ফোনে গালাগাল করার অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আল মারজানের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। রোববার রাতে রাজারহাট থানার ওসি তছলিম উদ্দিন এই জিডি করেন।

জিডি সূত্রে জানা যায়, ৩ এপ্রিল ওসি তছলিম উদ্দিন ছুটিতে ছিলেন। রাতে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের সরিষাবাড়ী গ্রামে চরের কাছে জুয়ার আসর বসে। ৯৯৯ নম্বরে অভিযোগের সূত্র ধরে থানার এসআই কমলের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩টি মোটরসাইকেল, জুয়া খেলার সামগ্রীসহ একজনকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে জুয়াড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে আদালতে চালান করে পুলিশ। ৫ এপ্রিল রাতে রাজারহাট থানার হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আল মারজান। তিনি ওসিকে আটক জুয়াড়ির বিরুদ্ধে মামলা না দিয়ে ছেড়ে দিতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘একজন ছাত্রনেতার সঙ্গে হিসাব করে কথা বলা উচিত।’ কথোপকথনের একপর্যায়ে তিনি ওসিকে গালাগাল করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মারজানের বাড়ি রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রতি মৌজায়। 

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাহমুদুল আল মারজান। তাঁর দাবি, এলাকার বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত জানার জন্য ওসির সঙ্গে ফোনে কথা হয়। এ সময় তিনি বিরক্ত হয়ে বলেন, আপনি এসব বিষয়ে জানার কে? এ নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। জুয়াড়ির পক্ষে সুপারিশ ও গালমন্দের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানান তিনি।

থানার ওসি তছলিম উদ্দিন জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফে অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত চায় ঢাবি ছাত্রদল 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রদল। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এ দাবি জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আগুন লাগার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

ঢাবি ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান—   এই প্রতিপাদ্যে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রার অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরির কাজে যুক্ত আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কিছুদিন ধরে আনন্দমুখর পরিবেশে এ কার্যক্রম চললেও শনিবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে কিছু দুর্বৃত্ত অনুষদ প্রাঙ্গণে নির্মিতব্য ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও শান্তির পায়রার প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগ করে তা ভস্ম করে দিয়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলা এবং ক্যাম্পাসে ফ্যাসিস্টদের মুক্ত পদচারণার বিষয়ে ঢাবি ছাত্রদল এর আগে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, এই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি তার সত্যতা প্রমাণ করে প্রতি একটি ভয়াবহ বার্তা দিয়ে গেল।’

ঢাবি ছাত্রদল বলেছে, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং ফ্যাসিবাদী শাসনামলের বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলাকারীরা এখনো আবাসিক হলগুলোতে বহাল তবিয়তে অবস্থান করছে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিনা বাধায় চলাফেরা করছে। ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করে দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে। তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চরম উদাসীনতা দেখিয়েছে। এই অগ্নিসংযোগের ঘটনার মাধ্যমে সেটিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করছে ঢাবি ছাত্রদল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ