গত সপ্তাহে অভিশংসিত নেতা ইউন সুক ইওলকে পদ থেকে অপসারণের পর নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। ৩ জুন আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধি এবং এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির প্রবৃদ্ধি ধীরগতির সময়ে, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে ক্ষমতার শূন্যতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সাথে আলোচনার জন্য সিউলের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করেছে।

ডিসেম্বরে সামরিক আইন জারির ঘোষণার কারণে শুক্রবার ইউনকে অপসারণ করা হয়।

ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেছেন, “সরকার ৩ জুনকে ২১তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন হিসেবে মনোনীত করার ইচ্ছা পোষণ করছে।”

ইউনের শ্রমমন্ত্রী কিম মুন-সু মুষ্টিমেয় কয়েকজন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগ করেছেন এবং জানিয়েছেন, তিনি তার প্রচারণা শুরু করবেন।

কিম মুন বলেছেন, “আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ জনগণ এটা চায়, আমার পরিচিত লোকেরা এটা চায়, এবং জাতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য আমি দায়িত্ববোধ অনুভব করি।”

পিপিপির আইনপ্রণেতা আহন চিওল-সু, যিনি ইউনের অভিশংসনের পক্ষে প্রথম ভোট দিয়েছিলেন, তিনিও মঙ্গলবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফে অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত চায় ঢাবি ছাত্রদল 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রদল। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এ দাবি জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আগুন লাগার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

ঢাবি ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান—   এই প্রতিপাদ্যে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রার অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরির কাজে যুক্ত আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কিছুদিন ধরে আনন্দমুখর পরিবেশে এ কার্যক্রম চললেও শনিবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে কিছু দুর্বৃত্ত অনুষদ প্রাঙ্গণে নির্মিতব্য ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও শান্তির পায়রার প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগ করে তা ভস্ম করে দিয়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলা এবং ক্যাম্পাসে ফ্যাসিস্টদের মুক্ত পদচারণার বিষয়ে ঢাবি ছাত্রদল এর আগে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, এই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি তার সত্যতা প্রমাণ করে প্রতি একটি ভয়াবহ বার্তা দিয়ে গেল।’

ঢাবি ছাত্রদল বলেছে, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং ফ্যাসিবাদী শাসনামলের বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলাকারীরা এখনো আবাসিক হলগুলোতে বহাল তবিয়তে অবস্থান করছে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিনা বাধায় চলাফেরা করছে। ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করে দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে। তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চরম উদাসীনতা দেখিয়েছে। এই অগ্নিসংযোগের ঘটনার মাধ্যমে সেটিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করছে ঢাবি ছাত্রদল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ