৩৩ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

এর আগে, বুধবার বিকেলে তাদের উদ্ধার করা হয়। একই দিন সকালে ছয় নারীসহ ৩৩ জেলেকে অপহরণ করে বনদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর সদস্যরা। উদ্ধারকৃত জেলেদের বাড়ি খুলনার কয়রা থানার বিভিন্ন এলাকায়। তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

সিয়াম-উল-হক বলেন, ‘‘সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার কয়রা এলাকায় মাছ ও কাঁকড়া ধরার সময় ৩৩ জেলেকে অপহরণ করে বনদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর সদস্যরা। পরে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘খবর পেয়ে সুন্দরবনের করকরি নদীর মাল্লাখালী এলাকায় অভিযান চালায় কোস্টগার্ড সদস্যরা। এ সময় বনদস্যুরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে গহীন বনে পালিয়ে যায়। পরে দস্যুদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে ছয় নারীসহ অপহৃত ৩৩ জেলেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় তাদের ব্যবহৃত ১৬টি নৌকাও।’’

ঢাকা/শহিদুল/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মডেল মেঘনা আলম কেন নিরাপত্তা হেফাজতে, জানাল পুলিশ
  • মেঘনা আলমকে অপহরণের অভিযোগ সঠিক নয়: পুলিশ
  • নিয়ামতপুরে ‘গাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে’ দুই চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে হত্যা
  • অবশেষে মামলা করলেন ধর্ষণের শিকার দুই ছাত্রীর বাবা
  • সুন্দরবনে অপহৃত ছয় নারীসহ ৩৩ জেলে উদ্ধার
  • মধ্যরাতে বাড়ি থেকে অপহরণ, ৩ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি