নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের সাদা বলের (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন গ্যারি স্টিড। প্রায় ছয় বছর ধরে দায়িত্বে থাকা এই কোচ জানিয়ে দিয়েছেন, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আর তার সঙ্গে কিউইদের দেখা যাবে না। তবে টেস্ট দলের কোচ হিসেবে থাকবেন কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তিনি।

২০১৮ সালে মাইক হেসনের জায়গায় নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন স্টিড। তার অধীনেই কিউইরা ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওঠে। যদিও প্রতিবারই শেষ পর্যন্ত রানার্সআপ হয় দলটি। তবে ২০২১ সালের জুনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল তার কোচিংয়েই।

দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে স্টিড বলেন, ‘সফরের পর সফরের জীবনে আমি কিছুটা ক্লান্ত। পরিবার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে চাই এখন। আগামী মৌসুমটা অপেক্ষাকৃত কম অভিজ্ঞ একটি দলের সঙ্গে ভালোভাবে শেষ করাই আমার প্রাধান্য। গত ছয় মাস একটানা ক্রিকেট নিয়ে দারুণ ব্যস্ত ছিলাম।’

টেস্ট দলের কোচ হিসেবে দায়িত্বে থাকতে চান কি না এ প্রসঙ্গে স্টিড বলেন,  ‘এই সময়টা আমি আমার স্ত্রী ও পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চাই, ওদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে চাই। তখনই ভালোভাবে বুঝতে পারব, টেস্ট কোচ হিসেবে নতুন করে আবেদন করব কি না।’

গ্যারি স্টিডের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী জুনে। নতুন করে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বিস্তৃত প্রক্রিয়া শুরু করবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি)। স্টিড সে প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন কি না, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে আগুন দেওয়া যুবক সম্পর্কে যা জানা গেল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে আগুন দেওয়া সেই যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগ কর্মী বলে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীদের ধারণা। ফটক টপকে মাস্ক পরা এক যুবক চারুকলায় প্রবেশ করে লাইটার জ্বালিয়ে মোটিফে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছেন- এমন দৃশ্য সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়। 

আগুন দেওয়ার ওই ভিডিও আজ রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। তাদের ভাষ্য, ওই যুবক ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি মাস্টারদা সূর্যসেন হলে থাকতেন। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন ওই যুবক। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাকে আর হলে দেখা যায়নি।

আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শরীফ আহমেদ বলেন, তারা সবাই আগুন দেওয়া যুবককে ভিডিও দেখে চিনতে পেরেছেন। কয়েকদিন আগে বিজয় ৭১ হলের সামনে এসে ছাত্রলীগের স্লোগান দিয়ে গেছে।
 
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়েছি। আরবি বিভাগ থেকে যে তথ্য পেয়েছি, তাতে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে তিনি সেই ব্যক্তি। বাকি কাজ পুলিশ করছে।

এদিকে মোটিফে আগুনে পোড়ানোর মামলার তদন্ত খুব কাছাকাছি পর্যায়ে চলে এসেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। রোববার রমনা বটমূলে নববর্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সোমবার সকালে শোভাযাত্রা শুরুর আগেই জড়িত দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করতে সম্ভব হবে।

শনিবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে চারুকলা অনুষদে শোভাযাত্রার জন্য বানানো ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি এবং শান্তির পায়রায় তরল দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে লাইটার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন এক যুবক। এতে মুখাকৃতিটা একেবারে পুড়ে যায় এবং শান্তির পায়রা অর্ধেকের বেশি অংশ পুড়েছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজে এই দৃশ্য দেখা গেছে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিশ্চিত আগুন লাগিয়েছেন ওই একজনই। এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।

সিসিটিভির ফুটেজে যে যুবককে দেখা গেছে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ওই শিক্ষার্থী কিনা জানতে চাইলে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম আজ সন্ধ্যায় সমকালকে বলেন, তদন্তের কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত যুবকের পরিচয়ের বিষয়টি নিশ্চিত না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজা-পশ্চিম তীরে কেমন ছিলেন, জানালেন বাংলাদেশে পড়ুয়া ২ ফিলিস্তিনি তরুণ
  • চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে আগুন দেওয়া যুবক সম্পর্কে যা জানা গেল