স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ৪
Published: 8th, April 2025 GMT
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কুলাউড়ার থানার এক উপপরিদর্শক দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার ভাটেরা রাবার বাগানের ফটকের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় মামলা করলে সোমবার রাতেই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা আসামিরা হলেন– খলিল মিয়া (১৮), জিমুল মিয়া (১৮), রুমন মিয়া (৩১) ও ইমন মিয়া (২৯) করে। আসামিদের সবাই ভাটেরা ইউনিয়নের কলিমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, ঘটনার দিন ভাটেরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শহিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক মো.
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম আপছার জানান, গ্রেপ্তার ৪ আসামিকে আজ মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। শহিদ মিয়াসহ অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ব চ ছ স বক ল গ গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
ছড়া কবিতা
ফা রু ক ন ও য়া জ
বৃথাই খুঁজে ফেরা
চাঁদের বাটি উথলে পড়া আলোয় আমি
জোছনারাতের চাঁদদিঘিটা খুঁজি
বুঝি আমি, ভালো করেই বুঝি
সেই দিঘিটা পাবো না আর যতোই খুঁজি তারে
আলোর দিঘি হারিয়ে গেছে কালের অন্ধকারে।
জলথইথই ঢেউয়ের দোলা ছোট্টো নদী
সাঁঝ-অবধি মন নাচাতো আমার
পাড়ের ওপর শস্যঝাড়া খামার
খামারঘেঁষা মৈঠালি পথ খুঁজে বেড়াই আমি
বৃথাই খোঁজা; খোঁজার নেশা মিছে এ পাগলামি!
ক্যাঁচক্যাঁচানো গরুর গাড়ি মাটির পথে
হাটের দিনে কড়কড়ানো দুপুর
মাঝ-আকাশে সূর্য তখন উপুড়
পথের পাশে বটের ঝুড়ি দুলদুলুনি খেলা
হারানো সেই গাঁয়ের ছবি খুঁজতে ফুরোয় বেলা।
হাঁটতে হাঁটতে থমকে যাওয়া দখিনবনের
ঘুঘুর ঘু-ঘু মনউচাটন ডাকে
পরান কেমন উদাস হয়ে থাকে
হন্যে হয়ে সেই উদাসী দিনকে খুঁজি শুধু
বৃথাই খোঁজা; নিরাশ হয়ে মনটা করে ধু-ধু!
অ ঞ্জ ন মে হে দী
বাবার ছবি
আকাশ পানে তাকিয়ে থাকি দূরের ছায়াপথে
দু’হাত তুলে ডাকি যখন বাবা তোমার নামে
দিদুন বলে বাবা নাকি দূরের কোনো তারা
সত্যি কি তাই? চিঠি পাঠাই জানতে সবুজ খামে!
জোনাক জ্বলা রাতের বেলা যখন গোটা পাড়া-
ঘুমিয়ে থাকে চুপটি করে পুতুল মণির মত
মায়ের চোখে সাগর-নদী-ঝর্ণা জলের ধারা
জায়নামাজের উদার জমিন ভিজছে অবিরত।
ছোট্টবেলায় হোঁচট খেলে কিংবা জ্বরের ঘোরে
যখন আমি ঘুমের দেশে ভীষণ কেঁপে উঠি
সেই দিনরাত মায়ের মতো আমার কপাল ভূমি
স্নেহমাখা তোমার আঙুল করতো লুটোপুটি!
তোমার কাছে প্রথম শিখি বর্ণমালা পড়া
চাঁদের দেশে চাঁদের বুড়ির গল্পটা ফিসফিস
তোমার নামে রাত পোহালে আবার রূপোর ভোরে
সজনে ডালে দোয়েল পাখি আজও বাজায় শিস।
কোন দুয়ারে তোমায় ডাকি, কোন পথে যে খুঁজি?
বাবা ছাড়া বিশ্বভূবন সত্যি লাগে ফাঁকা
রইলো পড়ে তোমার সকল চশমা হাতের ঘড়ি
বুকের ভাঁজে সোনা রঙে তোমার ছবি আঁকা।
আ খ তা রু ল ই স লা ম
বিশাল আকাশ
আমাদের আছে বিশাল আকাশ আকাশের বুকে তারা
তারারা আমার খুব প্রিয় তাই, হই আমি দিশেহারা।
আকাশের গায়ে নীলের চাদরে মেঘদের ছবি আঁকা
মেঘ মেদুরের ছবিগুলো কত রঙবেরঙের মাখা।
মেঘেরা আমার কবিতার কথা পৃথিবীটা যেন ঘুরে
সীমানা পেরিয়ে ছুটে চলে ওই হাওয়ার রোদ্দুরে।
আকাশটা কত ছায়া মায়া দেয়, দেয় ভালোবাসা সুখ
গ্রহ নক্ষত্র হাতছানি দেয় হই আমি উন্মুখ।
সাদা কালো কত স্বপ্নেরা ডাকে, ডাকে যে পাহাড় নদী
সময়ের স্রোতে ঘুরে ফিরে আসে হারায় নিরবধি।
মেঘে মেঘে আমি খুঁজি যেন ওই আকাশের বিশালতা
মনটা তখন মন থাকে না রে পাই কত স্বাধীনতা।
কখনো কখনো কালো মেঘে ছেয়ে নীরবে আকাশ কাঁদে
নীল কষ্টের বৃষ্টির জলে মাটিতে মিতালি বাঁধে।
ঝলমলে রূপ সোনালি আকাশে মেঘরোদ্দুরে খেলা
আমাকে শেখায় দুখেতে হাসতে ঝরঝরে সারাবেলা।
আমার আকাশ পৃথিবী জুড়েই দিচ্ছে বিশাল ছাতা
ছাতার ভেতরে আমরা মানুষ রেখেছি সবার মাথা!
মা লে ক মা হ মু দ
আমের ছড়া
রাত হলো নিঝুম
চোখ জুড়ে আয় ঘুম
ঝড় নেই নেই ঝড়
গাছে আম পাকছে
পাখিরাও আম খেতে
একে ওকে ডাকছে
ধুপ ধুপ পড়ে আম
যেই কানে শুনছি
তাড়াতাড়ি ভোর হও
প্রহর তো গুনছি!
দুই.
আয় ঝড় আয় রে
মন ছুটে যায় রে
জোরে তুলি হাই রে
আম খেতে চাই রে
গাছতলা দাঁড়িয়ে
ভাবনাটা নাড়িয়ে
আছি হাত বাড়িয়ে
তাড়াতাড়ি আয় ঝড়
আম পড় আম পড়!
প্র জী ৎ ঘো ষ
গাজার শিশু
আমরা যারা গাজার শিশু
কাঁদি অনাহারে;
বিশ্ব বিবেক আবেগ দিয়ে
সইতে কি তা পারে?
আমরা যারা গাজার শিশু
উঠছি ভয়ে কেঁপে;
বিশ্ব বিবেক কম্পিত কি
সেই তরঙ্গ মেপে?
আমরা যারা গাজার শিশু
হচ্ছি গুলিবিদ্ধ;
এই ঘটনায় কারো হৃদয়
হচ্ছে না কি ঋদ্ধ?
আমরা যারা গাজার শিশু
এতিম অভাজন;
কে দেখাবে পথ আমাদের
কে বা ইশান কোণ?
আমরা যারা গাজার শিশু
চিকিৎসাহীন প্রাণ;
কে শোনাবে মানবতার
সুস্থ করার গান?
আমরা যারা গাজার শিশু
বোমার সাথে খেলি;
চিনি না কি জুঁই চামেলী
চিনি না রোজ, বেলী।
আমরা যারা গাজার শিশু
নিরুপায় নির্বাক;
বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হোক
এ খেলা মুক্তিপাক।
কোন্ কারণে এই বলিদান
কোন্ কারণে ধ্বংস;
কোন্ কারণে হৃদয় কাঁদে
যায় উড়ে বুনো হংস।
আমরা যারা গাজার শিশু
হে খোদা! দয়াময়;
আমাদের তুমি রক্ষা করো
তোমারই হবে জয়।
আমরা যারা গাজার শিশু
অবুঝ কচি প্রাণ;
মাতৃভূমির তরে জীবন
যাচ্ছি করে দান।
আমরা যারা গাজার শিশু
আর যতক্ষণ বাঁচি;
এই চিৎকার, এই হাহাকার
পৌঁছাক কাছাকাছি।