বাড়িতে ছিলেন না কোরীয় তারকা কমেডিয়ান ও উপস্থাপক পার্ক না–রে। গত সোমবার রাতে তাঁর বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মূল্যবান পণ্যসামগ্রী নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোর।
কোরীয় সংবাদমাধ্যম মেইল বিজনেস স্টার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইতিমধ্যে পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ করা হয়েছে।
বাড়িতে একাই থাকেন পার্ক না–রে। মঙ্গলবার বাড়িতে ফিরে দেখেন, চুরির ঘটনাটি ঘটেছে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন পার্ক না–রে। এমবিসির ‘সন টে জিন’স ট্রট রেডিও শোতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল পার্কের। তবে থাকতে পারছেন না পার্ক না–রে। শোটি বাতিল করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের উপস্থাপক সন বলেন, ‘আজকের শোতে পার্ক না–রের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। ব্যক্তিগত কারণে তা বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরেক দিন শোতে আসবেন।’
২০২১ সালে ইতেওনের বাড়িটি কিনেছেন পার্ক। বাড়িটির মূল্য আনুমানিক সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন ওন (কোরীয় মুদ্রা)।
আরও পড়ুনকোরীয় ভাষায় আনাড়ি ছিলেন, সেই লিসা এখন কে-পপ তারকা১৮ মার্চ ২০২৫৪০ বছর বয়সী পার্ক না–রে ২০০৬ সালে ক্যারিয়ার শুরু করেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘প্লাস নাইন বয়েজ’, ‘দ্য সাউন্ড অব ইয়োর হার্ট’সহ বেশ কয়েকটি সিরিজে কমেডিয়ান হিসেবে দেখা গেছে তাঁকে।
এর বাইরে ‘গ্যাগ কনসার্ট’, ‘কমেডি বিগ লিগ’, ‘হিট দ্য স্টেজ’, ‘ভিডিও স্টার’সহ কয়েকটি শোতেও পাওয়া গেছে তাঁকে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রূপনগরে শিশুদের জন্য ভ্রাম্যমাণ খেলার জায়গা উদ্বোধন
এলাকাভিত্তিক খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে শিশুদের জন্য রাজধানীর মিরপুরে রূপনগর আবাসিক এলাকায় ভ্রাম্যমাণ খেলার জায়গা (মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড) উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে স্কুল অব লাইফ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট ও হেলথ ব্রিজ ফাউন্ডেশন অব কানাডার সম্মিলিত উদ্যোগে এটির উদ্বোধন করা হয়। এই আয়োজনে সহযোগিতা করেন রূপনগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা।
আয়োজকেরা জানান, প্রতি শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর সড়কে নিয়মিত মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ডে খেলাধুলার আয়োজন করা হবে। খেলাধুলার মধ্য থাকবে দাবা, লুডু, ক্যারম, দড়ি লাফ ও ব্যাডমিন্টন। এ ছাড়াও থাকবে ছবি আঁকা, হস্তশিল্প ও সামাজিকীকরণের মতো বিভিন্ন কার্যক্রম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মাঠ ও পার্কের অপ্রতুলতা ঢাকা শহরের একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডের ৩৭টিতে কোনো খেলার মাঠ বা পার্ক নেই। শিশুদের খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এলাকাভিত্তিক মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড তৈরি একটি কার্যকর সমাধান। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে উঠবে, শহর হবে প্রাণবন্ত ও বাসযোগ্য।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্কুল অব লাইফের চেয়ারম্যান চিকিৎসক অনুপম হোসেন বলেন, ঘরবন্দী জীবনে শিশুরা হাঁপিয়ে উঠেছে। করোনাকালে দীর্ঘদিন ঘরে থাকার ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এলাকাভিত্তিক স্বল্প ব্যবহৃত বা অব্যবহৃত রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড তৈরি করে খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ তৈরি করা যায়। এতে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি নেতৃত্বগুণ ও সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ-পার্ক নেই। অর্থ ও স্থান সংকুলান বিবেচনায় সিটি করপোরেশনের পক্ষে দ্রুত বড় আকারের মাঠ-পার্ক তৈরি সম্ভব নয়। তবে খুব কম খরচে ও স্বল্প জায়গায় শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে এলাকাভিত্তিক খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের স্থান গড়ে তোলা সম্ভব। নগরবাসীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব লাইফের সদস্যসচিব সাবরিনা নওরিন লিমু, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মকর্তা, মিরপুর সেকশন- ৭ এর রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর সড়কের এলাকাবাসী ও শিশু-কিশোরেরা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা মো. মিঠুন।