নিউ জিল্যান্ডের হয়ে মাত্র ৫টি টেস্ট খেলার সৌভাগ্য হয়েছিল গ্যারি স্টেডের। অথচ ২০১৮ সালে জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িতে নেওয়ার পর, তিনিই হয়ে গেলেন ব্ল্যাক ক্যাপসদের ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম কোচ। তার অধীনেই সাদা বলে তিনটি বৈশ্বিক আসরের ফাইনাল খেলেছে কেউইরা। শিরোপা জিতেছিল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের। তবে স্টেড জানিয়ে দিলেন, নিউ জিল্যান্ডের সাদা বলের হেড কোচের দায়িত্বে আর থাকছেন না তিনি।

নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে স্টেডের চুক্তির মেয়াদ ছিল এই জুন পর্যন্ত। তবে এই ৫৩ বছর বয়সী কোচ চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই সাদা বলের দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন। এমনকি এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি, টেস্ট দলের কোচ হিসেবে পুনরায় আবেদন করবেন কিনা। এই ব্যাপারে কয়েক সপ্তাহ পরে নিজের সিদ্ধান্ত জানাবেন। স্টেড ২০১৮ সালে মাইক হেসনের পদত্যাগের পর এই পদে নিয়োগ পান। এরপর ২০২০ এবং ২০২৩ সালে তার চুক্তি নবায়ন করা হয়।

স্টেডের অধীনে নিউ জিল্যান্ড ২০২১ সালে প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করেছে এবং ভারতকে ভারতের মাটিতে ৩-০ ব্যবধানে সাদা বলের সিরিজে পরাজিত করেছে। যা, ব্ল্যাক ক্যাপসদের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা প্রাপ্তি।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করল ব্ল্যাক ক্যাপসরা

নিউ জিল্যান্ডের ঘোরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসরে ওয়াগনার

তাছাড়া স্টেডের অধীনেই ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে, টাই করার পরও কেবল বাউন্ডারি কম মারার গ্যারাকলে পড়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি নিউ জিল্যান্ড। তারা ২০২১ সালে দুইবায়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল হারে। এরপর চলমান বছরের মার্চে একই স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা হারায় কিউরা। এই সময় গুলোতেও দলটির হেড কোচ ছিলেন স্টেড।

হেড কোচের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে স্টেড বলেন, “আমি কিছু সময়ের জন্য ভ্রমণ জীবনের বাইরে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে চাই। আমার মনোযোগ ছিল একটি অনভিজ্ঞ দলের সঙ্গে মৌসুমটি ভালোভাবে শেষ করার দিকে। গত ছয় থেকে সাত মাস বিশেষভাবে ব্যস্ত ছিলাম। এখন আমি আমার বিকল্পগুলি দেখতে চাই। তবে এখনও মনে করি আমার কোচিং করার শক্তি আছে, যদিও সব ফরম্যাটে হেড কোচ হিসেবে নয়।”

তিনি আরও বলেন সামনের সময়টা তিনি পরিবারকে দিতে চান। তাছাড়া কিছু সময় ভেবে সিদ্ধান্ত নিবেন নিউ জিল্যান্ডের হয়ে টেস্টে কোচিংটা চালিয়ে যেতে চান কি না, “পরবর্তী মাসে এই পরিস্থিতি নিয়ে আমার স্ত্রী, পরিবার এবং অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ পাবো। এই সময়ের মধ্যে আমি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারব যে আমি টেস্ট কোচিং পদে পুনরায় আবেদন করতে চাই কিনা।”

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে মিরপুরে তামিম

মিরপুর শের-ই-বাংলায় হুট করে দেখা মিলল তামিম ইকবালের। শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকা লীগে মোহামেডান বনাম আবাহনী ম্যাচ চলছে। তামিম দুপুর তিনটা নাগাদ মাঠে আসেন। শুক্রবার রাতে চিকিৎসা নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেন তিনি। আজ দুপুরে মাঠে এসে ড্রেসিং রুমে বসে কয়েক ওভার খেলা দেখেন তামিম। শারীরিক অসুস্থতায় না পড়লে তামিমকেও নিশ্চিতভাবে মোহামেডানের হয়ে আবাহনীর বিপক্ষে মাঠে দেখা যেত। কিন্তু আপাতত তাকে বিশ্রামে থাকতে হচ্ছে।

গত ২৪ মার্চ বিকেএসপিতে ঢাকা লিগের ম্যাচ খেলতে নামার আগে প্রথ‌মে মাইনর ও প‌রে ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে’ অজ্ঞান হ‌য়ে পড়েন তামিম। তাকে সাভারের কে‌পি‌জে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা এতোটাই খারাপ হয়েছিল যে, ২২ মিনিট সময় ধ‌রে সি‌পিআর ও তিনটি ডি‌সি শক দি‌তে হ‌য়ে‌ছে। এরপর দ্রুত এন‌জিওগ্রাম ক‌রে শতভাগ ব্লক থাকা একটা আর্টারিতে রিং লা‌গি‌য়ে‌ছেন চিকিৎসকরা। অবিশ্বাস্য গ‌তি‌তে হ‌য়ে‌ছে সব‌কিছু। চিকিৎসকদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত সময়মতো হওয়ায় তামিম পেয়েছেন নতুন এক জীবন।

পরদিন ২৫ মার্চ, রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে আনা হয় বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ককে। এরপর গত ২৮ মার্চ, হার্ট অ‌্যাটাকের চারদিন পর চিকিৎসকের ছাড়পত্র পেয়ে বাসায় ফেরেন তামিম।

আরো পড়ুন:

‘পৃথিবীর সেরা চিকিৎসা পেয়েছেন তামিম’

চারদিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় তামিম

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৭ এপ্রিল সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্যালেসকে ধসিয়ে লিগে সেরা চারে ম্যানসিটি 
  • বেঞ্চে বসে থাকতে থাকতেই শেষ হয়ে গেল ফিলিপসের আইপিএল
  • বরিশালে প্রেমিকার ছুরিকাঘাতে প্রেমিকের মৃত্যুর অভিযোগ
  • চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে মিরপুরে তামিম
  • ছাত্রদল নেতা মিলনের পরিবারের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
  • কান উৎসবে টম ক্রুজের চূড়ান্ত মিশন
  • ব্রাভোকে দেখেই ‘বিশ্বাসঘাতক’ বললেন ধোনি
  • রপ্তানির বিকল্প পথ কমল, বাড়বে চাপ
  • সরকারি ছুটির দিনে শিশু আদালতের কার্যক্রম চলমান রাখতে নির্দেশনা
  • ভাসানচরকে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে