কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলবর্তী সাগর থেকে ১১ জন বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জেলে ও ট্রলার মালিকদের দাবি, অপহরণের পেছনে রয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের মধ্যবর্তী বাংলাদেশ জলসীমা থেকে জেলেদের অপহরণ করা হয়।
আরো পড়ুন: নৌকাসহ ১৯ মাঝিমাল্লাকে অপহরণ করল আরাকান আর্মি
আরো পড়ুন:
শরীয়তপুরে ২ ব্যবসায়ীকে অপহরণ, পুলিশসহ আটক ৪
লক্ষ্মীপুরে অপহৃত স্কুলছাত্রী ২ মাস পর উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “ঘটনার খবর আমরা পেয়েছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে অপহৃতদের উদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
টেকনাফ কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, “সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি জলসীমায় মাছ ধরছিল কয়েকটি ট্রলার। আরাকান আর্মির সদস্যরা এসে দুইটি ট্রলারসহ ১১ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। আমার একটি ট্রলারও রয়েছে তাদের হাতে।”
আরো পড়ুন: টেকনাফে নৌকাসহ ৪ জেলেকে অপহরণ করল আরাকান আর্মি
তিনি আরো বলেন, “দুইটি মাছ ধরার নৌকা নিখোঁজ রয়েছে। সেগুলোর অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি। একের পর এক এ ধরনের ঘটনায় জেলে ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।”
শাহপরীর দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, “ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর শুনেছি, এখনো নিশ্চিত না, কোন ঘাটের ট্রলার ছিল সেগুলো। আমাদের এলাকার কিছু নৌকাকে আরাকান আর্মি ধাওয়া করেছে বলেও জানতে পেরেছি।”
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপহরণ আর ক ন আর ম
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনে অপহৃত ছয় নারীসহ ৩৩ জেলে উদ্ধার
সুন্দরবনে অপহৃত ছয় নারীসহ ৩৩ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
এর আগে, বুধবার বিকেলে তাদের উদ্ধার করা হয়। একই দিন সকালে ছয় নারীসহ ৩৩ জেলেকে অপহরণ করে বনদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর সদস্যরা। উদ্ধারকৃত জেলেদের বাড়ি খুলনার কয়রা থানার বিভিন্ন এলাকায়। তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
সিয়াম-উল-হক বলেন, ‘‘সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার কয়রা এলাকায় মাছ ও কাঁকড়া ধরার সময় ৩৩ জেলেকে অপহরণ করে বনদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর সদস্যরা। পরে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘খবর পেয়ে সুন্দরবনের করকরি নদীর মাল্লাখালী এলাকায় অভিযান চালায় কোস্টগার্ড সদস্যরা। এ সময় বনদস্যুরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে গহীন বনে পালিয়ে যায়। পরে দস্যুদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে ছয় নারীসহ অপহৃত ৩৩ জেলেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় তাদের ব্যবহৃত ১৬টি নৌকাও।’’
ঢাকা/শহিদুল/রাজীব