ঈদের দিনই পরীক্ষায় পাশ করেছি: তমা মির্জা
Published: 8th, April 2025 GMT
‘পরিবাররে সবার তুলনায় মা আমার অভিনয় সবচেয়ে বেশি ভুল ধরেন। এজন্য তাকে নিয়ে ঈদের দিন সিনেমাটি দেখেছি। সেদিন মা আমাকে পাশ নম্বর দিয়েছেন। এরপর আমার জন্য বড় পরীক্ষা ছিল দর্শক। তারা যেহেতু ভালো বলেছেন সেহেতু ধরেই নিয়েছি দর্শকের পরীক্ষায় পাশ করে গেছি।’
সোমবার রাতে রাজধানীর এয়ারপোর্ট রোডের সেন্টারপয়েন্ট শপিং মল স্টার সিনেপ্লেক্সে বিশেষ প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন ‘দাগি’ টিম। সিনেমা দেখা শেষে কথাগুলো বলেন নায়িকা তমা মির্জা।
বিরতির পর যে তমা মির্জাকে দেখা গেছে সেটা পর্দায় উপস্থাপন করা নাকি তার কাছে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। তমা মির্জার কথায়, ‘আমার মনে হয়, বিরতির পর যে আমি হয়ে ফিরলাম সেটা আমার জন্য বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ, আমার জেরিন চরিত্রটার মধ্যে অনেকগুলো লেয়ার ছিল। যেগুলো ফুটিয়ে তুলতে আমার অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি এটাই আমার জন্য প্রাপ্তির।’
তমা মির্জার মতে, ‘দাগি’ সিনেমায় আফরান নিশো, সুনেরাহ বিনতে কামাল, রাশেদ মামুন অপুর চরিত্র ছিল একেকটা গহনার মত।
তমা বলেন, “আমাদের ‘দাগি’ সিনেমার সবগুলো চরিত্র দারুণ। এখানে আফরান নিশোর বিকল্প কিছুই ছিল। নিশান চরিত্রটা তিনি (নিশো) যেভাবে প্লে করেছেন তাতে অন্য কাউকেই চিন্তা করা যায় না। এছাড়া সুনেরাহ বিনতে কামাল, রাশেদ মামুন অপু যা করেছে, তাঁদের অভিনয় দেখে আমি নিজেও অবাক হয়েছি। প্রত্যেকটা সময় অভিনয়ে তাঁরা মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। এছাড়া মানিরা মিঠু, গাজী রাকায়েত, শহীদুজ্জামান সেলিমসহ সবগুলো চরিত্র ছিল একেকটা অলংকারের মত। একজনকে বাদ দিয়ে ‘দাগি’ সিনেমা কল্পনা করা যায় না।”
সমাজের অন্ধ চোখ আর বন্ধ মগজ খুলে দেয়ার বার্তা নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘দাগি’। শিহাব শাহীন পরিচালিত সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের আলফা আই, চরকি ও ভারতের এসভিএফ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: তম ম র জ আফর ন ন শ আম র জ
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন বাস্তবায়ন দরকার: তামাং
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের এখন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং রূপান্তরমূলক নির্বাচন বাস্তবায়ন করা দরকার বলে মনে করছেন ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকটোরাল অ্যাসিস্ট্যান্স (ইন্টারন্যাশনাল আইডিয়া)-এর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক লিনা রিক্কিলা তামাং।
কোন কোন সংস্কারের পর জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা হবে, সেসব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান কর্মকাণ্ডের মধ্যে রবিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকায় নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসিরউদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে লিনা রিক্কিলা তমাং তাদের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।
সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎতে তাদের মধ্যে আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রিক্কিলা তামাং।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া
নির্বাচনে সমঝোতার ভিত্তিতে একক প্রার্থী দেবে পাঁচ ইসলামী দল
সেখানে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা এখন একটি মুক্ত, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, পাশাপাশি প্রতিনিধিত্বমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান।”
“এটি যেন বাস্তবেই রূপান্তরমূলক সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে পুনর্গঠনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়,” প্রত্যাশা রিক্কিলা তামাংয়ের।
সাক্ষাৎকালে সিইসির সঙ্গে নির্বাচন প্রস্তুতি ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে তুলে ধরে রিক্কিলা তামাং বলেন, “আমরা বুঝতে পেরেছি যে, এখনো কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন, বিশেষ করে এমন কিছু সংস্কার আছে, যেগুলো আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। আমাকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, নির্বাচন কমিশনকে বিদ্যমান আইনি কাঠামোর মধ্যেই কাজ করতে হয় এবং তারা আইনের বাইরে যেতে পারে না।”
“কী কী মূল বিষয় অগ্রাধিকার পাবে, তা অনেকাংশে নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের ওপর, তারা কীভাবে বাস্তবায়নের বিষয়ে একমত হয়,” যোগ করেন তামাং।
তিনি বলেন, “আমাদের জানানো হয়েছে, আসন্ন জুলাই সনদে যা কিছু সম্মত হবে, তার ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন কমিশন পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারবে।”
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠন করে নির্বাচনের বিদ্যমান আইন পর্যালোচনার ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য সুপারিশমালা তৈরি করে তার ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ ও সরাসরি আলোচনা করছে জাতীয় ঐতমত্য কমিশন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি। সব কমিশনের সুপারিশমালা ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠিয়ে ৩৫টির মতামত এসেছে। তার ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। এরই মধ্যে ১৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা করা রোডম্যাপ অনুযায়ী চলতি বছরের শেষ মাস ডিসেম্বর থেকে পরের বছরের জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অবশ্য একাংশের রাজনৈতিক দল বলছে, পুরো সংস্কার করার পর নির্বাচন দেওয়া হোক; বিএনপিসহ আরেক অংশ বলছে, নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ভোট দেওয়া হোক; সেটি ডিসেম্বর বা তার আগেই হতে পারে।
ঢাকা/হাসান/রাসেল