চীনা বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সমস্যা জানতে ও তার দ্রুত সমাধানে প্রতি মাসের ১০ তারিখ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ২৬ সদস্যের চীনা বিনিয়োগকারীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

২০২৫ সালে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চীন-বাংলাদেশ অংশীদারত্ব প্ল্যাটফর্মের এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।  

বৈঠকে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মেইনল্যান্ড হেডওয়্যার হোল্ডিংস লিমিটেডের ডেপুটি চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর পলিন নান। এ সময় অধ্যাপক ইউনূস প্রত্যেকের মতামত শোনেন। চীনা প্রকল্প ও বাংলাদেশে কর্মরত চীনা কোম্পানিগুলোর খোঁজ-খবর নেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এদেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতির জটিলতার সমাধান করে এখন বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা ও অবকাঠামোর জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নিরলসভাবে কাজ করছে।’’ বর্তমান বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগে অন্যদের আহ্বান জানাতে বলেন তিনি।

চীন ও বাংলাদেশ অংশীদারত্ব এই প্ল্যাটফর্মের লক্ষ্য হলো, কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরো জোরদার করা এবং জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বিনিময়কে উৎসাহিত করা। অর্থনীতি, সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে এই প্ল্যাটফর্ম উভয় দেশের পারস্পরিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করতে চায়।

চীন ও বাংলাদেশের ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সম্প্রদায়কে সম্পৃক্ত করে এই উদ্যোগটি সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে এবং উভয় জাতির কল্যাণে দীর্ঘস্থায়ী ও অর্থবহ সহযোগিতা গড়ে তুলতে কাজ করে যাবে।

এ সময় বাংলাদেশে চীনা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, বিনিয়োগকারী, বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার তথ্য সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রূপনগরে শিশুদের জন্য ভ্রাম্যমাণ খেলার জায়গা উদ্বোধন

এলাকাভিত্তিক খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে শিশুদের জন্য রাজধানীর মিরপুরে রূপনগর আবাসিক এলাকায় ভ্রাম্যমাণ খেলার জায়গা (মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড) উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে স্কুল অব লাইফ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট ও হেলথ ব্রিজ ফাউন্ডেশন অব কানাডার সম্মিলিত উদ্যোগে এটির উদ্বোধন করা হয়। এই আয়োজনে সহযোগিতা করেন রূপনগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা।

আয়োজকেরা জানান, প্রতি শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর সড়কে নিয়মিত মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ডে খেলাধুলার আয়োজন করা হবে। খেলাধুলার মধ্য থাকবে দাবা, লুডু, ক্যারম, দড়ি লাফ ও ব্যাডমিন্টন। এ ছাড়াও থাকবে ছবি আঁকা, হস্তশিল্প ও সামাজিকীকরণের মতো বিভিন্ন কার্যক্রম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মাঠ ও পার্কের অপ্রতুলতা ঢাকা শহরের একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডের ৩৭টিতে কোনো খেলার মাঠ বা পার্ক নেই। শিশুদের খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এলাকাভিত্তিক মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড তৈরি একটি কার্যকর সমাধান। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে উঠবে, শহর হবে প্রাণবন্ত ও বাসযোগ্য।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্কুল অব লাইফের চেয়ারম্যান চিকিৎসক অনুপম হোসেন বলেন, ঘরবন্দী জীবনে শিশুরা হাঁপিয়ে উঠেছে। করোনাকালে দীর্ঘদিন ঘরে থাকার ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এলাকাভিত্তিক স্বল্প ব্যবহৃত বা অব্যবহৃত রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড তৈরি করে খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ তৈরি করা যায়। এতে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি নেতৃত্বগুণ ও সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ-পার্ক নেই। অর্থ ও স্থান সংকুলান বিবেচনায় সিটি করপোরেশনের পক্ষে দ্রুত বড় আকারের মাঠ-পার্ক তৈরি সম্ভব নয়। তবে খুব কম খরচে ও স্বল্প জায়গায় শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে এলাকাভিত্তিক খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের স্থান গড়ে তোলা সম্ভব। নগরবাসীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব লাইফের সদস্যসচিব সাবরিনা নওরিন লিমু, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মকর্তা, মিরপুর সেকশন- ৭ এর রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর সড়কের এলাকাবাসী ও শিশু-কিশোরেরা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা মো. মিঠুন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ