কুকুর ঘেউ ঘেউ করবেই, ডিভোর্স প্রসঙ্গে গোবিন্দর স্ত্রী
Published: 8th, April 2025 GMT
বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা গোবিন্দ। ব্যক্তিগত জীবনে সুনীতা আহুজার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। ৩৭ বছরের দাম্পত্য জীবন পার করছেন এই যুগল। কিছুদিন আগে খবর চাউর হয়, ভেঙে যাচ্ছে এই দম্পতির বিয়ে।
সংসার ভাঙতে যাওয়ার খবরে দীর্ঘদিন নেতিবাচকভাবে চর্চিত হয়েছেন গোবিন্দ-সুনীতা। কেবল তাই নয়, এ নিয়ে ট্রলের শিকারও হয়েছেন তারা। এবিপি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন সুনীতা।
বিয়ে ভাঙার খবর নিয়ে যারা ট্রল করেছেন, তাদেরকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন সুনীতা। তার ভাষায়, “ইতিবাচক হোক বা নেতিবাচক— আমি এটিকে ইতিবাচকভাবেই নিই। আমার মনে হয়, তারা কুকুর, সুতরাং তারা ঘেউ ঘেউ করবেই।”
আরো পড়ুন:
বক্স অফিসের দৌড়ে কী ক্লান্ত সালমান-রাশমিকা?
ফের আইটেম কন্যা তামান্না
গোবিন্দর ভক্তদের পরামর্শ দিয়ে সুনীতা বলেন, “যতক্ষণ না আমার বা গোবিন্দর কাছ থেকে সরাসরি কিছু না শুনবেন, ততক্ষণ কোনো কিছুই বিশ্বাস করবেন না।”
এর আগে গোবিন্দর আইনজীবী ইন্ডিয়া টুডেকে জানান, ছয় মাস আগে গোবিন্দকে ডিভোর্স লেটার পাঠন সুনীতা। সেই খবরই সামনে আসার পর বিচ্ছেদের চর্চা শুরু হয়। পরবর্তীতে এ দম্পতি তাদের সমস্যা মিটিয়ে নেন।
১৯৮৭ সালে বিয়ে করেন গোবিন্দ-সুনীতা। ৩৬ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই সন্তান— মেয়ে টিনা ও ছেলে যশবর্ধন। ইতোমধ্যে রুপালি জগতে নাম লেখিয়েছেন গোবিন্দর মেয়ে টিনা আহুজা। ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সেকেন্ড হ্যান্ড হাজবেন্ড’ সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। খুব শিগগির বলিউডে অভিষেক হতে যাচ্ছে যশবর্ধনের।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুছে যাক গ্লানি...
বৈশাখের প্রথম দিনটার প্রহর গুনতে শুরু করেছেন নিশ্চয়ই! লাল-সাদা পাঞ্জাবি আর জিন্স পরে সেদিন রঙের খেলা দেখাবেন বন্ধুদের। আর প্রিয় মানুষটিকে মনের কথাটা জানাবেন রঙচঙা সে দিনটায়। আপনিও কি সেই দলে?
মেলাই নববর্ষের প্রাণ
নববর্ষ পালনের ধরনটা একেক দেশে, একেক জাতির কাছে একেক রকম। বিদেশের কথা বাদ দিয়ে দেশে চোখ রাখি আমরা। যেমন ঢাকার নববর্ষের মূল আকর্ষণ আনন্দ শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তা-ইলিশ এসবে। সারাদেশে কিন্তু ঢাকার মতো এমন ঘটা করে শোভাযাত্রা চোখে পড়ে না। তবে পুরো দেশের কথা ভাবলে মেলাই হচ্ছে নববর্ষের প্রধান বিষয়। বৈশাখী মেলা। রাজ্যের মানুষ হাজির হয় সেখানে। এখানে ধর্ম-বর্ণ এবং গোত্র বলতে কিছু নেই। এসব মেলার আয়োজক স্থানীয়রা। বৈশাখে সারাদেশ মেতে ওঠে রাজ্যের খেলাধুলায়। এখনও পহেলা বৈশাখে বলীখেলা হয় চট্টগ্রামে। পহেলা বৈশাখ আর বলীখেলা যেন অঙ্গাঙ্গী মিশে আছে। নববর্ষের উৎসবে আরও দেখা যায় মুরগির লড়াই, গরুর দৌড় ও ঘোড়দৌড়! ঐতিহ্যের হাত ধরে নতুন সংস্কার, নতুন সংস্কৃতি, নতুন চিন্তাধারার স্রোতে এসে আজ মিলেছে আমাদের উৎসব উদযাপন। জীর্ণ, পুরোনো, মিথ্যা, অসত্যকে হটিয়ে আবির্ভূত হয় নতুন, সত্য, নবজীবন। এর প্রতীক হয়ে ওঠে কালবৈশাখী। এই কালবৈশাখীই নববর্ষের সহচর। সুন্দরের অগ্রপথিক!
সেই আদিকাল থেকে
সেই আদিকাল থেকে মানুষ বছরের এই দিনে রোজকার চেনা রুটিন তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে মেতে উঠে উদযাপনে। ঘরবাড়ি ধুয়েমুছে ধোপদুরস্ত পোশাকে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করে পানাহারে মেতে ওঠে। জড়ো হয় বটতলায়, মাঠেঘাটে খেলায় বসে পড়ে, তড়াক-পুকুরে সাঁতার কাটে, ডুব দেয় ও নদ-নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সবকিছু মিলে দেশটা হয়ে ওঠে উৎসবমুখর।
চাতকের আকুতি
চৈত্র শেষে বৈশাখের শুরু থেকে দেখা যায় গ্রীষ্মের তাপদাহ। আকাশ থেকে যেন আগুন ঝরে এ সময়টায়। গাছের ছায়ায় ঝিমুয় পশু-পাখি। মানুষের হাতে তালপাখা। চাতকেরা চেঁচাতে থাকে পানির জন্য। চাতকের আকুতি মানুষের কণ্ঠেও ঝরে পড়ে হাহাকার হয়ে। মেঘের কাছ থেকে জল ভিক্ষা করাও বাংলা নববর্ষের আরও একটা সর্বজনীন অনুষ্ঠান। বাংলাদেশে এমন আকুতি কৃষিপ্রধান দেশেরই প্রতিধ্বনি। যতই আমরা শিল্প শিল্প বলে চেঁচাই, কৃষিই আমাদের গর্ব। কৃষি আমাদের সব। আর কে না জানে, এই কৃষিতে ভর করে বাংলা নববর্ষের এ উচ্ছ্বাস। এ উদ্দাম। এ উৎসব। খাজনা, হালখাতা, পুণ্যাহ– সবই কৃষিনির্ভর দেশের বৈশাখী আয়োজন।
সামলান নিজেকে
বয়সের প্রায় প্রতিটি ধাপেই রং পাল্টায় সৌন্দর্য। ঠিক বৈশাখের মতো করে। কিংবা বৈশাখ আমাদের নতুন করে তা মনে করিয়ে দেয়। সেটি যৌবনে যেমন হতে পারে, তেমনি বৃদ্ধ বয়সেও হতে পারে। এটাই স্বাভাবিক। বয়সের সঙ্গে এই সৌন্দর্যটা মেনে নিলে হয়। এই মানামানির চুক্তিটা প্রতিটি কাজের সঙ্গে করে নিতে পারলে সহজে শৃঙ্খলে চলে আসে যাযাবর জীবনটাও!
বরণ করুন হাসি মুখে
বছর ঘুরে আবার আসছে পহেলা বৈশাখ। এ বিশেষ দিনটিকে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মিশেলে সাজাতে এর মধ্যে শুরু হয়েছে নানা প্রস্তুতি। এ প্রস্তুতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ আপনি। বিগত বছরের সব দুঃখকে ভুলে নতুন বছরকে বরণ করে নিন হাসিমুখে। প্রস্তুতি নিন বৈশাখের সঙ্গে নিজেকে রাঙানোর। প্রিয় মানুষটিকে মনের কথা জানানোর জন্য বেছে নিতে পারেন এই রঙচঙে দিনটিকে! u