ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভাঙচুর: ভিডিও দেখা হচ্ছে, সবাইকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে
Published: 8th, April 2025 GMT
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে সিলেটসহ বিভিন্ন শহরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। দায়ী সবাইকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে।
আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
গতকাল সোমবারের এই সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের এ ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার তদন্ত চলছে। এই নিন্দনীয় কাজের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আরও মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে পুলিশ গতকাল রাতে অভিযান চালিয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে বিক্ষোভের সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। এই সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী সবাইকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তদন্তে সহায়তা করতে পারে, এমন তথ্য যাঁদের কাছে আছে, তাঁদের সহযোগিতার জন্য বিবৃতিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা জননিরাপত্তা ও আইনের শাসনের প্রতি অবমাননাকর।
বিবৃতিতে যারা সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর–লুটের ঘটনায় ৪৯ জন গ্রেপ্তার৩ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফে অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত চায় ঢাবি ছাত্রদল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রদল। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এ দাবি জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আগুন লাগার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
ঢাবি ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান— এই প্রতিপাদ্যে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদ্যাপনের লক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রার অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরির কাজে যুক্ত আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কিছুদিন ধরে আনন্দমুখর পরিবেশে এ কার্যক্রম চললেও শনিবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে কিছু দুর্বৃত্ত অনুষদ প্রাঙ্গণে নির্মিতব্য ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও শান্তির পায়রার প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগ করে তা ভস্ম করে দিয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলা এবং ক্যাম্পাসে ফ্যাসিস্টদের মুক্ত পদচারণার বিষয়ে ঢাবি ছাত্রদল এর আগে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, এই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি তার সত্যতা প্রমাণ করে প্রতি একটি ভয়াবহ বার্তা দিয়ে গেল।’
ঢাবি ছাত্রদল বলেছে, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং ফ্যাসিবাদী শাসনামলের বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলাকারীরা এখনো আবাসিক হলগুলোতে বহাল তবিয়তে অবস্থান করছে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিনা বাধায় চলাফেরা করছে। ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করে দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে। তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চরম উদাসীনতা দেখিয়েছে। এই অগ্নিসংযোগের ঘটনার মাধ্যমে সেটিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করছে ঢাবি ছাত্রদল।